লাইফস্টাইল
মা-বাবার এই পাঁচ বদঅভ্যাস সন্তানের জন্য ঝুঁকি!

একটি শিশুর জন্য নৈতিক শিক্ষা লাভের প্রথম ভিত্তি হচ্ছে তার পরিবার। আর পরিবারের মধ্যে শিশুর প্রথম শিক্ষক হচ্ছেন তার মা-বাবা। যারা কিনা ছোট থেকেই পারিবারিক শিক্ষায় সন্তানকে বড় করে তোলেন। জীবনের শুরুতে বাবা-মা সন্তানকে যে শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন, বড় হয়ে সন্তান তারই প্রতিচ্ছবি দেখাবে।
পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো সন্তান লালন-পালন করা। এক্ষেত্রে পরিবারকে সবকিছু করতে হবে বুঝে-শুনে। কারণ বাবা-মা যদি খারাপ প্যারেন্টিং অনুসরণ করেন, তবে তা সন্তানের ওপর দীর্ঘমেয়াদী খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই কিছু কিছু কাজ আছে, যেগুলো সন্তানের সঙ্গে বা তার সামনে না করা উত্তম।
শিশুকে তিরস্কার করা
সন্তান যদি কিছু ভুল করে, তাহলে সে ভুলের জন্য তাকে তিরস্কার বা অনেক বেশি বকাঝকা করা যাবে না। কারণ তিরস্কার বা অধিক বকাঝকা আপনার সন্তানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। সন্তান সততা দেখিয়ে নিজের ভুল স্বীকার করার পরও যদি আপনি তাকে বকাঝকা করেন, তাহলে আপনার ক্রিয়াটি আরও খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
সবার সামনে শিশুকে শাসন করবেন না
কিছু বাবা-মা আছেন যারা কিনা অতিথিদের সামনে তাদের সন্তানের ওপর রাগ প্রকাশ করেন। অন্যদের সামনে তাদের বকাঝকা করেন। আবার অনেকে গায়ে হাতও তোলেন। এটি আপনার সন্তানের আত্মবিশ্বাসের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। শৃঙ্খলার এই পদ্ধতি থেকে উদ্ভূত লজ্জার অনুভূতি তার মনে শিকড় গেড়ে বসে।
শুধু উপদেশ নয়, উৎসাহ দিন
বাবা-মা সন্তানকে উপদেশ দেবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু উপদেশ না দিয়ে উৎসাহ দিলে শিশু যেকোনো কাজে নিজের গতি ফিরে পায়। নিজের ভেতর বাড়তি চাপ অনুভব করে না।
নিয়মানুবর্তিতা
ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে শিশুদের সামনে কিছু নিয়ম ও সীমারেখা তৈরি করতে হয়। আপনি যদি আপনার সন্তানকে নিয়মানুবর্তিতা না শেখাতে পারেন, তাহলে বাইরের জীবনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা বা মানিয়ে নেওয়া তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
শিশুর অনুভূতি সম্মান না করা
সন্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এবং তার অনুভূতি বুঝতে সময় নেন। যখন একটি শিশুর মতামত এবং অনুভূতি উপেক্ষা করা হয় এবং একটি স্বাস্থ্যকর উপায়ে সম্বোধন করা হয় না, এটি শিশুদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

লাইফস্টাইল
রোগাক্রান্ত ব্যক্তি কীভাবে রোজা রাখবেন?

