Connect with us

ধর্ম ও জীবন

জুমার দিন যেসব আমল গুরুত্ব দিয়ে করবেন

Avatar of অর্থসংবাদ ডেস্ক

Published

on

ব্লক

জুমার দিন বা শুক্রবার সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। এই দিনের মর্যাদা ও তাৎপর্য অনেক বেশি।ফজিলতের কারণে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়েছে। জুমার দিনের ফজিলত সম্পর্কে বহু হাদিস বর্ণিত হয়েছে।

আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত। ’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১০৮৪)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘সূর্য উদিত হওয়ার দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়াছে। এই দিনে তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে এবং এই দিনে তাকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। ’ (মুসলিম, হাদিস : ৮৫৪)

জুমার আগে যে চার আমল করবেন

শুক্রবারে বিশেষ কিছু আমল ও সুন্নত রয়েছে। বিভিন্ন হাদিসে সেগুলো বর্ণিত হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ধারাবাহিক কয়েকটি হলো- গোসল করা, উত্তম পোশাক গায়ে দেওয়া, সুগন্ধি ব্যবহার করা ও মনোযোগের সঙ্গে খুতবা শোনা।

আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করে উত্তম পোশাক পরিধান করবে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করবে, যদি তার নিকট থাকে। তারপর জুমার নামাজে আসে এবং অন্য মুসল্লিদের গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যায়। নির্ধারিত নামাজ আদায় করে। তারপর ইমাম খুতবার জন্য বের হওয়ার পর থেকে সালাম পর্যন্ত চুপ করে থাকে। তাহলে তার এই আমল পূর্ববর্তী জুমার দিন থেকে পরের জুমা পর্যন্ত সমস্ত সগিরা গুনাহর জন্য কাফ্ফারা হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৪৩)

আগেভাগে জুমায় যাওয়ার ফজিলত

জুমার দিন আগেভাগে মসজিদে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ আমল। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, ‘হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য  উত্তম যদি তোমরা বোঝো। ’ (সুরা জুমা, আয়াত : ০৯)

এক হাদিসে আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন মসজিদের দরজায় ফেরেশতারা অবস্থান করেন। এবং ক্রমানুসারে আগে আগমনকারীদের নাম লিখতে থাকেন। যে সবার আগে আসে সে ওই ব্যক্তির মতো— যে একটি মোটাতাজা উট কোরবানি করে। এরপর যে আসে সে ওই ব্যক্তি— যে একটি গাভী কোরবানি করে। এরপর আগমনকারী ব্যক্তি— মুরগি দানকারীর ন্যায়। তারপর ইমাম যখন বের হন, তখন ফেরেশতাগণ তাদের লেখা বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ সহকারে খুতবা শুনতে থাকেন। (বুখারি, হাদিস : ৯২৯)

সুরা কাহাফ তিলওয়াত যেন ছুটে না যায়
সুরা কাহফ তিলওয়াত করা জুমার দিনের বিশেষ একটি আমল। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহফ পাঠ করবে, তার জন্য দুই জুমা পর্যন্ত নূর উজ্জ্বল করা হবে। ’ (আমালুল ইয়াওমী ওয়াল লাইল, হাদিস : ৯৫২)

বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা

নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা জুমার দিনের ফজিলতপূর্ণ আরেক আমল। আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘দিনসমূহের মধ্যে জুমার দিনই সর্বোত্তম। এই দিনে আদম (আ.)-কে সৃষ্টি করা হয়েছে। এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেছেন। এই দিনে শিঙ্গায় ফুঁ দেওয়া হবে। এই দিনে সমস্ত সৃষ্টিকে বেহুঁশ করা হবে। অতএব তোমরা এই দিনে আমার ওপর অধিক পরিমাণে দরুদ পাঠ করো। কেননা, তোমাদের দরুদ আমার সম্মুখে পেশ করা হয়ে থাকে। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৭)

জুমার দিন দোয়া করতে অবহেলা নয়

জুমার দিনের বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ একটি আমল হচ্ছে দোয়া করা। জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে প্রিয় নবী (সা.) বলেন, জুমার দিনের বারো ঘণ্টার মধ্যে একটি বিশেষ মুহূর্ত এমন আছে যে, তখন কোনো মুসলমান আল্লাহর নিকট যে দোয়া করবে আল্লাহ তা কবুল করেন। (আবু দাউদ, হাদিস : ১০৪৮)

