এগ্রিবিজনেস
নতুন তিন জাতের ব্রি ধানের অনুমোদন

জাতীয় বীজ বোর্ডের অনুমোদন পেয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত আরও তিনটি নতুন ধানের জাত। নতুন তিনটি জাতের মধ্যে ব্রি ধান-১০৩ আমন মৌসুম, ব্রি ধান-১০৪ ও ব্রি হাইব্রিড ধান-৮ বোরো মৌসুমের জন্য অবমুক্ত করা হয়েছে।
ব্রির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় বীজ বোর্ডের ১০৮তম সভায় সোমবার এ জাতগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় বাংলাদেশ ব্রির মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীরসহ মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর, সংস্থার প্রধানরাও উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বীজ বোর্ডের সভাপতি ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, নতুন উদ্ভাবিত ব্রি ধান-১০৩ আমন মৌসুমের একটি জাত। এ জাতটির পূর্ণবয়স্ক গাছের গড় উচ্চতা ১২৫ সেন্টিমিটার। এর ডিগ পাতা খাড়া, দানা লম্বা ও চিকন। ১ হাজারটি পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২৩ দশমিক ৭ গ্রাম। ধানে অ্যামাইলোজের পরিমাণ ২৪ শতাংশ। এ জাতটির গড় জীবৎকাল ১৩২ দিন। এ জাতটির গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৬ দশমিক ২ টন। উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে জাতটি প্রতি হেক্টরে ৮ টন পর্যন্ত ফলন দিতে পারবে।
একই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ব্রি ধান-১০৪-এ আধুনিক উফশী ধানের সব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এ জাতের ডিগ পাতা খাড়া, প্রশস্ত ও লম্বা, পাতার রং সবুজ। পূর্ণবয়স্ক গাছের গড় উচ্চতা ৯২ সেন্টিমিটার। জাতটির গড় জীবৎকাল ১৪৭ দিন। ১ হাজারটি পুষ্ট ধানের ওজন গড়ে ২১ দশমিক ৫ গ্রাম। এ জাতের ধান বাসমতী টাইপের তীব্র সুগন্ধিযুক্ত। এ ধানের দানায় অ্যামাইলোজের পরিমাণ শতকরা ২৯ দশমিক ২ ভাগ। এ ছাড়া প্রোটিনের পরিমাণ শতকরা ৮ দশমিক ৯ ভাগ এবং ভাতও ঝরঝরে হয়ে থাকে। এ জাতের জীবৎকাল ব্রি ধান-৫০-এর প্রায় সমান। এ ধানের গুণগত মান ভালো অর্থাৎ চালের আকার-আকৃতি অতিরিক্ত লম্বা চিকন ও রং সাদা হয়ে থাকে।

প্রস্তাবিত জাতের ফলন পরীক্ষায় ১০টি অঞ্চলে ব্রি ধান-৫০-এর চেয়ে ব্রি ধান-১০৪-এর ফলন প্রায় ১১ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে শীর্ষ ছয় স্থানে এটি ব্রি ধান-৫০-এর চেয়ে ১৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেশি ফলন দিয়েছে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

এগ্রিবিজনেস
প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগের জন্য সরকারের নীতি অনেক সহায়ক

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, প্রাণিসম্পদ খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সরকারের নীতি অনেক সহায়ক। এ খাতের খামারিদের জ্ঞান ও পরিষেবায় অংশগ্রহণ আরও জোরদার করতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) নীতি সহায়তা প্রদান ও নানা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্প থেকে খামারিদের সংগঠিত করে প্রডিউসার গ্রুপ গঠন এবং তাদের সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করে আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
রোববার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ নীতিমালা ও মিথেন ব্যবস্থাপনা কাঠামো প্রণয়ন সংক্রান্ত উদ্বোধনী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, এ দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে ইতিমধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন সাধন হয়েছে। প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে আমরা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের প্রাণিসম্পদের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। বিশ্বব্যাংক, এফএও আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে পরামর্শ ও কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের কিছু সুদূরপ্রসারী লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। সব ধরনের শর্ত পূরণ করে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল বিশ্বে পদার্পণ, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন, বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এমদাদুল হক তালুকদারের সভাপতিত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবের রুটিন দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— মৎস্য ও মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কৃষি অর্থনীতিবিদ আমাদু বা এবং এফএও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি আরনড হ্যামলিয়ারস ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এগ্রিবিজনেস
মুনাফা লোভীদের কারণে ইলিশের দাম বেশি