শুরু হলো মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের সিয়াম সাধনার মাস। এসময় পুরো একমাস রোজা ও ধর্মীয় আচারাদি পালনের দিকেই মুসলিমদের নজর বোশ। তবে তাদের মধ্যে অনেকেই রোগাক্রান্ত। কিন্তু ধর্ম পালনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। রোজা পালন করতে গিয়ে তারা অনেক সময় দ্বিধায় থাকেন, কীভাবে রোজা রাখবেন, রাখলেও কীভাবে ওষুধ খাবেন, রোজায় শরীরে বাঁধা রোগ বেড়ে যাবে কী না, ইত্যাদি। বিশেষ করে গ্যাস্ট্রিক বা আলসার, হাঁপানি, কিডনি, উচ্চরক্তচাপের রোগীরা কিছুটা চিন্তায় থাকেন রোজা নিয়ে। রোজায় এসব রোগে যারা নিয়মিত ভুগছেন তাদের কিছু পরামর্শ দেয়া যায়।
গ্যাস্ট্রিক বা আলসারের সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের ধারণা, রোজা থাকলে পেট খালি থাকার কারণে অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়ে। এসব রোগ ছাড়াও অনেকের ভাবনা একইরকম। আসলে শুধু খালি পেটে থাকলে বা রোজার কারণে অ্যাসিডিটি বা অম্লতা বাড়ে না। অনিয়মিত খাবার গ্রহণ বা অস্বাস্থ্যকার খাবার গ্রহণের কারণে অম্লতা বাড়ে। নিয়মিত ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং নিয়মিত ওষুধ গ্রহণ করলে গ্যাস্ট্রিক বা আলসারের রোগীদের খুব একটা সমস্যা হয় না। তবে অবশ্যই ইফতারে ভাজাপোড়া যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। যথেষ্ট পরিমান পানি ও আঁশজাতীয় খাবার খেতে হবে।
হাঁপানি রোগীদের ক্ষেত্রে রোগ যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে রোজায় সমস্যা হয় না। এজন্য ইফতার বা সেহরির সময় হাঁপানির ওষুধ খেয়ে নিতে পারেন। দিনের বেলায় শ্বাসকষ্ট হলে ইনহেলার নিতেও ধর্মে বাধা নেই বলে অনেক ইসলামী স্কলাস্টিক মতবাদ দিয়েছেন। তবে যারা ডায়ালাইসিসের রোগী অথবা কিডনি প্রতিস্থাপন করেছেন, তাদের ক্ষেত্রে রোজায় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তাদেরকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোজা রাখতে হবে। অন্যদিকে হার্টের অসুখে যারা ভুগছেন তাদের রোজা রাখতে খুব একটা বাধা নেই। তবে রোগটি যদি অতি সম্প্রতি হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। এসব রোগীদের ক্ষেত্রে সর্বক্ষেত্রেই যে পরামর্শ অপরিহার্য তা হচ্ছে, অতিরিক্ত তেলযুক্ত ইফতারি অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে।
জন্ডিস ও যকৃতের সমস্যা যাদের রয়েছে তাদের জন্য নিয়ম করে ওষুধ খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যারা দীর্ঘমেয়াদে যকৃতের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য রোজা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এসব রোগীদের পানি ও লবণের ভারসাম্য বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এসব রোগে যারা ভুগছেন তারা রোজা রাখতে চাইলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। উচ্চ রক্তচাপে যারা ভুগছেন তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবনের সময় পরিবর্তন করে রোজা রাখতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে অবশ্যই ইফতারে কাঁচা ছোলা, সালাদ ইত্যাদিতে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া যাবে না। বাড়তি লবণ শীররে রক্তচাপ বাড়াতে সাহায্য করে।
অনেকেই মনে করেন, রোজার মাসে একটু বেশি খেলে কোনো ক্ষতি হয় না। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। রোজা জীবানাচারণে সংযমের মাস, তাই খাদ্যাভ্যাসেও সংযম পালন করা অত্যাবশ্যক। মনে রাখবেন, খাবার থেকেও কিন্তু শরীরে অনেক ধরনের রোগ বাসা বাঁধতে পারে। তাই অন্য সময়ের মতো রোজার মাসেও খাবার গ্রহণে সতর্ক থাকা উচিৎ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
সুস্থ থাকতে ইফতারে করণীয় ও বর্জনীয়

বছর ঘুরে আবার এসেছে পবিত্র মাহে রমজান। সারা বছর অনেকেই অনিয়মতান্ত্রিক জীবন যাপন করে এই রমজান পালনের সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। মূলত খাবারের সমস্যার জন্যই বেশিরভাগ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এজন্য রমজানে সুস্থ থাকতে হলে সঠিক ও পরিমিত পরিমাণে খাবার গ্রহণ করার জন্য পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
ইফতার ও সেহেরিতে বেশকিছু খাবার এড়িয়ে চলা উত্তম। আবার কিছু খাবার খাদ্য তালিকায় রাখলে প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে রোজা রাখার সময় কিছুটা হলেও সহজ হবে বলে আশা করা যায়।
খেঁজুর
ইফতারে অবশ্যই খেজুর বা খোরমা খাবেন। এতে আছে শর্করা, চিনি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, কপার, সালফার, ম্যাঙ্গানিজ, সিলিকন ও ক্লোরিন ফাইবার। যা সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে খুবই দরকারি। সেহরিতেও একটি হলেও খেজুর খেতে পারেন। সেহরিতে খাবারের পর দুটি খেঁজুর খেয়ে নিলে সারাদিনে অনেকটা সাপোর্ট পেয়ে যাবেন।
দই
ইফতারিতে দই বা দই চিড়া খেতে পারেন। এতে সারাদিন অভুক্ত পেটে ঠান্ডা কিছু হজমক্রিয়া সচল রাখবে। এ ছাড়া অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করবে।
পর্যাপ্ত পানি বা ডাব
ইফতারের সময় একসাথে অনেক বেশি পানি পান করেন অনেকে। এতে খাবার ও পানি মিলে ভেতরে এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি করে। এতে ইফতারের পর ইবাদতে, কাজে ক্লান্তি আসে। এটা না করে ইফতারের পর থেকে সেহরীর আগ পর্যন্ত একটু পর পর পানি খাওয়া উচিত।
সুষম খাবার
খাদ্য তালিকায় সব ধরনের খাবার থাকতে হবে। আমিষ, শর্করা, ফ্যাট, ভিটামিন, দুধ, দই, মিনারেলস, ফাইবার ইত্যাদি। অর্থাৎ সুষম খাবার খেতে হবে।
কাঁচা ছোলা
ইফতারে ভাজা পোড়া না রেখে রাখতে পারেন কাঁচা ছোলা। কারণ ২৫-৩০ গ্রাম ছোলায় প্রায় ১০০ ক্যালরি থাকে। কিন্তু ফ্যাট থাকে মাত্র ৫ গ্রাম, যা কি না রক্তের চর্বি কমায়। তাই সামান্য পরিমাণ খেয়ে নিলেই অনেক শক্তি পাওয়া যায়।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
সেহরির জন্য যেসব খাবার স্বাস্থ্যকর

রোজা গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। আর সেই ইবাদত যথাযথভাবে পালন করতে সেহরিতে প্রয়োজনীয় ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া দরকার। সারাদিন রোজা রাখার শক্তি পাওয়ার জন্য সেহরি হতে হবে পরিকল্পিত ও স্বাস্থ্যকর।
সেহরি আপনার সারাদিনের কাজ করার শক্তি যোগায়। দেখা যায় অনেকেই সেহরিতে বেশি খেয়ে থাকেন। আবার অনেকে সেহরির সময়ের অনেক আগেই খেয়ে ঘুমিয়ে যান। কোনোটিই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। সেহরিতে একটু সময় নিয়ে পরিমিত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত।
বিশেষ করে এবারের তীব্র গরমে সেহরির খাবার তালিকায় আলাদাভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে, নইলে অসুস্থতাসহ দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেহরির খাবার এমন হওয়া উচিত, যেন তা সারাদিনের দেহের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারে।
ভাতের সঙ্গে সবজি, মাছ অথবা মুরগির মাংস খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া দুধ-কলা-ভাত অথবা আম-দুধ-ভাত খাওয়া যায়। ভাত, সবজি ও মাছ খাওয়ার পর এক কাপ দুধ ও খেজুর খেলে সারা দিন সুন্দরভাবে রোজা রাখা যায়। অনেকেরই চা-কফি পান করার অভ্যাস থাকে। তাই অনেকেই সেহ্রি খাওয়ার পর চা অথবা কফি পান করে থাকেন, এটা মোটেও উচিত নয়।
সেহরি খাওয়ার পর একটি বা দুটি খেজুর খেলে সারাদিন পানিশূন্যতা রোধ করতে সাহায্য করবে।
সেহরিতে যেসব খাবার খাওয়া যেতে পারে
ভাত–রুটি
সেহরি হচ্ছে রমজানের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় খাবার। সেহরির খাদ্য তালিকায় শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট সম্পন্ন খাবার রাখা উচিৎ, যা হজম হতে সময় লাগে এবং দীর্ঘক্ষণ কর্মশক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার ধীরে ধীরে রক্তে গ্লুকোজ দেয় এবং খাদ্যে আঁশের চাহিদা জোগায়। ঢেঁকিছাঁটা চালের ভাত, লাল আটার রুটি, আলু, চিড়া, ওটস এই খাবারগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট থাকে। এসব খাবার খেলে দিনের বেলায় কম ক্ষুধা লাগে। তাই সেহরির খাদ্য তালিকায় এসব খাবার রাখলে তা আপনাকে রোজার সময়ও সারাদিন সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখবে।
প্রোটিন জাতীয় খাবার
সেহরিতে আমিষ বা প্রোটিন জাতীয় খাবার থাকলে তা আপনার দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সারাদিন আপনাকে শক্তি যোগাবে। মাছ, মাংস, তরল দুধ, গুঁড়া দুধ, দুধজাত খাবার, ডিম, ডাল প্রভৃতি খাবার প্রোটিনের ভালো উৎস। এছাড়া এসব খাবারে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিংক, আয়রন প্রভৃতি পুষ্টি উপাদানও প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা আপনার হাড়ের সুস্থতার জন্য জরুরি। বিশেষভাবে সেহরিতে দুধ আপনার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার হতে পারে।
তাজা সবজি
ভিটামিন শরীরের জন্য খুবই জরুরি একটি পুষ্টি উপাদান। তাজা শাকসবজি দেহের প্রয়োজনীয় ভিটামিনের একটি নির্ভরযোগ্য উৎস। তাই সেহরিতে প্রতিদিন সবজি খাওয়া উচিৎ। তবে রাতের খাবারে অতিরিক্ত আঁশযুক্ত সবজি খাওয়া ঠিক না। কারণ অতিরিক্ত ফাইবার সমৃদ্ধ সবজি হজমের ঝামেলা করতে পারে। তার বদলে সেহরিতে মাঝারি আঁশের সবজি যেমন- ঝিঙে, চিচিংগা, লাউ, পেঁপে, চালকুমড়া, গাজর প্রভৃতি খাওয়াটা বেশি স্বাস্থ্যসম্মত।
ফলমূল
সেহরিতে খাবারের পর ফল আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করবে। তাই সেহরিতে খাবারের পর ফল খাবেন। মাঝারি আঁশযুক্ত ও নরম পাকা ফল এক্ষেত্রে বেশি উপকারী। পেঁপে, কলা, আম ইত্যাদি অথবা বিভিন্ন মৌসুমী ফলের ও দুধের তৈরি কাস্টার্ড খাওয়া যেতে পারে। এইসব সুস্বাদু ফল ও ফলজাত খাবার দেহের পুষ্টি উপাদান ও পানির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দীর্ঘসময় শরীরের শক্তি যোগায়।
তরল জাতীয় খাবার
রোজা রাখার অন্যতম স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা হচ্ছে শরীরের পানি ঘাটতি। তাই যেসব খাবার পানিশূণ্যতা দূর করে, সেহরির খাদ্য তালিকায় সেসব খাবার যোগ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে ডাবের পানি, শসা, আনারস, টমেটো, কমলা ও তরমুজ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য হতে পারে। এছাড়া সেহরিতে পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করা উচিৎ যেন সারাদিনের পানির ঘাটতি পূরণ হয়।
সেহরিতে যেসব খাবার এড়িয়ে চলা ভালো
সেহরির সময় বেশি তৈলাক্ত, মসলাদার এবং ঝাল খাবার খাওয়া উচিৎ না। সেক্ষেত্রে সেহরির খাদ্য তালিকা থেকে বিরিয়ানী, পোলাও, তেহরি প্রভৃতি ভারি ধরনের খাবার বাদ দিতে পারেন। কারণ সেহরিতে এসব খাবার খেলে বদহজম, বুক জ্বালাপোড়া করা এবং পেট ফাঁপার সমস্যা হতে পারে। অনেকেই সেহরিতে চা অথবা কফি খেতে পছন্দ করেন। অনেকে আবার কোকের মত কোল্ড ড্রিঙ্কস বা বেভারেজ পানীয় খেতে তৃপ্তি পান। কিন্তু এসব পানীয়তে ক্যাফেইন থাকে, যা মূত্রের পরিমাণ বাড়ায়, ফলে শরীরের পানির পরিমাণ কমে যায় এবং খুব তাড়াতাড়ি তৃষ্ণা পায়। তাই সেহেরিতে এসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিৎ।
প্রচণ্ড গরমে রোজা রেখে সুস্থ থাকতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই সেহরির খাবারের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ সঠিক খাদ্যাভাস না মেনে রোজা রাখলে খুব সহজেই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। বিশেষ করে দেহে পানিশূন্যতা যাতে না হয়, সেদিকে বেশি খেয়াল রাখতে হবে। আর অবশ্যই সেহরি খাওয়ার ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া উচিত হবে না। তাহলে আশা করি এই গরমেও রোজা রাখতে খুব বেশি সমস্যায় পড়তে হবে না।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
