সোমবার (২ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব মো. গোলাম মোস্তফার সই করা একটি চিঠি বিএসইসির চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, গত ১ জানুয়ারি দৈনিক যুগান্তরে ‘শেয়ারবাজারে ইউএফএস নজিরবিহীন কেলেঙ্কারি, ১৫৮ কোটি টাকা নিয়ে দুবাই পালিয়েছেন এমডি’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে, ইউএসএফ এমডির মিউচুয়াল ফান্ডের অর্থ লোপাটের ঘটনায় গতকাল বিএসইসি ও আইসিবির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন হাইকোর্ট। ৩০ দিনের মধ্যে দুই প্রতিষ্ঠানকে ব্যাখ্যা দাখিল করতে বলা হয়। একইসঙ্গে ইউএফএসের এমডির পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছন আদালত।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৩ অক্টোবর দুবাই পাড়ি জমিয়েছেন ইউএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ হামজা আলমগীর। বর্তমানে তিনি সিঙ্গাপুরে রয়েছেন বলে যুগান্তরের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ২০১৮ সাল থেকে তহবিল সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে চক্রটি।
যুগান্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থ লোপাটের ক্ষেত্রে ব্যাংকের প্রতিবেদন জালিয়াতি এবং ভুয়া এফডিআর (ফিক্সড ডিপোজিট রেট) দেখিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) অন্ধকারে রাখা হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে চার বছর নিষ্ক্রিয় ছিল ফান্ডের ট্রাস্টি ও কাস্টডিয়ান (গ্যারান্টি দেওয়া প্রতিষ্ঠান) আইসিবি। অডিট কোম্পানিও ভুয়া রিপোর্টকে বৈধতা দিয়েছে। বিএসইসির প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে এ তথ্য।