ভিডিও
লিফটের বাটনের নিচে ডট দেওয়া থাকে কেন
লিফটে যারা উঠেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো খেয়াল করবেন বেশিরভাগ লিফটের বাটনে ফ্লোরের নাম্বারের নিচে ছবির মত ডট দেওয়া আছে। যদি এত দিনে খেয়াল না করে থাকেন তাহলে পরের বার লিফটে ওঠার সময় অবশ্যই খেয়াল করে দেখবেন। কিন্তু কখনও কী মাথায় এসেছে এভাবে লিফটের বাটনের নিচে ডট বা বিন্দু খোদাই করা কেন থাকে?
আসলে এটি ব্রেইল পদ্ধতি। আর এই পদ্ধতিতে দৃষ্টিহীন ব্যক্তিরা এই উন্নীত বা উত্তল বিন্দুগুলোর ওপর আঙ্গুল বুলিয়ে বিন্দুগুলোর নকশা অনুযায়ী কোনটি কোন্ অক্ষর তা অনুধাবন করতে সক্ষম হয় এবং এই লেখার অর্থ বুঝতে পারেন। ফলে লিফটের বাটনে এগুলো ব্যবহার করায় খুব সহজেই অন্ধ ব্যক্তিরা কারো সাহায্য ছাড়াই নিজেদের গন্ত্যবের ফ্লোরে চলে যেতে পারেন!
অর্থসংবাদ/কেএ
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
পুঁজিবাজারে বড় দরপতন, রাস্তায় বিনিয়োগকারীরা

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ২৮২ কোম্পানির মধ্যে মাত্র ৪ টির শেয়ারদর বেড়েছে। দরপতন হয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক কোম্পানির।
ডিএসইর তথ্য মতে, রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ‘ডিএসই এক্স’ ২৩ দশমিক ০২ পয়েন্ট হারিয়েছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৬ হাজার ১৮২ পয়েন্টে।
প্রধান দুই সূচকের সঙ্গে আজ অপর দুই সূচকেরও পতন হয়েছে। এর মধ্যে ‘ডিএস ৩০’ ৬ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট এবং ‘ডিএসই এস’ সূচক ৫ দশমিক ০৬ পয়েন্ট কমেছে।
আগের দিনের তুলনায় আজ প্রধান শেয়ারবাজারে লেনদেন সামান্য বেড়েছে। আগের কার্যদিবসে (বৃহস্পতিবার) ২২২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল। রোববার লেনদেন হয়েছে ২৩১ কোটি ৪১ লাখ টাকার শেয়ার।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১৪৯টি কোম্পানির শেয়ারদরই কমেছে। শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল ১৩১টির। আর শেয়ারদর বেড়েছে মাত্র ৪টির। যেসব কোম্পানির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল, সেগুলো ছিল ফ্লোর প্রাইসে। ফলে কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর কমার কোন সুযোগ ছিল না।
এদিকে অব্যাহত পতনের কারণে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ মানববন্ধন করেছে। রোববার দুপুরে মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পুরাতন ভবনের সামনে বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দিবে বলে জানিয়েছে তাঁরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, অব্যাহত দরপতনে নিঃস্ব বিনিয়োগকারীদের বাঁচাতে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশনের মাধ্যমে ১০ হাজার কোটি টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে আসছে আর্জেন্টিনা

আর নয় অপেক্ষা, আর নয় প্রতিক্ষা। সকল অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশে আসছে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল। বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই আর্জেন্টিনা জাতীয় দলকে বাংলাদেশে আনার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে বাফুফে। ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে মেসিদের দেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বেশ কয়েকবার।
কিছুটা ইতিবাচক থাকলেও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে কিছু জানায়নি আলবিসেলেস্তারা। তবে সম্প্রতি আর্জেন্টাইন মিডিয়া জানিয়েছে, জুনে বাংলাদেশে আসার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে মেসির দেশটি। নতুন বছর ২০২৩ উপলক্ষ্যে খেলার সূচি পরিকল্পনা করছে বিশ্বের সব দেশ।
বাদ নেই আর্জেন্টিনাও। নতুন বছরে দেশটির জাতীয় দল কোথায় কোথায় খেলবে সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে তারা। চলতি বছরের জুনের ১২ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে মেসি-মারিয়াদের বাংলাদেশে পাঠাতে চাইছে আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশন
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ইন্টারভিউ
শেয়ারবাজারে পতনের একমাত্র কারণ ফ্লোর প্রাইস নয়: মীর আরিফুল ইসলাম

মীর আরিফুল ইসলাম,
ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)
ও
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)
সন্ধানী অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ইন্টারভিউ
শেয়ারবাজারের প্রয়োজনেই ফ্লোর প্রাইস তুলে দিতে হবে

