অন্যদিকে জেলার মসলা বাজারগুলোয় আমদানীকৃত রসুনের দাম বেড়েছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ভারতীয় রসুন ১৫-২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চায়না রসুন কেজিতে ২৫-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়তি।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) এ বন্দর দিয়ে রসুন আমদানি হয়েছে ৭ হাজার ২৭২ টন। যার আমদানি মূল্য ১০৭ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এখান থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। তবে গত অর্থবছর এ সময় পণ্যটি আমদানি হয়নি।
ভোমরা স্থলবন্দরের অন্যতম মসলাপণ্য আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. আবু হাসান জানান, তার প্রতিষ্ঠান সারা বছরই বিভিন্ন ধরনের মসলাপণ্য আমদানি করে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে রসুন, শুকনা মরিচ, শুকনা হলুদ ও জিরা। তবে দেশীয় বাজারে চাহিদা থাকায় রসুন আমদানি কিছুটা বেড়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে ৩০-৩৫ ট্রাক রসুন আমদানি হচ্ছে তার প্রতিষ্ঠানে। তবে ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত কোনো রসুন আমদানি হয়নি। কারণ ভারত সরকার ওই সময় পণ্যটির রফতানি বন্ধ রাখে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বরত কাস্টমসের ডেপুটি সহকারী কমিশনার নেয়ামুল হাসান বলেন, পেঁয়াজ ছাড়া সব ধরনের মসলাপণ্যে সরকারের রাজস্ব আসে উল্লেখযোগ্য হারে। ছয় মাসে রসুন আমদানিতে ৫ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় হয়েছে।
এদিকে সাতক্ষীরার সবচেয়ে বৃহৎ মসলা আড়ত সদরের সুলতানপুর বড় বাজারের আড়ত মেসার্স জুবোয়ের এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী জহুরুল হক জানান, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানীকৃত ভারতীয় রসুনের দাম কেজিতে ১৫-২০ টাকা এবং চীন থেকে আমদানীকৃত রসুনের দাম কেজিতে ২৫-৩০ পর্যন্ত বেড়েছে। ১৫ দিন আগেও আমদানীকৃত ভারতীয় রসুন ৬০-৬৫ টাকা বিক্রি হলেও তা এখন ৭৫-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে চায়না রসুন ১৩০-১৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা দুই সপ্তাহ আগেও ছিল ১১০-১১৫ টাকা। চাহিদা অনুযায়ী বাজারে সরবরাহ কম থাকায় মূলত দাম বেড়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, চলতি মৌমুমে জেলায় ৩ হাজার ৫০০ টন রসুন উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। সাতক্ষীরা সদরসহ সাত উপজেলায় ৫০০ হেক্টর জমিতে এটি চাষ হয়েছে।
অর্থসংবাদ/কেএ