খেলাধুলা
ব্রাজিলকে হারিয়ে লাভ হলো না ক্যামেরুনের

ক্যামেরুনের রক্ষণভাগে একের পর এক আক্রমণ করে গেছে ব্রাজিল। কিন্তু বলটি কিভাবে প্রতিপক্ষের জালে প্রবেশ করাতে হবে, সেটাই যেন জানে না তারা। সব মিলিয়ে অন্তত ২৯বার ক্যামেরুনের জালে গোল দেয়ার চেষ্টা করেছে সেলেসাওরা। কিন্তু একবারও পারলো না আফ্রিকান দেশটির জালে বল প্রবেশ করাতে।
উল্টো ইনজুরি সময়ে ভিনসেন্ট আবু বকরের গোলে ১-০ ব্যবধানে ক্যামেরুনের কাছে হেরেই গেলো ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। যদিও ব্রাজিলকে হারিয়ে ক্যামেরুনের কোনোই লাভ হলো না। অন্য ম্যাচে সার্বিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছে সুইজারল্যান্ড।
৮৬তম মিনিটে মাঠে নেমেছিলেন এনগোম এমবেকেলি। ৯২তম মিনিটে (৯০+২ ইনজুরি সময়) তিনি ডান প্রান্ত থেকে বল নিয়ে এগিয়ে আসেন এবং অসাধারণ একটি ক্রস করেন ব্রাজিলের গোলমুখে। ভিনসেন্ট আবুবকর দৌড়ে এসে সেই ক্রসে অসাধারণ এক হেড নেন। পোস্টের ডান পাশ দিয়ে বলটি জড়িয়ে গেলো ব্রাজিলের জালে।
গোল করেই আনন্দের আতিশয্যে নিজের শরীরে জার্সি খুলে ফেলেন আবু বকর। যা হলুদ কার্ডযোগ্য অপরাধ। যে কারণে, তাকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। আগেই একটি হলুদ কার্ড দেখার কারণে গোল দিয়েই লাল কার্ড দেখে মাঠ থেকে বের হতে হলো গোলদাতাকে।
অথচ, এতগুলো আক্রমণ সাজালো ব্রাজিল। মুহূর্তের ব্যবধানে ক্যামেরুনের বক্সে বল নিয়ে যাচ্ছে, মুহূর্তের ব্যবধানে গোলের সুযোগ তৈরি করছে, কিন্তু ক্যামেরুনের পোস্টের সামনে গেলেই খেই হারিয়ে ফেলে। হয় গোলরক্ষক বরাবর শট, নয়তো উপরে মেরে দিচ্ছে, নয়তো দুর্বল শট নিচ্ছে।
ম্যাচের শুরু থেকে লেফট উইংয়ে খেলেছেন মার্টিনেল্লি। অসংখ্য বল পেয়েছেন। অসংখ্য সুযোগ তৈরি করেছেন। অসংখ্যবার পোস্টে শট নিয়েছেন। কিন্তু শট নিতে গেলেই যেন মনে হচ্ছে তাতে কোনো ধার নেই। দ্বিতীয়ার্ধে ফ্রেডের পরিবর্তে মাঠে নামা ব্রুনো গুইমারেস যেন গোল মিসের মহড়া দিমে নেমেছিলো। এতগুলো সহজ সুযোগ তিনি পেয়েছিলেন! অথচ, সবগুলোই মেরেছেন পোস্টের ওপর দিয়ে।
ক্যামেরুন গোলরক্ষক ডেভিস পাসিও প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। অসাধারণ দক্ষণ ব্রাজিলের অনেকগুলো শট ঠেকিয়েছেন তিনি। যদিও সবগুলো বলই এসেছে তার বরাবর। কঠিন কোনো পরীক্ষাই দিতে হয়নি তাকে।
আগেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে বসে আছে ব্রাজিলের। তারওপর, দলে বেশ কয়েকটি ইনজুরি এবং বেশ কয়েকজন ফ্লু জ্বরে আক্রান্ত। এ কারণে কোচ তিতে ক্যামেরুনের বিপক্ষে পুরো পরিবর্তিত একাদশ মাঠে নামান।
ক্যামেরুনেরও ছিল দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ। সে ক্ষেত্রে প্রথমে হারাতে হবে ব্রাজিলকে। এরপর দেখতে হবে অন্য ম্যাচে কী হয়। ব্রাজিলকে হারানোর কাজটি করতে পারলেও অন্য ম্যাচে সুইজারল্যান্ড জিতে যাওয়ায় আর তাদরে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া হলো না।
অন্যদিকে সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে পয়েন্ট সমান হলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ব্রাজিলেই হলো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন এবং সুইজারল্যান্ড হলো রানারআপ।
পরিবর্তিত একাদশ খেলেছে নাকি মূল একাদশ খেলেছে বোঝা গেলো না। অনেক আক্রমণ করার পরও ক্যামেরুনের জালে বল প্রবশে করাতে পারলো না ব্রাজিল।
বরং, শেষ মুহূর্তে উল্টো ব্রাজিলের জালেই বল প্রবেশ করিয়ে দিয়েছিলো প্রায় ক্যামেরুন। গোলরক্ষক এডারসনের দৃঢ়তায় রক্ষা পেয়েছে সেলেসাওরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের পসরা সাজায় ব্রাজিল। একপাশে মার্টিনেল্লি, অন্যপাশে গ্যাব্রিয়েল হেসুস এবং অ্যান্টোনি। মাঝে ফ্রেড এবং ফ্যাবিনহো। প্রথম একাদশের অভাব বুঝতেই দিচ্ছিলেন না তারা। ক্যামেরুনের রক্ষণ ভেঙে বার বার ভেতরে বল নিয়ে প্রবেশ করছিলেন।
বাম পাশে ভিনিসিয়ুসের জায়গায় আর্সেনাল তারকা মার্টিনেল্লি অসাধারণ ফুটবল খেলেন। বারবার আক্রমণ শানিয়ে দেন তিনি। কখনো নিজে শট করে গোল করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কাঙ্খিত গোলটাই বের করতে পারেননি তারা।
১৪তম মিনিটেই মার্টিনেল্লি দুর্দান্ত এক হেড নেন; কিন্তু ক্যামেরুন গোলরক্ষক ডেভিস পাসি কোনোমতে পাঞ্চ করে কর্নারের বিনিময়ে গোল রক্ষা করেন।
৩৭তম মিনিটে ফ্রেডের কাছ থেকে বল পেয়ে ডান পাশ থেকে অসাধারণ এক শট নিয়েছিলেন অ্যান্টোনি; কিন্তু বল চলে যায় সোজা ক্যামেরুন গোলরক্ষকের কাছে।
প্রথমার্ধের স্টপেজ টাইমে (৪৫+১ মিনিটে) মার্টিনেল্লির অসাধারণ শট কর্নারের বিনিময়ে কোনোমতে রক্ষা করেন ক্যামেরুন গোলরক্ষক।
একই সময়ে কর্নার কিক থেকে ভেসে আসা বলেও গোলের সুযোগ পেয়েছিলো ব্রাজিল। কিন্তু রদ্রিগো শটটি বাইরে মেরে দেন।
৪৫+৩ মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলো ক্যামেরুন। ২০ নম্বর জার্সিধারি ব্রায়ান এমবেউমোর অসাধারণ হেড নিশ্চিত প্রবেশ করতো ব্রাজিলের জালে; কিন্তু ক্যামেরুনের দুর্ভাগ্য। গোলরক্ষক এডারসন অসাধারণ দক্ষতায় শেষ মুহূর্তে পাঞ্চ করে বলটিকে গোলে প্রবেশ করা থেকে বাঁচান।
অর্থসংবাদ/কেএ
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

খেলাধুলা
এলিটার ইতিহাস গড়া ম্যাচে বাংলাদেশের জয়

পূর্ব আফ্রিকার দেশ সিশেলসের বিপক্ষে ফিফা ফ্রেন্ডলি সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। শনিবার (২৫ মার্চ) সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ১-০ গোলে হারিয়েছে দেশটিকে। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেছেন ফিনল্যান্ড প্রবাসী ডিফেন্ডার তারিক রায়হান কাজী।
এ ম্যাচে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের লাল-সবুজ জার্সিতে খেলার স্বপ্নপূরণ হয়েছে নাইজেরিয়ার নাগরিকত্ব ত্যাগ করে বাংলাদেশি হওয়া এলিটা কিংসলের। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে কিংসলেকে মাঠে নামান কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। আমিনুর রহমান সজিবের বদলে তাকে মাঠে নামানো হয়।
কিংসলে দুই বছর আগে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে বসুন্ধরা কিংসের জার্সিতে তিনি এএফসি কাপের দুটি ম্যাচ খেললেও তার স্বপ্ন ছিল জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে নামা। গত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আগে প্রাথমিকদলে কিংসলেকে ডেকেছিলেন ওই সময়ের কোচ অস্কার ব্রুজোন। তবে কিছু কাগজ-পত্রের ঘাটতি থাকায় বাফুফে তাকে খেলানোর ঝুঁকি নেননি। অবশেষ সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেক হলো তার। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে আবাহনীর জার্সিতে স্থানীয়দের মধ্যে সর্বাধিক ৭ গোল করেছেন কিংসলে।
প্রথমার্ধের শুরু থেকেই বাংলাদেশ প্রাধান্য নিয়ে খেললেও গোলের দেখা মিলছিল না। অবশেষে সেই কাঙ্ক্ষিত গোলটি আসে ৪৩ মিনিটে। বক্সের বাইরে জামাল ভূঁইয়ার নেওয়া ফ্রি-কিক ছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীদের গোলের উৎস। জামালের ফ্রি-কিক হেডে ক্লিয়ার করতে চেয়েছিলেন সিশেলসের ডিফেন্ডার ব্র্যান্ডন মলে। কিন্তু বল চলে যায় বাংলাদেশ ডিফেন্ডার তারিক কাজীর কাছে। তিনি নিখুঁত হেডে বল জড়িয়ে দেন অতিথি দলটির জালে।
নিজের অভিষেক ম্যাচে গোলের সুযোগও পেয়েছিলেন কিংসলে। ৬১ মিনিটে মতিন মিয়ার বাড়িয়ে দেওয়া বলটি যখন ধরেছিলেন এলিটা কিংসলে তখন তার সামনে কেবল সিশেলসের গোলরক্ষক আলভিন মিচেল। ইতিহাস গড়া ম্যাচে গোল করে সেই ইতিহাসে আরও রং ছাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি কিংসলে। যে শটটি তিনি নিলেন সেটা চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
৮৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ডন ম্যাক্সিমের ফ্রি-কিকে বাংলাদেশের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো পরাস্ত হলেও বল বাইরে চলে যায় ক্রসবারে লেগে। বেঁচে যায় বাংলাদেশ। পরের মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ এসেছিল সেই এলিটা কিংসলের মাধ্যমে। কিন্তু তার নেওয়া শট রুখে দেন সিশেলস গোলরক্ষক। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ ২৮ মার্চ।
বাংলাদেশ একাদশ
আনিসুর রহমান জিকো, তারেক রায়হান কাজী, সাদ উদ্দিন, রিমন হোসাইন, তপু বর্মণ, মো. সোহেল রানা (জনি), রাকিব হোসেন (সুমন রেজা), সোহেল রানা, জামাল ভূঁইয়া (মতিন মিয়া), মজিবুর রহমান জনি (রবিউল) ও আমিনুর রহমান সজিব (এলিটা কিংসলে)।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
সাকিব আল হাসানের জন্মদিন আজ

বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ৩৬তম জন্মদিন আজ। ১৯৮৭ সালের এই দিনে (২৪ মার্চ) মাগুরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন সাকিব।
২০০৬ সালে বিকেএসপিতে হাতেখড়ির পর মাত্র ১৯ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু সাকিবের। এরপরের পরিসংখ্যান তো কম-বেশি সবারই জানা। ২০১১ বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বর্তমানেও অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ডের ভার রয়েছে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ৩ ফরম্যাটেই সেরা অলরাউন্ডার হয়েছেন সাকিব। তবে ২০১৯ বিশ্বকাপে ব্যাটে-বলে যা করে দেখিয়েছেন তা ছিলো অবিশ্বাস্য। রেকর্ডের পর রেকর্ড ভেঙেছেন, গড়েছেনও।
মাঠের বাইরে নানা বিতর্ক আর সমালোচনাকে থোড়াই কেয়ার করেন তিনি। তবে মাঠের খেলায় তার সিরিয়াসনেসের কমতি নেই। ঘরের মাঠে তার নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে টি-টোয়েন্টির বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ঐতিহাসিক হোয়াইটওয়াশ করেছেন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে। কেবল দেশের হয়েই নন, সাকিব বিদেশী সব ফ্র্যাঞ্চাইজি আসরেও তার দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে চলেছেন। যার কল্যাণে স্লোগান উঠেছে ‘বাংলাদেশের জান, বাংলাদেশের প্রাণ, সাকিব আল হাসান।’
