আন্তর্জাতিক
রাশিয়ায় তেলের ট্যাংকে আগুন

রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে তেল সংরক্ষণের একটি বড় ট্যাংকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার ভোরে ট্যাংকটিতে আগুন লাগে বলে নিশ্চিত করেছেন ব্রায়ানস্ক গভর্নর আলেকজান্ডার বোগোমাজ। খবর রয়টার্সের।
আলেকজান্ডার বোগোমাজ জানান, ব্রায়ানস্ক অঞ্চলটি রাশিয়ার ইউক্রেন সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত। সেখানকার উত্তরাঞ্চলীয় সুরাজ জেলায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে আগুন ১৯ হাজার বর্গফুট এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি জানান, অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে রয়েছে।
গভর্নর আলেকজান্ডার বোগোমাজ জানান, এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, তাদের পক্ষে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
অর্থসংবাদ/কেএ
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়াল

তুরস্ক ও সিরিয়ায় আঘাত হানা ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। সর্বশেষ তথ্য মতে, দুই দেশে ৫ হাজার ২১ জন মারা গেছেন। তুরস্কে ৩ হাজার ৪১৯ জন আর সিরিয়ায় এক হাজার ৬০২ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ১৮ হাজারের বেশি মানুষ।
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানিয়েছে, বাশার আল আসাদ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কমপক্ষে ৮১২ জন নিহত হয়েছেন। আলেপ্পো, লাতাকিয়া, হামা, ইদলিব ও তার্তুস প্রদেশে এক হাজার ৪৪৯ জন আহত হয়েছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে কর্মরতরা ৭৯০ জনের মৃত্যুর সংবাদ দিয়েছে। তবে, মৃত্যুর সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে বলে জানা গেছে।
তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত উকতাই বলেছেন, দুই দিনে তাদের দেশে মোট ৩ হাজার ৪১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার কর্মকর্তা ওরহান তাতার মঙ্গলবার জানিয়েছেন, অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজে ২৩ হাজার ৪০০ কর্মী যোগ দিয়েছেন। ১০টি প্রদেশে ৭ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। আর ৫ হাজার ৭৭৫টি ভবন ধসে যাওয়ার খবর নিশ্চিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপ শহরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পের পর আরো অন্তত ৭৭টি আফটারশক (পরাঘাত) অনুভূত হয়, যার মধ্যে তিনটি ছিল রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার বেশি। আবার একটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫ মাত্রার।
এদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে উদ্ধারকারী দল তুরস্কে এসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তুরস্ককে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীনসহ বিশ্বের বহু দেশ সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ইউএই’র তেল-বহির্ভূত আয় ৬০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে

গত ২০২২ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) তেল-বহির্ভূত খাতে আয় ২ দশমিক ২৩ ট্রিলিয়ন দিরহাম বা ৬০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি ও হাইড্রোকার্বন নির্ভরতা কমিয়ে পর্যটন, অর্থ ও পরিষেবাখাতে মনোযোগে দেশটির তেল-বহির্ভূত আয় বেড়েছে। খবর দ্য ন্যাশনাল।
সমাপ্ত বছরে দেশটির তেল-বহির্ভূত বৈদেশিক বাণিজ্য হয়েছে ৬০ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। তেল-বহির্ভূত বৈদেশিক বাণিজ্য অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে বলে জানান ইউএইর বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী ড. থানি আল জিয়ুদি।
ইউএই কর্তৃপক্ষ জানায়, গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরে তাদের তেল-বহির্ভূত বৈদেশিক বাণিজ্য প্রথমবারের মতো ২ ট্রিলিয়ন দিরহাম ছাড়াল। ২০২১ সালের তুলনায় দেশটির তেল-বহির্ভূত বাণিজ্য ১৭ শতাংশ বেড়েছে।
এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতি চীন ছিল ইউএইর শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার। তাদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হয়েছে ২৬ হাজার ৪৫ কোটি দিরহাম। ইউএইর অন্যান্য শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার যথাক্রমে; ভারত (১৮ হাজার ৯০ কোটি দিরহাম), সৌদি আরব (১৩ হাজার ৫২০ কোটি দিরহাম) এবং যুক্তরাষ্ট্র (১১ হাজার কোটি দিরহাম)।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় প্রাণহানি ৩৮০০ ছাড়াল

তুরস্ক ও সিরিয়ায় আঘাত হানা ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা সাড়ে ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। দুই দেশে এ পর্যন্ত ৩ হাজার ৮২৩ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে শুধু তুরস্কেই মারা গেছেন ২ হাজার ৩৭৯ জন। সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৪৪ জনে। খবর বিবিসির।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত দেশটিতে দুই হাজার ৩৭৯ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৪ হাজার ৪৮৩ জন। দেশটিতে অন্তত পাঁচ হাজার ৬০৬টি বহুতল ভবন ধসে পড়েছে।
অন্যদিকে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪৪৪ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া দেশটিতে সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ভূমিকম্পে হতাহতদের খবর আসার শুরুতে সতর্ক করে জানিয়েছিল, শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে শেষ পর্যন্ত মৃত্যু আটগুণ বাড়তে পারে।
এদিকে, ভূমিকম্পে হতাহতদের স্মরণে সাতদিনে জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। স্থানীয় সময় সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক টুইটবার্তায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
টুইটবার্তায় প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান লেখেন, ‘সাতদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। এসময়ে আমাদের জাতীয় পাতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করা হবে। আগামী রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সূর্যাস্ত পর্যন্ত এ শোক পালন করা হবে। দেশে ও বিদেশে তুরস্কের বিভিন্ন অফিসে হতাহতদের প্রতি শোক জানিয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলনের আহ্বান জানাচ্ছি।’
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোররাত সোয়া ৪টার দিকে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ৪০ সেকেন্ড ধরে চলা এ ভূমিকম্পের কম্পন পৌঁছায় লেবানন ও সাইপ্রাসেও।
ধারণা করা হচ্ছে, সোমবার ভোরে আঘাত হানা ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনগুলোতে অসংখ্য মানুষ আটকা পড়েছে। কর্মীরা ধ্বসংস্তূপের মধ্য থেকে আটকে পড়াদের উদ্ধারে তৎপরতা জোরালো করেছে। ভয়াবহ এ ভূমিকম্পে তুরস্কের অন্তত ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব শহর দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। আল-জাজিরার সাংবাদিক সিনেম কোসেওগ্লু ইস্তাম্বুল থেকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
১৯৯৯ সালের পর এটাই তুরস্কে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। ওই বছরের আগস্টে সাত দশমিক ছয় মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প তুরস্কের দক্ষিণে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল মারমারায় আঘাত হানে। ১৯৯৯ সালের ভূমিকম্পে দেশটিতে সাড়ে ১৭ হাজার মানুষ নিহত হয়।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভূমিকম্পে তুরস্কে প্রাণহানি ১০ হাজার ছাড়াতে পারে: ইউএসজিএস

গত ৮ দশকের বেশি সময় পর রেকর্ড সর্বোচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ তুরস্কে। প্রতিবেশী সিরিয়াতেও প্রচণ্ড কম্পন অনুভূত হয়েছে। সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত তুরস্কে ২৮৪ এবং সিরিয়ায় ৩৮৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। দুই দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬শ।
কেবল তুরস্কেই প্রাণহানির সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস।
সংস্থাটি বলেছে, সোমবার ভোরে দক্ষিণ তুরস্কে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে এবং এটি এক লাখে পৌঁছারও কিছুটা আশঙ্কা আছে।
ওই অঞ্চলের অতীতের ভূমিকম্প, সর্বাধিক কম্পনের আওতাধীন এলাকার জনসংখ্যার কাঠামো এবং সবচেয়ে বেশি আঘাতপ্রাপ্ত অঞ্চলের অবকাঠামোগত দুর্বলতার ওপর ভিত্তি করে এমন অনুমান করেছে মার্কিন এ সংস্থা।
ইউএসজিএস বলেছে, ভূমিকম্পে তুরস্কে প্রাণহানি এক হাজার থেকে ১০ হাজার জনে পৌঁছানোর সম্ভাবনা ৪৭ শতাংশ। আর ১০০ থেকে ১ হাজার জনে পৌঁছানোর সম্ভাবনা ২৭ শতাংশ। তবে ১০ হাজার থেকে এক লাখের মধ্যে পৌঁছানোর সম্ভাবনাও রয়েছে, সেটি ২০ শতাংশ।
ইউএসজিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রেকর্ড মাত্রার এই ভূমিকম্পে ব্যাপক হতাহত এবং ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এই ভূমিকম্পের বিপর্যয় প্রবল হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
‘ওই অঞ্চলের মানুষ এমন অবকাঠামো ব্যবস্থায় বসবাস করেন, যেগুলো ভূমিকম্পের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তবে কিছু ভূকম্পন প্রতিরোধী অবকাঠামোও রয়েছে সেখানে।’
ভূমিকম্পের আর্থিক ক্ষতি ১০০ কোটি ডলার থেকে এক হাজার কোটি ডলারের মধ্যে হতে পারে যা তুরস্কের জিডিপির প্রায় ২ শতাংশের সমান।
ভূমিকম্প বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, তুরস্কে সোমবারের এই ভূমিকম্প ৮ দশকের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। ৮০ বছরেরও বেশি সময় আগে দেশটিতে আজকের মতো শক্তিশালী এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ভূতাত্ত্বিক স্টিফেন হিকস বলেন, আগের সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পটিও ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ছিল। সেটি ১৯৩৯ সালের ডিসেম্বরে উত্তর-পূর্ব তুরস্কে আঘাত হানে এবং এতে ৩০ হাজার মানুষ মারা যান।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর এলাজিগে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে অন্তত ৪১ জন নিহত ও এক হাজার ৬০০ জনের বেশি আহত হন।
সিরিয়ার জাতীয় ভূমিকম্প কেন্দ্রের প্রধান রায়েদ আহমেদ রাষ্ট্রীয় এক রেডিও স্টেশনকে বলেছেন, আজকের এই ভূমিকম্প তাদের ভূকম্পন কেন্দ্রের ইতিহাসে রেকর্ড করা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প। সিরিয়ার এই ভূমিকম্প কেন্দ্র ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
এসএস
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
এবার রুশ জ্বালানি নিষিদ্ধ করল ইইউ

রাশিয়ার ডিজেল জ্বালানি এবং অন্যান্য পরিশোধিত তেল পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সেইসঙ্গে জ্বালানির বিষয়ে রুশ নির্ভরতা হ্রাস এবং জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে মস্কোর আয় কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছে ইউরোপ। ইউক্রেনে আগ্রাসনের জবাবে মস্কোর বিরুদ্ধে সর্বশেষ এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিল ২৭ দেশের সংস্থাটি।
বার্তা সংস্থা এপি বলছে, এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য হলো রাশিয়ান ডিজেল যেন চীন ও ভারতের মতো দেশ (যেসব দেশ পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করছে) ছাড়া অন্য দেশে যেতে না পারে। আর সেটা সম্ভব হলে রাশিয়ার অর্থনীতি সংকুচিত হবে এবং যুদ্ধের ব্যয়ভার বহন করতে হিমশিম খাবে মস্কো। এ ছাড়া হঠাৎ করে যাতে মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিশ্বব্যাপী ভোক্তরা ক্ষতির সম্মুখীন না হয়।
নতুন এই নিষেধাজ্ঞা জ্বালানি পণ্যের দাম নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি করবে। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশ রাশিয়ার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্য এবং ভারত থেকে জ্বালানি আমদানির চেষ্টা করছে। অথচ তা ইউরোপের মোট চাহিদার মাত্র ১০ শতাংশ পূরণ করবে। তাছাড়া রাশিয়ার বন্দরের তুলনায় এসব দেশ থেকে জ্বালানি আমদানি করতে দীর্ঘ যাত্রায় ব্যয়ও বেড়ে যাবে।
এর আগে রাশিয়ার তেলের উপর প্রাইস ক্যাপ (মূল্য বেঁধে দেওয়া) আরোপ করে জি-৭ ভুক্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান ও কানাডা। যেখানে রুশ ডিজেল, জেট ফুয়েল ও পেট্রোলের দাম ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলার নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। অপরদিকে অপরিশোধিত রুশ তেলের প্রতি ব্যারেলের দাম নির্ধারণ করা হয় ৬০ ডলার। এর অতিরিক্ত দামে কোনো দেশ বা কোম্পানি রুশ প্রোডাক্ট কিনলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে মার্কিন মিত্ররা। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে প্রাইস ক্যাপ।