ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহিতা শক্তিশালী করতে হবে

ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহিতা শক্তিশালী করতে হবে
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহিতার বিষয়টিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠানের নিয়মনীতি তৈরির কাজটিকেও জবাবদিহিতার আওতায় আনা প্রয়োজন।

শনিবার (০৭ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউর হলরুমে গবেষণাগ্রন্থ ব্যাংকিং অ্যালমানাকের চতুর্থ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন বক্তারা।

এসময় বক্তারা আরোও বলেন, দেশের যেকোনো পরিস্থিতিতে সবাই আর্থিক খাতের দিকে তাকিয়ে থাকে। মন্দা বা যেকোনো অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা মোকাবেলা করতে ব্যাংক বা আর্থিক খাতকে আগে থেকে প্রস্তুত থাকা উচিত। অব্যবস্থাপনা নিরসনেও পরিকল্পনা থাকতে হবে। এছাড়া গ্রাহকদের আস্থা ধরে রাখার বিষয়েও মনোযোগ দিতে হবে।

বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তারা বলেন, অনেক ক্ষেত্রে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা দেশের অর্থনৈতিক খাতের স্থিতিশীলতা বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। সুতরাং আমাদের ভাবতে হবে দেশের সার্বিক অর্থনীতির ভারসাম্য এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডের ওপর নির্ভর করে। মাঝে মাঝে দেখা যায়, কিছু কুচক্রী সিন্ডিকেট করে আর্থিক খাতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চায়। তাই এ বিষয়গুলো কীভাবে সামাল দেয়া যায় তাও পর্যালোচনা করা উচিত।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা অনেক দেশের জন্য মডেল। এজন্য দেশের অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং সেক্টরের নীতিনির্ধারকদের অবদান রয়েছে। ব্যাংকিং সেক্টরের স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ধাক্কা বাংলাদেশেও লেগেছে। বড় বড় অর্থনীতি সংকটের মধ্যে পড়েছে। তুলনামূলক ছোট অর্থনীতির দেশ হিসেবে বৈশ্বিক বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবেলা করে বাংলাদেশ টিকে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আশা করি, আমরা বড় ধরনের ক্ষতি ছাড়াই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারব।’

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও ব্যাংকিং অ্যালমানাকের এডিটোরিয়াল বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিদেশী বিনিয়োগকারী এবং দেশী-বিদেশী গবেষণা সংস্থার জন্য ব্যাংকিং অ্যালমানাক একটি তথ্যভাণ্ডার হিসেবে কাজ করবে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে সবশেষ আপডেট তথ্য এখানে পাওয়া যাবে। ব্যাংক খাতে সুশাসনের জন্য যা কিছু করণীয় তা দ্রুত দৃশ্যমান হওয়া ও সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন। রাজনৈতিক নেতাদের মতো দেখছি, দেখব এ রকম চলবে না। বরং বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে বলতে হবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নেব।’

এ সময় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, ‘এ বইয়ে বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব তথ্য একসঙ্গে পাবেন। ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগসংক্রান্ত সিদ্ধান্ত পেতে সহায়তা করবে। দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন তথ্য নিয়ে যে সমস্যা রয়েছে, তা নিরসনে ব্যাংকিং অ্যালমানাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। দেশের প্রকৃত অর্থনীতির জন্য প্রকৃত তথ্য খুব প্রয়োজন।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সৈয়দ জিয়াউদ্দিন আহমেদ। ব্যাংকিং অ্যালমানাক সম্পর্কে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্যাংকিং অ্যালমানাকের প্রকল্প পরিচালক ও শিক্ষাবিচিত্রার সম্পাদক আবদার রহমান।

এ সময় অরো বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমানুল্লাহ, বিএলএফসিএর (বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন) সাবেক চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান এবং ব্যাংকিং অ্যালমানাকের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ জিয়াউদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে অতিথিরা বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন।

অর্থসংবাদ/এসএম

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
গ্রাহক সংখ্যায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠান নগদ
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
প্রথম দিনেই ২ লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেলো ইভ্যালি
তিন মাসের মধ্যে সব দেনা পরিশোধ শুরু করবো
পোশাকশিল্পকে রাজনৈতিক হাতিয়ার না বানানোর অনুরোধ
এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশ