লোকসানি জিল বাংলা সুগার নিয়ে আবারও গুজব!

লোকসানি জিল বাংলা সুগার নিয়ে আবারও গুজব!
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত লোকসানি কোম্পানি জিল বাংলা সুগার মিলস এর শেয়ার নিয়ে আবারও কারসাজির পায়তারায় সক্রিয় একটি গ্রুপ। অনেক দিন ধরেই লোকসানে ডুবে থাকা ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান জিল বাংলা সুগার মিলস শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ দিতে পারছেনা।বছরের পর বছর ধরে কোম্পানিটি লোকসানে নিমজ্জিত। ফলে সর্বশেষ কবে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিয়েছে সে সংক্রান্ত কোনো তথ্য ডিএসইর ওয়েবসাইটে নেই। একাধিক বিনিয়োগকারীর সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে একটি মহল গুজব ছড়িয়ে দিয়েছে কোম্পানিটিতে বিদেশি বিনিয়োগ আসছে। বাস্তবে খোজ নিয়ে জানা গেছে এর কোন ভিত্তি নেই। এর আগেও এমন গুজবের ফলে শেয়ারের দর ৭৬ টাকায় উঠলেও পরে শেয়ার দর নেমে আসে ২৭ টাকায়।এসব কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করতে ডিএসইও সাবধান করছে বিনিয়োগকারীদেরকে।

সম্প্রতি কৃত্রিম সংকট তৈরী করে এমন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর আবরও বাড়াচ্ছে। ফলে গত ১৭ কার্য দিবসে শেয়ারটির দর বেড়ে প্রায় তিন গুন হয়েছে । গত ১২ জুলাই এ কোম্পানির শেয়ার দর ছিল ৩১ টাকা ৬০ পয়সা। যেখানে ৪ আগস্ট শেয়ারের দর বেড়ে দাঁড়ায় ৮২ টাকা ৫০ পয়সা।যেখানে নিয়মিত লভ্যাংশ দেওয়া অনেক কোম্পানির শেয়ার দর এখনও ফ্লোর প্রাইজে পড়ে আছে। শেয়ারবাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন কৃত্রিম সংকট তৈরী করার মাধ্যমে শেয়ার দর বাড়াচ্ছে এক শ্রেনীর চক্র। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে সাধারন বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করতে প্রতিদিনই ডিএসইর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এসব কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

ডিএসই সুত্রে জানা গেছে, এর আগে টানা ৫ বছর বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেয়ায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ জিল বাংলা সুগার মিলসসহ ১৫ টি কোম্পানিকে শেয়ারবাজার থেকে বাদ দেয়ার জন্য (তালিকাচ্যুত) করার জন্য ২০১৮ সালে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়িয়ে জেড গ্রুপে থাকা এই কোম্পানির শেয়ার দর কৃত্রিমভাবে বাড়াচ্ছে একটি চক্র।

তবে ২০১৫ সাল থেকেই কোম্পানিটি বড় ধরনের লোকসানে রয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএসই। ২০১৫ সালে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান করে ৫৬ টাকা ৮৯ পয়সা। পরের বছর ২০১৬ সালে তা বেড়ে ৬২ টাকা ৫৬ পয়সা হয়। এরপর ২০১৭ সালে ৫৪ টাকা ৯ পয়সা, ২০১৮ সালে ৮০ টাকা ৮২ পয়সা এবং ২০১৯ সালে ১০৩ টাকা ৯০ পয়সা শেয়ার প্রতি লোকসান করেছে কোম্পানিটি।

এদিকে চলতি হিসাব বছরেও কোম্পানিটি বড় ধরনের লোকসানে নিমজ্জিত রয়েছে। চলতি হিসাব বছরের ৯ মাসে (২০১৯ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত) ব্যবসা করে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি লোকসান করেছে ৪৪ টাকা ৭২ পয়সা।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত