রাজনীতি
মঞ্চ ভেঙে পড়া নিয়ে যা বললেন ছাত্রলীগ নেতারা

ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভেঙে পড়ার ঘটনা নিয়ে শুক্রবার সারাদিন নানা আলোচনা হয়েছে। ষড়যন্ত্র তত্ত্বের বাইরে ছাত্রলীগের নিজেদের দুর্বলতার বিষয়টিও সামনে এসেছে। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বলছেন ঘটনাটি ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’, তবে তাদের দিক থেকে আরও সতর্কতার প্রয়োজন ছিল।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে স্থাপিত মঞ্চে ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এমন সময় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চটি ভেঙে পড়ে। এতে সাবেক ও বর্তমান নেতাদের অনেকেই আহত হন।
মঞ্চ ভেঙে পড়ার বিষয়ে শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, এ ঘটনা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছে (ডেকোরেটর) তাদের দিয়েই কাজ করানো হয়েছে। আগে কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি। আমাদের কতজন লোক থাকবে সে অনুযায়ী অনুমান করে আরও মজবুত করে তৈরি করা উচিত ছিল। এই ঘাটতি না হলে এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো যেত।
আমরা চেষ্টা করেছি মঞ্চটি যেন যথাযথ ও মজবুত হয়। কয়েক শ লোকের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন মঞ্চ করেছিলাম। এরপরও এ দুর্ঘটনা দুঃখজনক। শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রলীগ তিনি বলেন, স্টেজে লোক বেশি ওঠার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে বলে আমরা মনে করি না। রেওয়াজ অনুযায়ী শোভাযাত্রার অনুষ্ঠানে সাবেক নেতৃবৃন্দ স্টেজে থাকেন। আমাদের স্টেজের গাঁথুনি যে পরিমাণ মজবুত করার কথা ছিল সেটা না করার কারণে এ ঘটনা ঘটল।
ছাত্রীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, মঞ্চ ভেঙে পড়ার ঘটনায় আমরা অত্যন্ত লজ্জিত ও দুঃখিত। আমরা চেষ্টা করেছিলাম মঞ্চটি যেন যথাযথ ও মজবুতভাবে করা হয়। কয়েক শ লোকের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন মঞ্চ করেছিলাম। এরপরও এ ধরনের দুর্ঘটনা দুঃখজনক। ঘটনাটির জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। যে ডেকোরেটরকে মঞ্চ বানানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাদের কোনো ভুলত্রুটি আছে কি না তা আমরা খতিয়ে দেখব।
ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভেঙে পড়ে আহত নেতাদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি জামাল উদ্দিন চৌধুরী, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য মো. জসিম উদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ আনিসুজ্জামান রানা, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সদস্য মো. জাবেদ, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হক শামীম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী।
অর্থসংবাদ/কেএ
বিজনেস নিউজ পোর্টাল অর্থসংবাদে প্রকাশিত ও প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি
নির্বাচন দেখতে ইউরোপ আমেরিকা থেকে পর্যবেক্ষক আসতে পারবে: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কারও ফরমায়েশে বাংলাদেশে গণতন্ত্র চলবে না। নির্বাচন কেমন হয় তা দেখতে ইউরোপ আমেরিকাসহ যে কোনো দেশ থেকে পর্যবেক্ষক আসতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।
শুক্রবার দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সরকার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। সরকার পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে আসতে হবে।
কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে গণতন্ত্রের বস্ত্রহরণ করেছে, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও মানুষের পাশে থাকে। ক্ষমতায় না থাকলেও মানুষের পাশে থাকবে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
বিজনেস নিউজ পোর্টাল অর্থসংবাদে প্রকাশিত ও প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরীর শ্রদ্ধা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন জাতীয় সংসদের নব-মনোনীত উপনেতা মতিয়া চৌধুরী এমপি।
শুক্রবার বেলা ১১টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
এসময় মতিয়া চৌধুরী সংসদীয় গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) রাতে মতিয়া চৌধুরীকে জাতীয় সংসদের উপনেতা করার সিদ্ধান্ত নেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং সাবেক কৃষিমন্ত্রী।
সংসদ ভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় বিষয়টি উত্থাপন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এতে সমর্থন করেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সেক্রেটারি ও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন।
নিয়ম অনুযায়ী, সংসদ উপনেতা পদের জন্য কোনো ভোটের প্রয়োজন হয় না। সংসদ নেতা তার মতামত স্পিকারকে জানান। স্পিকার রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠান এবং বাকি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এ পদের জন্য কোনো শপথ নেওয়ার দরকার হয় না। তবে সংসদ উপনেতা মন্ত্রীর পদমর্যাদা ও সুবিধা পেয়ে থাকেন।
দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী গত ১১ সেপ্টেম্বর মারা যান। তার মৃত্যুতে পদটি শূন্য হয়ে যায়।
সংসদীয় আইন অনুযায়ী সংসদ উপনেতা নিয়োগে বাধ্যবাধকতা নেই। বিএনপি তাদের সময়ে এ পদে কাউকে মনোনীত করেনি। তবে আওয়ামী লীগ বরাবরই তাদের সিনিয়র কোনো নেতাকে দিয়ে এ পদটি অলঙ্কৃত করেছে।
অর্থসংবাদ/কেএ
বিজনেস নিউজ পোর্টাল অর্থসংবাদে প্রকাশিত ও প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
জামায়াত-হেফাজতের সঙ্গে সমঝোতার প্রশ্ন তোলা অবান্তর: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, জামায়াতে ইসলামী ও হেফাজতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমঝোতার প্রশ্ন তোলা অবান্তর। শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে রাজশাহী সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতীক। সে লক্ষ্যে দেশ বিনির্মাণের কাজ চলছে।
বিএনপির আন্দোলন নিয়ে মন্ত্রী বলেন, হাঁস ডিম পাড়ার আগে যেমন হাঁকডাক করে, আন্দোলন নিয়ে বিএনপিও তেমনি হাঁকডাক করছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানো নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বে বিদ্যুতের দাম যেভাবে বাড়ছে সে হারে আমাদের দেশে বাড়ানো হয়নি।
পরে মন্ত্রী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় যোগ দেন।
অর্থসংবাদ/কেএ
বিজনেস নিউজ পোর্টাল অর্থসংবাদে প্রকাশিত ও প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
সংসদ উপনেতা হচ্ছেন মতিয়া চৌধুরী

