পোলিশদের কাছে হারলেই বেজে যাবে বিদায়ঘণ্টা

পোলিশদের কাছে হারলেই বেজে যাবে বিদায়ঘণ্টা

দিদিয়ের দেশমের বুকটা কি ধুকধুক করছে? না চাইলেও এক ঝাঁক তারকা খেলোয়াড়কে হারানোর আক্ষেপ-হতাশাটা মনের পর্দায় আঘাত করছে? যদি মানুষের অনুভূতি পরিমাপের কোনো যন্ত্র থাকত, তাহলে ফ্রান্স কোচের মনের অবস্থাটা বোঝা যেত। তবে সে রকম যন্ত্র আবিষ্কার না হলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় অনায়াসেই অনুমান করা যায়, ফ্রান্স কোচের বুক আজ ঠিকই ধড়ফড় করছে। চোটের কারণে করিম বেনজেমা, পল পগবা, এনগোলো কন্তে, প্রেসনেল কিমপেম্বে, এনকুনকুদের না পাওয়ার হতাশাটা রূপ নিয়েছে ভয়ে! ভয়টা বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বাদ পড়ার। আজই যে দ্বিতীয় রাউন্ডে পোল্যান্ডের মুখোমুখি হবে দেশমের ফ্রান্স।





শুধু ফ্রান্স কোচ দেশম নন, বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে প্রতিটা দলের কোচেরই মাঠে নামার আগে বুকটা ধড়ফড় করে। হেরে যাওয়ার শঙ্কা বুকের ভেতর কম্পন তুলে। কম্পন উঠে ফুটবলারদের মনেও। তবে বাকিদের তুলনায় দেশমের কাঁপনটা হয়তো একটু বেশিই। কারণ, ফ্রান্স ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। এবার তাদের শিরোপা ধরে রাখার মিশন। কিন্তু দেশমের দলের শিরোপা মিশনটা থমকে যেতে পারে আজই। পোলিশদের কাছে হারলেই বেজে যাবে দলের বিদায়ঘণ্টা। যদিও বিশ্ব ফুটবলের মানচিত্রে পোল্যান্ড এখন বড় কোনো দল নয়। একটা সময় হয়তো তাদেরও ফুটবলে সোনালি দিন ছিল। ১৯৭৪ ও ১৯৮২, এই দুটি বিশ্বকাপেই তৃতীয় হয়েছিল তারা। কিন্তু পোল্যান্ড সেই সুসময় অনেক আগেই পেছনে ফেলে এসেছে। ১৯৮২ বিশ্বকাপের পর উল্লেখ করার মতো কিছুই করতে পারেনি তারা। ১৯৮৬ বিশ্বকাপের পর এবারই প্রথম বার দ্বিতীয় রাউন্ডে পা রেখেছে দলটি। ফলে পোলিশরা হয়তো তাদের লক্ষ্য এরই মধ্যে পূরণ করে ফেলেছে। ফরাসিদের কঠিন পরীক্ষার ম্যাচটা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়।





আর্জেন্টিনার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে পোলিশদের খেলার কৌশলও স্পষ্ট বলে দিয়েছে, দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠাটাই তাদের প্রথম লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। অতি-রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলে ০-২ গোলে হেরেও শেষ ষোলোতে পা রেখেছে তারা। কাজেই এখন আর তাদের হারানোর কিছু নেই। ফ্রান্সকে হারিয়ে যদি কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে পারে, সেটা হবে পোলিশদের জন্য বোনাস। ফ্রান্সের ভয়টা এখানেই। দেশম ভালো করেই জানেন, প্রতিপক্ষ পোল্যান্ড চাপহীন থাকবে। আর বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে চাপহীন হয়ে মাঠে নামা দল কতটা ভয়ংকর হতে পারে সেটি সবারই জানা। অন্যদিকে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ফ্রান্সের উপর শিরোপা ধরে রাখার চাপ আছে। কিন্তু এই যুদ্ধে দেশমের হাতে নেই পগবা, কন্তে, বেনজেমা, কিমপেম্বে, এনকুনকুদের মতো সেরা অস্ত্র। অবশ্য এদের ছাড়াই অনায়াসে গ্রুপ পর্ব পেরিয়েছে ফ্রান্স। তবে নক আউট পর্বে তাদের শূন্যতাটা ঠিকই দেশমকে ভাবাচ্ছে।





কিন্তু যা নেই তা নিয়ে হাপিত্যেশ করে লাভটাই বা কি! তাছাড়া তাদের ছাড়াও ফ্রান্স দলটি যথেষ্টই শক্তিশালী। কিলিয়ান এমবাপ্পে, আতোইন গ্রিজমানরা জ্বলে উঠতে পারলে শিরোপার নাগাল পাওয়াটাও অসম্ভব হবে না। তবে কোচ দেশমের ভাবনা জুড়ে এখন শুধুই পোল্যান্ড। দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রতিপক্ষকে নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে ফরাসিদের হয়তো মনে পড়ছে ৪০ বছর আগের সেই হিসাব চুকানোর কথা! বিশ্বকাপে এর আগে মাত্র এক বারই মুখোমুখি হয়েছে ফ্রান্স ও পোল্যান্ড। ১৯৮২ বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী সেই ম্যাচে মিশেল প্লাতিনিদের ফ্রান্সকে ৩-২ গোলে হারিয়ে দিয়েছিল পোল্যান্ড। আজ তার বদলা নেওয়ার সুযোগ এমবাপ্পেদের সামনে। জিতলে প্রতিরোধের আগুন নেভানোর পাশাপাশি মিলবে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিটও। দেশমের শিষ্যরা সেই স্বপ্ন এঁকেই নামছে মাঠে।





অর্থসংবাদ/কেএ


আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

২০২৩ সালে বাংলাদেশের সেরা কারা?
সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েই বছর শেষ করলেন রোনালদো
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সাফল্যের হার ৭১ শতাংশ
ইতিহাস গড়া হলো না বাংলাদেশের
ক্রিকইনফোর বর্ষসেরা ওয়ানডে একাদশে বাংলাদেশের নাহিদা
বাংলাদেশ ম্যাচে কে এই নারী আম্পায়ার
সুখের মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে বেরসিক বৃষ্টির জয়
টাইগারদের আগামী বছরের কর্মসূচিতে নেই অস্ট্রেলিয়া-ইল্যাংন্ড
মাশরাফির দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙলেন সোহান
২০২৬ বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা হতে পারে জানুয়ারিতে