রমজানে পেটের সুস্থতায় যা খাবেন

রোজায় বেশিরভাগ রোজাদারের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। এর সবচেয়ে বড় কারণ হলো খাদ্যাভ্যাস। রোজায় আমরা এমন অনেক খাবার খাই যা মুখরোচক হলেও স্বাস্থ্যকর নয়। ডুবো তেলে ভাজা খাবার, অতিরিক্ত মশলাদার খাবার পেটে গ্যাসের জন্য দায়ী। কারণ সারাদিন খালিপেটে থাকার পর এ ধরনের খাবার গ্রহণ করলে তা হজমে নানা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই রোজায় গ্যাসের সমস্যা থেকে বাঁচতে খেয়াল রাখতে হবে খাবারের দিকে। ভুল খাদ্যাভ্যাসের জন্য আপনার পেটে গ্যাস জমলে তা দূর করার জন্য খেতে হবে কিছু খাবার। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
পেট ঠাণ্ডা রাখে দই
শসা খেলে মিলবে উপকার
গরমে উপকারী খাবার হলো শসা। প্রতিদিনের ইফতারে শসা রাখুন। কারণ এটি পেট ঠাণ্ডা রাখতে বেশ কার্যকরী। শসায় আছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এই দুই উপকারী উপাদান পেটে গ্যাস জমলে তা দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও শসায় পানির পরিমাণ বেশি থাকার কারণে এটি শরীর আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। ফলে দূরে থাকে পানিশূন্যতার মতো সমস্যা।
আদা ছাড়া আর কী!
পেটে জমে থাকা গ্যাস দূর করতে যে আদা কার্যকরী একথা অনেকেই জানেন। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ আদা চিবিয়ে রস খেলে পেটের গ্যাস দূর হয়। খেতে পারেন সামান্য লবণ মিশিয়েও। ইফতারে আদার শরবত খেতে পারলে সেটিও পেট ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করবে।
কলাও কার্যকরী
রোজায় প্রতিদিন কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন। কারণ এটি গ্যাসের সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে দেবে। উপকারী এই ফল পাকস্থলীর অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে কার্যকরী। তাই নিয়মিত কলা খেলে পেটে গ্যাস জমতে পারে না। কলায় আছে স্যলুবল ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে রাখতে কাজ করে। ইফতার ও সেহরিতে একটি করে কলা খান। এতে পেট পরিষ্কার থাকবে।
পেঁপে রাখুন পাতে
হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে পেঁপে। এতে আছে উপকারী এনজাইম পাপায়া যা হজমশক্তি বাড়াতে বেশ কার্যকরী। ইফতারে একবাটি পাকা পেঁপে খান। পেঁপের জুস বা স্মুদি তৈরি করেও খেতে পারেন। পাশাপাশি কাঁচা পেঁপের ভর্তা কিংবা তরকারিও খেতে পারেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
তরুণদের মধ্যে যে কারণে বাড়ছে হৃদরোগ

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও কর্মক্ষেত্রের উদ্বেগের কারণেই বেশিরভাগ তরুণদের মধ্যে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি।
বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, তরুণদের মধ্যে প্রক্রিয়াজাত খাবার, অতিরিক্ত লবণ-চিনি খাওয়ার প্রবণতা বেশি হওয়ায় ছোট থেকেই ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল ও রক্তে অন্যান্য যৌগগুলির ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়।
বিপাকহারের তারতম্যে লিভারের সমস্যাও বেড়ে যায়। দীর্ঘদিনের এই অভ্যাসগুলোই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাহলে এর থেকে মুক্তির উপায় কী?
চিকিৎসকদের মতে, শুধু জীবনযাপনে নিয়ন্ত্রণ নয়। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। কিছুদিন আগে পর্যন্ত বলা হত ৪০ বছরের পর থেকে এই পরীক্ষা করানোর কথা।
তবে চিকিৎসকরা এখন পরামর্শ দিচ্ছেন, ৩০ বছর থেকেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে। পাশাপাশি শরীরচর্চার বিকল্প নেই। খুব বেশি সময় না থাকলে সকালে ও রাতে হাঁটাহাটি করতে পারেন। ধূমপান বা মদ্যপান ত্যাগ করলে হৃদরোগের ঝুঁকি দ্বিগুণ কমে যায়।