পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষায়িত জ্ঞান দরকার

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. রুমানা ইসলাম বলেছেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষায়িত জ্ঞান দরকার।
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম) কর্তৃক আয়োজিত ‘সরকারি মালিকানার কোম্পানিগুলোর তালিকাভুক্তিঃ বর্তমান অবস্থা ও করণীয়’ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪ টায় রাজধানীর ইন্সটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশে (আইডিইবি)’অর্থসূচক ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো-২০২৩’ শীর্ষক পুজিবাজার মেলার দ্বিতীয় দিনে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। তিন দিনব্যাপী এ মেলার আয়োজন করে অর্থসূচক।
সেমিনারে প্যানেল আলোচক ছিলেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মাদ রেজাউল করিম, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো. ছায়েদুর রহমান এবং দৈনিক প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি ফখরুল ইসলাম। সেমিনারে সেশন চেয়ার ছিলেন বিআইসিএম এর নির্বাহী প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. রুমানা ইসলাম বলেন, আমাদের দেশের কোম্পানিগুলো কস্ট ও কমপ্লায়েন্সের কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে চায় না। তারা চায় কম আইন মেনে কিভাবে বেশি মুনাফা অর্জন করা যায়। তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাজার খুবই সেনসিটিভ জায়গা। যেসব বিষয় অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে তা পুঁজিবাজারকেও প্রভাবিত করে। কোভিড-১৯ অতিমারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যেমন বিশ্বের অর্থনৈতিক পরাশক্তিগুলোকে প্রভাবিত করেছে তেমনি আমাদের অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করেছে। যদিও এসব পরিস্থিতি উত্তরণে কিছুটা সময় লাগবে তারপরও আমাদের দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে।
মো. রেজাউল করিম বলেন, বর্তমান কমিশন প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে কোম্পানিগুলোর নন-কমপ্লায়েন্স অনেকাংশে কমে আসছে। কমিশন কমপ্লায়েন্সের ক্ষেত্রে কোন ধরনের ছাড় দিচ্ছে না। তবে এক্ষেত্রে জনবল স্বল্পতার কারণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কিছুটা সময় লেগে যাচ্ছে।
বিএমবিএ প্রেসিডেন্ট মো. ছায়েদুর রহমান বলেন, সরকারি কোম্পানিগুলো বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে যুক্ত থাকার কারণে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে পুঁজিবাজারে আসতে বেগ পেতে হয়। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় উদ্যোগী হলে কোম্পানিগুলোও পুঁজিবাজারে আসতে উৎসাহিত হবে।
তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে কমপ্লায়েন্স করতে হবে বিধায় অনেক সরকারি কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসতে চায় না। তবে সরকারি কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসলে তাদের কমপ্লায়েন্স বেড়ে যাবে; সেখানে সুশাসন নিশ্চিত হবে। তিনি বলেন, সরকারি কোম্পানিকে পুঁজি সংগ্রহের ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে প্রণোদনা না দিয়ে বরং পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত করতে হবে।
দৈনিক প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি ফখরুল ইসলাম বলেন, সরকারি কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। সরকার ঠিকভাবে চাইলে সরকারি ভালো কোম্পানি ঠিকই বাজারে আসবে।
অধ্যাপক ড. মাহমুদা আক্তার বলেন, সাধারণ মানুষকে সঠিক বিনিয়োগ শিক্ষা প্রদানের জন্য বিআইসিএম নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিআইসিএম বিনিয়োগকারীদের তাত্ত্বিক জ্ঞানের পাশাপাশি প্রায়োগিক শিক্ষা প্রদান করে থাকে। তিনি বলেন, বৃহৎ অর্থায়নের জন্য পুঁজিবাজার অপরিহার্য। সরকারি বৃহৎ কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করতে পারে।
তিন দিনব্যাপী এই মেলাতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেট (বিআইসিএম), শীর্ষস্থানীয় ব্রোকারেজ হাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক, এসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, তালিকাভুক্ত কোম্পানিসহ পুঁজিবাজারের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার অংশগ্রহণ করছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে সি পার্ল

বিদায়ী সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১ হাজার ৭৬২ কোটি ০৩ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৯ টাকার শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এর মধ্যে লেনদেনের শীর্ষস্থান দখল করেছে সি পার্ল রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহজুড়ে সি পার্ল বিচ রিসোর্টের ৩৭ লাখ ৪২ হাজার ৮৪১টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ১১৫ কোটি ৪৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।
লেনদেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ৮৩ লাখ ৪১ হাজার ৬৯৭টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৭৯ কোটি ৬৮ লাখ ১৩ হাজার টাকা।
তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেডের ৬৮ লাখ ৫১ হাজার ৭৭৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৬৭ কোটি ২৪ লাখ ৩১ হাজার টাকা।
লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- শাইনপুকুর সিরামিকসের ৬৬ কোটি ৩২ লাখ ০২ হাজার টাকা, রংপুর ডেইরির ৬৫ কোটি ৭২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা ও বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ৬৩ কোটি ১৩ লাখ ৯৯ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
এছাড়াও জেনেক্স ইনফোসিসের৫৯ কোটি ৯২ লাখ ২৬ হাজার টাকা, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ৫৪ কোটি ৬৫ লাখ ০৬ হাজার টাকা, এডিএন টেলিকমের ৫০ কোটি ৩৩ লাখ ৬২ হাজার টাকা এবং আল-হাজ টেক্সটাইল মিলসের ৪০ কোটি ০১ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরপতনে এগিয়ে ‘এ’ ক্যাটাগরি

বিদায়ী সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৬৩ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতনের তালিকায় ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর আধিপত্য ছিল। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত সপ্তাহে দরপতনে এগিয়ে থাকা ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭টি ছিল শেয়ারবাজারে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করা কোম্পানি। এগুলো হলো রুপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ওরিয়ন ইনফিউশন, আইএফআইএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড, ওয়াইম্যাক্স ইলেক্ট্রোড, ঢাকা ইন্স্যুরেন্স এবং এডিএন টেলিকম।
এছাড়াও ‘বি’ ক্যাটাগরির দুটি এবং ‘এন’ ক্যাটাগরির একটি কোম্পানি গত সপ্তাহে ডিএসইর দরপতনের শীর্ষ তালিকায় অবস্থান করছে।
সূত্র জানায়, বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর কমেছে বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মোপ্লাস্টিক লিমিটেডের। এক সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৫ দশমিক ৩২ শতাংশ কমেছে।
দরপতন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা রুপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর গত সপ্তাহে ১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ কমেছে। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর কমেছে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক দরপতন তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে, ওরিয়ন ইনফিউশনের ৮ দশমিক ৯৩ শতাংং, আইএফআইএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ডের ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ, ওয়াইম্যাক্স ইলেক্ট্রোডের ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ, ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ, এডিএন টেলিকমের ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ এবং মেট্রো স্পিনিংয়ের শেয়ারদর ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ কমেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
দর বৃদ্ধির শীর্ষে ‘বি’ ক্যাটাগরির আধিপত্য

বিদায়ী সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে দর বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে আধিপত্য ছিল ‘বি’ ক্যাটাগরির প্রতিষ্ঠানগুলোর। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজারে দর বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৭টিই ছিল ‘বি’ ক্যাটাগরির। কোম্পানিগুলো হলো- লিগ্যাসি ফুটওয়্যার, হাক্কানি পাল্প,ফাইন ফুডস, সমতা লেদার, রংপুর ডেইরি (আরডি ফুড), জিকিউ বলপেন এবং ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্ক।
জানা গেছে, গেল সপ্তাহে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে লিগ্যাসি ফুটওয়্যার লিমিটেডের। বি ক্যাটাগরির কোম্পানিটির শেয়ারদর পাঁচ কার্যদিবসে ২৯ দশমিক ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এক সপ্তাহে কোম্পানিটির লেনদেনকৃত শেয়ারের আর্থিক মূল্য ৫ কোটি ৬৫ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।
দর বৃদ্ধি তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা হাক্কানি পাল্পের শেয়ারদর গত সপ্তাহে ১২ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়েছে। তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা ফাইন ফুডস লিমিটেডের শেয়ারদর বেড়েছে ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ।
দর বৃদ্ধি তালিকায় থাকা অপর কোম্পানিগুলোর মধ্যে, সমতা লেদারের ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ, রংপুর ডেইরির ৯ দশমিক ০৫ শতাংশ, জিকিউ বলপেনের ৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ, ইনফরমেশন সার্ভিস নেটওয়ার্কের ৫ দশমিক ৬২ শতাংশ, প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারদর ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ কমেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লেনদেন ও বাজার মূলধন কমেছে শেয়ারবাজারে

বিদায়ী সপ্তাহে দেশের শেয়ারবাজারে পতন হয়েছে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেন ও বাজার মূলধন। সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এসব তথ্য জানা গেছে।
গেল সপ্তাহে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ‘ডিএসই এক্স’ ৪ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট হারিয়েছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৬ হাজার ২১৫ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের অপর দুই সূচকও কমেছে। শরীয়াহ সূচক ‘ডিএসই এস’ ৩ দশমিক ৬০ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানিগুলোর সূচক ‘ডিএস ৩০’ এক সপ্তাহে ০ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট কমেছে।
সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৪৮৩ কোটি ৭৩ লাখ ৮২ হাজার ৬০৭ টাকা। সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৪১০ কোটি ৯৩ লাখ ২১ হাজার ৪০৯ টাকায়।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন কমেছে ৭৭৮ কোটি ০৬ লাখ ৯৪ হাজার ২১১ টাকা। সপ্তাহজুড়ে এক্সচেঞ্জটিতে ১ হাজার ৭৬২ কোটি ০৩ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৯ টাকার শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৪০০ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২৬১ কোম্পানির শেয়ারদরই ছিল অপরিবর্তিত। দর কমেছে ৬৩টির, বিপরীতে মাত্র ৫৮ কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৮টি প্রতিষ্ঠান গেল সপ্তাহে লেনদেনে অংশ নেয়নি।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড। পাঁচ কার্যদিবসে কোম্পানিটির ১১৫ কোটি ৪৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
গেল সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে লিগ্যাসি ফুটওয়্যার লিমিটেড। এক সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২৯ দশমিক ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে সর্বোচ্চ দরপতন হওয়া বেঙ্গল উইন্ডসর থার্মোপ্লাস্টিক লিমিটেডের শেয়ারদর ২৫ দশমিক ৩২ শতাংশ কমেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
২৩৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পেলো বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিধ্বস্ত হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’র জন্য ক্ষতিপূরণ পাওয়া গেছে। জাহাজটির মালিক সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) ক্ষতিপূরণ বাবদ মোট ২ কোটি ২৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার পেয়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় ২৩৬ কোটি টাকার মতো (১ ডলার= ১০৫.১২ টাকা ধরে)।
এ বিষয়ে বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কমডোর মো. জিয়াউল হক বলেন, আমাদের চাহিদা অনুযায়ী বিদেশি বিমা প্রতিষ্ঠান থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ২২ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়া গেছে। এসব ডলার ইতোমধ্যে সাধারণ বিমা করপোরেশনে চলে এসেছে। শিগগিরই বিএসসির অ্যাকাউন্টে চলে আসবে।
জানা গেছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে গত ২ মার্চ ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দর চ্যানেলে নোঙর করা অবস্থায় রকেট হামলার শিকার হয় বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটি। এতে জাহাজের ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান। এছাড়া বাকি ২৮ নাবিককে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
বিএসসি সূত্রে জানা গেছে, বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটি ২০৮ কোটি টাকায় চীন থেকে কেনা হয় ২০১৮ সালে। বাণিজ্যিক এই জাহাজটি ডেনমার্কের চার্টারার ডেল্টা কর্পোরেশনের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ভাড়ায় চলছিল। গত বছরের ২৬ জানুয়ারি জাহাজটি মুম্বাই বন্দর থেকে রওনা হয়ে তুরস্ক হয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়। এরপর প্রায় ৬০ নটিক্যাল মাইল সরু চ্যানেল পেরিয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে অলভিয়া বন্দরের অদূরে নোঙর করে জাহাজটি। পরদিন সিমেন্ট ক্লে নিয়ে ইতালির রেভেনা বন্দরের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল বাংলার সমৃদ্ধির। কিন্তু এরই মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে আটকা পড়ে জাহাজটি।
পরে ২ মার্চ নোঙর করা অবস্থায় জাহাজটি হামলার শিকার হয়। হামলার পর জাহাজটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর জাহাজটির মালিক বিএসসি ক্ষতিপূরণ পেতে বিমা কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে। ক্ষতিপূরণের সেই অর্থ সম্প্রতি হাতে পায় বিএসসি।
অর্থসংবাদ/এসএম