বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিদ্যমান কোভিড-১৯ বাস্তবতায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে গ্রাহকের আর্থিক সংগতি বিশ্লেষণ করে স্বীয় বিবেচনায় ঋণ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে, সে জন্য ঋণ ও লিজ–সুবিধার মেয়াদ বৃদ্ধির সময়সীমা অবশিষ্ট মেয়াদের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে পারবে।
সহজ করে বললে, আপনি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়েছেন। ঋণের মেয়াদ ছিল ৫ বছর। ৪ বছর কিস্তি শোধ করেছেন। কিস্তি বাকি আরও আছে ১ বছর। করোনার কারণে ব্যবসা ক্ষতির সম্মুখীন, তাই ঋণ শোধ করতে পারছেন না। এখন এই ঋণের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো যাবে। আগের নিয়মে এমন ঋণের মেয়াদ বাড়ানো যেত ৩ মাস।
করোনা মহামারির বেশ আগ থেকেই খারাপ অবস্থায় রয়েছে বেশির ভাগ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। বেশির ভাগই গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না। বিশেষ করে বিভিন্ন পক্ষের সহায়তায় চার আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশান্ত কুমার হালদার সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা জালিয়াতির পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। তবে এর মধ্যেও বেশ কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ভালোও করছে। ভালো করার ক্ষেত্রে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইডিএলসি অন্যতম।