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীকে সংসদের উপনেতা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সংসদীয় দল সাবেক এ মন্ত্রীকে উপনেতা হিসেবে মনোনীত করেছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্তের কথা জাতীয় সংসদের স্পিকারকে জানানো হবে। পরে তিনি তাকে উপনেতা হিসেবে স্বীকৃতি দেবেন। সংসদ সচিবালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সংসদ ভবনে সরকারি দলের সভাকক্ষে সরকারি দলের প্রধান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের সংসদীয় দলের ৬ষ্ঠ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সংসদের উপনেতা হিসেবে বেগম মতিয়া চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওই প্রস্তাবে সমর্থন জানান সংসদীয় দলের সম্পাদক ও চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী। দলের সভাকক্ষে সংসদীয় দলের সভা শেষে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মতিয়া চৌধুরীকে জাতীয় সংসদের উপনেতা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি উপনেতা হচ্ছেন, এটাই ফাইনাল।’
সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী গত ১১ সেপ্টেম্বর মারা গেলে উপনেতার পদটি শূন্য হয়।
অর্থসংবাদ/কেএ
বিজনেস নিউজ পোর্টাল অর্থসংবাদে প্রকাশিত ও প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
আ.লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মাশরাফি

আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের জানান, সভাপতিমণ্ডলীর দুটি পদ, সম্পাদক ও উপ-সম্পাদকের একটি করে পদ, কেন্দ্রীয় সংসদের ২৮টি সদস্য পদ পূর্ণাঙ্গ করার দায়িত্ব সভাপতিমণ্ডলীর বৈঠকে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনাকে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের মানুষের উন্নত জীবনই একমাত্র লক্ষ্য : প্রধানমন্ত্রী
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী বিভিন্ন বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের সাংগঠনিক কর্মসূচির পরবর্তী করণীয়, বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে প্রেসিডিয়ামের উদ্দেশে বিস্তারিত এবং দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন দেশরত্ন শেখ হাসিনা।