সাকিব আল হাসানের গণ্ডি শুধুমাত্র ক্রিকেটেই সীমাবদ্ধ নয়। বাইরের নানা সম্পৃক্ততায়ও সফল সাকিব। বিজ্ঞাপনের মডেল থেকে উদ্যোক্তা, চ্যারিটিতেও সুনাম কুড়িয়েছেন। গড়েছেন নিজের নামে ক্রিকেট একাডেমি। নিজের ৩৬তম জন্মদিনেও সাকিব অনন্য এক উদ্যোগ নিয়েছেন। এদিন ‘সাকিব আল হাসান ক্যান্সার ফাউন্ডেশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন তিনি।
নানা বিতর্কে সরগরম থাকা বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার মানবিক কর্মকাণ্ডগুলোকে খুব একটা সামনেও আনেন না। নীরবে-নিভৃতেই ভালো কাজগুলো করে যান। এবার আরও বড় পরিসরে দেশের মানুষের সেবায় নিয়োজিত হতে যাচ্ছেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। দেশের সুবিধাবঞ্চিত ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসায় সহযোগিতা করতেই সাকিব আল হাসান ক্যান্সার ফাউন্ডেশন গড়ে তোলা বলে জানান উদ্যোক্তারা।
ক্রিকেটের ২২ গজে সাকিব সবসময় সিরিয়াস। আবার সতীর্থদের সঙ্গে খোশমেজাজেও তিনি ভিন্ন এক সাকিব। স্ত্রী, সন্তানদের সঙ্গে পুরোদস্তুর ফ্যামিলিম্যান। অর্থ্যাৎ সব ভূমিকাতেই তিনি পূর্ণাঙ্গ একজন অলরাউন্ডার।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
আবহাওয়ার চোখ রাঙানি নেই, সিরিজ জিতবে বাংলাদেশ!

দ্বিতীয় ম্যাচে ইতিহাস সেরা ৩৪৯ রান করেও বাংলাদেশের পাশে ‘জয়’ শব্দটি লেখা হলো না বৃষ্টির কারণে। তামিমের ১৫ হাজার, মুশফিকের ৭ হাজার এবং দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড চাপিয়ে বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল ওয়ানডে ইতিহাসে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় স্কোর। কিন্তু বৃষ্টির কারণে আয়ারল্যান্ড ব্যাট করতেই নামতে পারেনি। ফলে ম্যাচ হলো পরিত্যক্ত।
প্রথম ম্যাচে রেকর্ড ১৮৩ রানের ব্যবধানে জয় পেয়েছিল তামিম ইকবালের দল। দ্বিতীয় ম্যাচে ফল হলে নিশ্চিত সিরিজও জয় হয়ে যেতো বাংলাদেশের। তখন শেষ ম্যাচটি হতো কেবল আনুষ্ঠানিকতার।
কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে ফল না হওয়ায় এখন শেষ ম্যাচটি পরিণত হয়েছে অঘোষিত ফাইনালে। অর্থাৎ বাংলাদেশের সামনে সিরিজ জয়ের মিশন এবং আয়ারল্যান্ডের সামনে সিরিজ বাঁচানোর তথা সমতা আনার মিশন।
কে সফল হবে এই মিশনে? বলা মুশকিল। কারণ ক্রিকেট হলো গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা। প্রথম দুই ম্যাচ বাংলাদেশে ভালো খেলেছে বলে শেষ ম্যাচেও একই খেলা খেলতে পারবে তার নিশ্চয়তা নেই। পারলে তো কথা নেই, সিরিজ নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। অন্যথা হলে তুমুল লড়াই হতে পারে শেষ ম্যাচে এসে।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডে হারের পর চট্টগ্রাম গিয়েই জয়ের খোঁজ পায় টাইগাররা। এরপর টানা তিন টি-টোয়েন্টিতে ইংলিশদের হারিয়ে হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড বাংলাদেশের মাটিতে থাকতে থাকতেই চলে এলো আইরিশরা।
সিলেটে তাদের বিপক্ষে ওয়ানডে শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশ বলতে গেলে বিধ্বস্ত হয়েছিল। কিন্তু মূল লড়াইয়ে এসে তামিম ইকবালের দলের সামনে আর দাঁড়াতে পারেনি আয়ারল্যান্ড ক্রিকেটাররা।