মুনাফা লোভীদের অধিক মুনাফার কারণে বাজারে ইলিশের দাম বেশি বলে মনে করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বুধবার (১১ অক্টোবর) প্রধান প্রজনন মৌসুমে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩’ বাস্তবায়ন উপলক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
ইলিশ উৎপাদনে কোনো ঘাটতি নেই, তারপরও ইলিশের দাম এতো বেশি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইলিশ উৎপাদনে আলাদা কোনো ব্যয় নেই। কিন্ত ইলিশ আহরণ ও সংরক্ষণ করার জন্য ব্যয়ের পরিমাণটা কম না। সরকার কিন্তু এক্ষেত্রে প্রণোদনা দিচ্ছে, যারা ইলিশ আহরণে আমাদের সহায়তা করে তাদের ভিজিএফ থেকে সাহায্য করা হচ্ছে। যারা ইলিশ আহরণ করে তাদের নৌ-যান ব্যবহার করতে হয়, জাল ব্যবহার করতে হয়, শ্রমিক নিয়োগ করতে হয়। মাছ আহরণের পর তারা যেখানে মজুত করে অবতরণকেন্দ্রে মাছ নিয়ে আসার পর সেখান থেকে বিভিন্ন প্রক্রিয়া করে বরফ দেওয়া থেকে শুরু করে কয়েক দফা স্থান পরিবর্তন হওয়ায় যারা মুনাফা লাভ করেন তারা বিভিন্ন স্তরে স্তরে লাভবান হন।
রেজাউল করিম বলেন, আমার মনে হয়, তারা অধিক লাভবান হওয়ার কারণে ইলিশের দাম যে সহনীয় থাকা উচিত, তার চেয়ে বেশি দেখা যায়।
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, এ ক্ষেত্রে বাজার ব্যববস্থাপনার সঙ্গে যারা জড়িত, প্রতিযোগিতা কমিশন, ভোক্তা অধিকারের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত আছেন আমরা বিভিন্ন সময় তাদের তাগিদও দিয়েছি। ইতোমধ্যে তারা কিছু কাজও করছেন।

তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আরও বেশি তৎপরতার সঙ্গে করে বাজার ব্যবস্থাপনাকে একেবারে মাছ আহরণের কেন্দ্র থেকে শুরু করে বিপণন পর্যন্ত আরও কঠোর নজরদারি, দেখভাল করা হলে আমার বিশ্বাস ইলিশের দামকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের কাজ যারা মৎস্য আহরণ করে, তারা আহরণ বন্ধ থাকাকালীন সময় তাদের খাবারের ব্যবস্থা আমরা করে দেই। যারা নৌকা নিয়ে মাছ ধরেন অনেক সময় তাদের নৌকা সরবরাহ করা হয়। অনেক সময় তাদের জাল সরবরাহ করছি। অনেক সময় বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য আমরা গরু, ভেড়া, ছাগল, মুরগি, হাঁস দিচ্ছি। যাতে ওই সময় তাদের বিকল্প কর্মসংস্থান হয়। আমরা গবেষণা করে ইলিশের অভয়াশ্রম কীভাবে করা যায় সেটি করছি। বাজার ব্যবস্থাপানাটা কোনোভাবেই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জব ডিস্ক্রিপশনের মধ্যে আসে না। আমরা উৎপাদন ও আহরণের সঙ্গে জড়িতদের সহায়তা করা, ভর্তুকি দেওয়ার বিষয়ে কার্পণ্য করি না।
তিনি বলেন, চলতি বছর বিগত বছরের চেয়ে ইলিশের আকারও বৃদ্ধি পেয়েছে, ইলিশের প্রাচুর্যতায় জেলেদের মুখে হাসি ফুটেছে। জাটকা ও মা ইলিশ রক্ষার চলমান কার্যক্রমসমূহ এভাবেই বাস্তবায়ন করা হলে সারাবছর ইলিশের প্রাপ্যতা নিশ্চিত হবে। এ কার্যক্রমের সফল বাস্তবায়নে সরকারি প্রচেষ্টার পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং আপামর জনগণ বিশেষ করে মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের আন্তরিক সহযোগিতা অপরিহার্য।
সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবারের মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফল ও স্বার্থক হয়ে উঠবে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
মা ইলিশ রক্ষা করা শুধু মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কিংবা মৎস্য অধিদপ্তরের নয় জাতীয় সম্পদের উন্নয়ন এবং দেশের স্বার্থে এ দায়িত্ব দেশের প্রত্যেক মানুষের।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এগ্রিবিজনেস
কৃষিকাজে সামাজিক মর্যাদা বেড়েছে

কৃষিকাজে সামাজিক মর্যাদা বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের কনফারেন্স কক্ষে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফরিদপুর ও যশোর অঞ্চলের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিতে ‘চাষা’ গালি ছিল একসময়। সামাজিক মর্যাদা ছিল না। একসময় কৃষিতে ভালো ছেলেমেয়েরা পড়তে আসতো না। এখন কৃষিতে অনেক মেধাবীরা পড়তে আসে এবং তারা মাঠে কাজ করে। তাদের সামাজিক মর্যাদা বেড়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও সহায়ক নীতি নেওয়ার কারণেই দেশ আজ দানা জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বিদেশ থেকে আমাদের আমদানিনির্ভরতা অনেকাংশে কমেছে। এ কারণে প্রতিটি ফসলের উৎপাদন বেড়েছে।
ফরিদপুর ও যশোর অঞ্চলে বিনা উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও জনপ্রিয় জাতগুলো সম্প্রসারণ এবং শস্য বিন্যাসে তেল ফসলের অন্তর্ভুক্তকরণ শীর্ষক এ আঞ্চলিক কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ রাজীব সিদ্দিকী, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার, পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, ফরিদপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাংলাদেশের মৎস্য খাতে বিনিয়োগ করতে চায় জাপান

বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতিতে বিশেষ করে মৎস্য খাতে সহযোগিতা-বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপান। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন। সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বশেষ জাপান সফর, বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন প্রকল্পে জাপানের বিনিয়োগ, উভয় দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে উভয়ের মধ্যে আলোচনা হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপান যে ভূমিকা পালন করছে তা নিঃস্বার্থ বন্ধুত্বের অনন্য দৃষ্টান্ত। দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা আমরা আরও সামনে এগিয়ে নিতে পারি। দু’দেশের জনগণ এবং উভয় দেশের সরকারের মধ্যে বিদ্যমান বোঝাপড়া, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা আগামী বছরগুলোতে আরও শক্তিশালী হবে।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দীর্ঘ বন্ধুত্বের ইতিহাস আছে। বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতিতে বিশেষ করে মৎস্য খাতে জাপান সহযোগিতা দিতে আগ্রহী। এ বিষয়ে দু’দেশের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে যৌথ পরামর্শ সভা হতে পারে। দু’দেশের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ থাকায় সহজেই এক দেশে অন্য দেশে সহজেই পণ্য পরিবহন সম্ভব। তিনি বাংলাদেশে খাদ্য পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, জাপান বাংলাদেশের অন্যতম বড় উন্নয়ন সহযোগী। ভবিষ্যতে জাপান-বাংলাদেশ দু’দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে জাপানের বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। যার মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ ইত্যাদি খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। এ সময় বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিজাত পণ্যের বহুমুখীকরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনে জাপানী বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে বলে রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন মন্ত্রী।

এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, এ টি এম মোস্তফা কামাল ও মো. তোফাজ্জেল হোসেন, যুগ্ম সচিব অন্দ্রিয় দ্রং, নীলুফা আক্তার ও ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, বাংলাদেশে জাপান দূতাবাসের তৃতীয় সচিব শিমমুরা কাৎসুমি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এগ্রিবিজনেস
এক কাতলা মাছের দাম ৩৮ হাজার টাকা

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় প্রায় ২০ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ ধরা পড়েছে। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মাছটি ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে ৩৮ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। এর আগে সন্ধ্যায় কলারবাগান এলাকার জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
মাছ ব্যবসায়ী মাসুদ মোল্লা বলেন, বড় একটি কাতলা মাছ ধরা পড়ার খবর পেয়ে তিনি অপেক্ষা করতে থাকেন। পরে রাতেই ইউসুফ মোল্লার আড়তে আনা হলে ওজন দিয়ে দেখেন প্রায় ২০ কেজি। এই মৌসুমে পদ্মা নদীর এত বড় কাতলা মাছ এবারই প্রথম ধরা পড়েছে। এত বড় কাতলা মাছ পেয়ে জেলেরা যেমন খুশি, ব্যবসায়ী হিসেবে তাঁরাও খুশি হয়েছেন।
স্থানীয় মৎস্যজীবীরা বলেন, পদ্মা নদীর পানি কমতে থাকায় কয়েক দিন ধরেই জেলেদের জালে রুই, কাতলা, পাঙাশ, বাগাড়–জাতীয় মাছ ধরা পড়ছে। প্রায় দুই সপ্তাহ বেশ ভালোই মাছ ধরা পড়লেও তিন থেকে চার দিন ধরে মাছ ধরার পড়ার পরিমাণ কিছুটা কমেছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের পাশে কলারবাগান এলাকায় জাল ফেলেন জেলেরা। সন্ধ্যার পর জালে বড় কোনো মাছ আটকা পড়ার বিষয়টি আঁচ করতে পারেন তাঁরা। পরে জাল গুটিয়ে নৌকায় তুলতেই দেখেন বিশাল একটি কাতলা মাছ। বিক্রির জন্য রাতেই ফেরিঘাট বাজারে ছুটে আসেন জেলেরা। স্থানীয় আড়তদার ইউসুফ মোল্লার আড়তে মাছটি তোলা হয়। পরে নিলামের মাধ্যমে মাছটি কিনে নেন মাছ ব্যবসায়ী মাসুদ মোল্লা।
মাসুদ মোল্লা বলেন, কাতল মাছটি নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ১ হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে ৩৬ হাজার টাকা দিয়ে তিনি কিনে নেন। পরে পরিচিতজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঢাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে ১ হাজার ৯০০ টাকা কেজি দরে মোট ৩৮ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন। মাছটি আজ সকালে ঢাকাগামী একটি পরিবহনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।