মীর আরিফুল ইসলাম
সিইও, সন্ধানী অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
আইপিও থেকে বাদ পড়ছে আদানির কোম্পানি

যুক্তরাষ্ট্রের হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ফার্ম ভারতীয় শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর আদানির গ্রুপের শেয়ারদর ব্যাপক পতন হয়। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আদানি গ্রুপের একটি কোম্পানি ভারতীয় শেয়ারবাজারের এসএন্ডপি এবং বিএসই আইপিও সূচক থেকে বাদ পড়তে পারে।
জানা গেছে, আদানি গ্রুপের সাতটি কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে। এসব কোম্পানি পণ্য ব্যবসা, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎ, বন্দর ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসা করছে। কোম্পানিগুলো হলো- আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনোমিক জোন, আদানি পাওয়ার লিমিটেড, আদানি ট্রান্সমিশন, আদানি গ্রিন এনার্জি, আদানি টোটাল গ্যাস এবং আদানি উইলমার লিমিটেড। হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পরপরই এ কোম্পানিগুলোর শেয়ারদরে পতন হতে থাকে।
এশিয়া ইনডেক্স প্রাইভেট লিমিটেডের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, আদানি উইলমার লিমিটেড এসএন্ডপি বিএসই আইপিও সূচক থেকে বাদ পড়বে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোম্পানিটিকে দুই সূচক থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে।
হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে যা আছে
আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ‘শেয়ার দরে কারচুপি’র অভিযোগ তুলে চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গ। এ প্রতিবেদনে গৌতম আদানির আর্থিক নয়ছয়ের বিষয় উঠে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, কারসাজি এবং আর্থিক লেনদেনে প্রতারণা চালিয়ে আসছে আদানি গ্রুপ। কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দর বহু গুণ বাড়িয়ে শিল্পগোষ্ঠীটি বিশাল সম্রাজ্য গড়েছে। গত কয়েক বছরে আদানি গ্রুপের কোম্পানির শেয়ার ৫০০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে।
যেভাবে পতন শুরু আদানি গ্রুপের
হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদন গৌতম আদানি ও তার কোম্পানির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। শিল্পপতি আদানির সম্পদের পরিমাণ কমতে থাকে। বিশ্বের তৃতীয় ধনী থেকে ছিটকে পড়েন ভারতীয় এই শিল্পপতি। ১২০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ এখন দাঁড়িয়েছে ৫১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে। মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদন প্রকাশের পর ২৪ জানুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আদানি গ্রুপের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারদরের পতন অব্যাহত আছে। কোম্পানিগুলো এই সময়ে ৩০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৭২ দশমিক ৩৪ শতাংশ পর্যন্ত দর হারিয়েছে।
আদানি গ্রুপের সাত কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে আদানি টোটাল গ্যাস লিমিটেড। ২৪ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত (১৫ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানিটির শেয়ারদর কমেছে ৭২ দশমিক ৩৪ শতাংশ। এই সময়ে গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের শেয়ারদর কমেছে ৬৭ দশমিক ৬০ শতাংশ। আদানি ট্রান্সমিশন লিমিটেডের শেয়ারদর ৬৩ দশমিক ১৫ শতাংশ কমেছে। এছাড়াও আদানি পাওয়ারের ৪৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ, আদানি এন্টারপ্রাইজের ৪৮ দশমিক ৫১ শতাংশ, আদানি উইলমারের ৩০ শতাংশ এবং আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনোমিক জোনের শেয়ারদর ২৫ দশমিক ২০ শতাংশ কমেছে।
হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিতর্কের মুখে বড় সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত নেয় আদানি গোষ্ঠী। বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয় ২০ হাজার কোটির রুপির এফপিও। এফপিও বাতিল প্রসঙ্গে আদানি বলেছিলেন, ‘আমরা এফপিওর সম্পূর্ণ সাবস্ক্রিপশন পেয়েছি, যার জন্য আমরা বিনিয়োগকারীদের কাছে কৃতজ্ঞ। বাজারের অস্থিরতার কথা মাথায় রেখে পরিচালন পর্ষদ এই এফপিও বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘শেয়ারবাজারে চলমান দরপতনের পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা এফপিও থেকে প্রাপ্ত পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগকারীদের ফিরিয়ে দেব।
ভারতীয় ব্যাংক এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বীমা সংস্থা আদানি গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলোতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে বা ঋণ দিয়েছে। শুধুমাত্র ভারতীয় লাইফ ইন্স্যুরেন্স করপোরেশন গত কয়েক বছরে ৩০ হাজার ১২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে। তবে বিতর্কের মুখে পড়ায় সংস্থাটি আদানি গ্রুপে নতুন করে বিনিয়োগ করবে না বলে জানানো হয়েছে।