ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, ১৪৩ কেন্দ্রের প্রতিটিতে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ও নির্বাচন কমিশন থেকে সিসি ক্যামেরার ভোট সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা হবে।
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্পধারার প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।
সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটিতে তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রে ইভিএমসহ নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসার আব্দুল মোতালেব ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে করতে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা মোতায়েন থাকবে বলে জানান আবদুল মোতালেব।
গত বছরের ১২ অক্টোবর নির্বাচনের দিন ‘ব্যাপক অনিয়মের’ কারণে নির্বাচন কমিশন (ইসি) উপনির্বাচন স্থগিত করে এবং পরে কমিশন ৪ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করে।
২০২২ সালের ২২ জুলাই গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুর পর ২০২২ সালের ২০ অক্টোবরের মধ্যে সংসদীয় আসনের জন্য নির্বাচন করা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়ায়। সেই অনুযায়ী নির্বাচন ১২ অক্টোবরের জন্য নির্ধারিত হয়েছিল।
গত ১২ অক্টোবর নির্বাচনের অনিয়ম খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পাঁচজন উপ-পরিদর্শক ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ১৩৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন।
অর্থসংবাদ/এসএম