সাকিব, তাওহিদ হৃদয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ওই ম্যাচে বাংলাদেশ পেয়েছিল ৩৩৮ রানের বিশাল সংগ্রহ। যা তখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর। জবাবে ১৫৫ রানে অলআউট আয়ারল্যান্ড। বাংলাদেশ জয় পেল ১৮৩ রানের রেকর্ড ব্যবধানে।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মুশফিকের ৬০ বলে ১০০, শান্তর ৭৩ এবং লিটনের ৭০ রানের ওপর ভর করে ৩৪৯ রানের বিশাল স্কোর গড়ে তোলে টাইগাররা। এরপরই নামে বৃষ্টি।
আজ সিলেটের আকাশ আংশিক মেঘলা থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় আবহাওয়া মোটামুটি ভালো। সুতরাং বৃষ্টির চোখ রাঙানিও থাকছে না। ফলে সিরিজ জয়ের সুবর্ণ সুযোগ টাইগারদের সামনে। তারা কি পারবে, এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে?
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
ফুটবলকে বিদায় জানালেন ওজিল

জার্মানির হয়ে বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার মেসুত ওজিল পেশাদার ফুটবল থেকে বিদায় নিয়েছেন । ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের পর জাতীয় দল থেকে অবসর নেন রিয়াল মাদ্রিদ ও আর্সেনালের সাবেক এই ফুটবলার। এবার পেশাদার ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন ওজিল।
বুধবার (২২ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এক পোস্টের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন ওজিল। তিনি লিখেন, ‘চিন্তা-ভাবনার পর, পেশাদার ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিচ্ছি। আমি প্রায় ১৭ বছর ধরে পেশাদার ফুটবলার হওয়ার সৌভাগ্য পেয়েছি। আমি অবিশ্বাস্যভাবে কৃতজ্ঞ বোধ করছি সেই সুযোগ পাওয়ার জন্য। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহ এবং মাসগুলিতে, কিছু ইনজুরিতে ভুগছি। তাই ফুটবলের বড় মঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার এটাই সময়।’
২০১৪ সালের বিশ্বকাপে জার্মানিকে চ্যাম্পিয়ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ওজিল। জার্মানির হয়ে ৯২ ম্যাচে ২৩ গোল করেন এই মিডফিল্ডার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
রমজানে ইংলিশ ফুটবল লিগে খেলোয়াড়দের বিরতি দেওয়ার নির্দেশ

রমজান মাস উপলক্ষ্যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ এবং ইংলিশ ফুটবল লিগে খেলা চলাকালে খেলোয়াড়দের বিরতি দেয়াসহ রেফারিদের বেশকিছু বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন-এফএ। ফলে এখন থেকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের প্রত্যেক ম্যাচের সময় রোজা রাখা মুসলিম ফুটবলার এবং ম্যাচ কর্মকর্তাদের জন্য বিশেষ বিরতি দেবেন রেফারিরা।
আগে ফুটবলাররা নিজে থেকে বিরতি বা ইফতারের সময় খুঁজে নিতেন। তবে এবার রমজান শুরুর আগেই এফএ’র বিশেষ চার্টারে সবগুলো ক্লাব সম্মত হয়েছে। এর ফলে রোজাদার মুসলিম ফুটবলার ইফতারের সময় তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিরতি দেয়া হবে।
এর আগে ২০২১ সালে ‘মুসলিম অ্যাথলিট চার্টার’ নামে একটি সনদে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মতি জানিয়েছিল কয়েকটি ক্লাব। ওই চার্টারটি সকল মুসলিম অ্যাথলিটদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
কিন্তু এবার এফএ’র নতুন নির্দেশনায় বিষয়টি এখন থেকে সব ফুটবল ম্যাচের জন্য প্রযোজ্য হবে। -বিবিসি