আল্লাহ তাআলা আমাদের সুন্দর ও স্বার্থকভাবে জুমার দিন কাটানোর তাওফিক দান করুন। পবিত্র এই দিনের কল্যাণ, সওয়াব ও ফজিলত দিয়ে আমাদের ভূষিত করুন।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ধর্ম ও জীবন

ঘুমের আগে যে আমল করলে আল্লাহ নিরাপদ রাখবেন

Published

on

ব্লক

মুমিনের প্রতিটি কাজই ইবাদত। ঘুমও এর ব্যতিক্রম নয়। যদি কোনো ব্যক্তি ইসলামের নির্দেশিত পদ্ধতিতে ঘুমায়, তার ঘুমও ইবাদতে পরিণত হয়। রাতে ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পড়া হলে তার জন্য আল্লাহ তায়ালা একজন ফিরিশতা নিযুক্ত করে দেন। যিনি পুরো রাত তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকেন।

সহিহ বুখারিতে আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে একটি হাদিসে এসেছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াাসাল্লাম বলেছেন,

إِذَا أَوَيْتَ إِلَى فِرَاشِكَ فَاقْرَأْ آيَةَ الكُرْسِيِّ، لَنْ يَزَالَ مَعَكَ مِنَ اللهِ حَافِظٌ، وَلاَيَقْرَبُكَ شَيْطَانٌ حَتَّى تُصْبِحَ

যখন তুমি শয্যা গ্রহণ করবে তখন আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে। তাহলে সর্বদা আল্লাহর পক্ষ হতে তোমার জন্য একজন হেফাযতকারী থাকবে এবং সকাল পর্যন্ত তোমার কাছে শয়তান আসতে পারবে না। (সহিহ বুখারি, হাদিস, ৫০১০)

রাতেবেলা ঘুমের সময় নিরাপদ থাকতে আরও বেশ কিছু আমল করার কথা বলা হয়েছে। এমন আরেকটি আমল হলো ঘুমের আগে আয়াতুল কুরসি পাঠ করা। সুনানে আবি দাউদে হজরত নাওফাল আশজায়ী রাদিয়াল্লাল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেন-

اقْرَأْ قُلْ يَاأَيُّهَا الْكَافِرُون ثُمَّ نَمْ عَلَى خَاتِمَتِهَا، فَإِنَّهَا بَرَاءَةٌ مِنَ الشِّرْكِ

তুমি قُلْ یٰۤاَیُّهَا الْكٰفِرُوْنَ সূরাটি পড়ে ঘুমাও। কেননা তা শিরক থেকে মুক্তকারী। -(সুনানে আবি দাউদ, হাদিস, ৫০৫৫)

ঘুমের আগে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়ার কথাও বলা হয়েছে হাদিসে। হজরত আবু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

مَنْ قَرَأَ بِالْآيَتَيْنِ مِنْ آخِرِسُورَةِ الْبَقَرَةِ فِي لَيْلَةٍ كَفَتَاهُ

যে ব্যক্তি রাতে সূরা বাকারার শেষ দুটি আয়াত পাঠ করবে তার জন্য তা-ই যথেষ্ট হবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস, ৫০০৯)

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

সৌদিতে ইসলাম গ্রহণের হিড়িক

Published

on

ব্লক

ইসলাম গ্রহণের হিড়িক পড়েছে সৌদি আরবে। দেশটিতে গত এক বছরে অর্ধ লাখেরও বেশি লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। ধর্ম গ্রহণকারীরা এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশের অধিবাসী। সূত্র সৌদি গেজেট।

জানা যায়, চলতি বছরের শুরু থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত দেশটিতে ৫৬ হাজার ৫৬১ জন ইসলাম গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে পুরুষ রয়েছেন ৪১ হাজার ৬০৯ জন এবং নারী রয়েছেন ১৪ হাজার ৯৫২ জন।

দেশটির ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন শাখার তত্ত্বাবধানে অমুসলিমদের কাছে ইসলামের শিক্ষা উপস্থাপন করা হয়। সংশ্লিষ্ট শাখার বিশেষজ্ঞ আলেমরা বিভিন্ন ভাষায় ইসলাম প্রচারের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এরা সাধারণত বক্তৃতা, পাঠদান, সেমিনার, কর্মশালাসহ সফরের আয়োজন করে থাকে। কোম্পানি, হাসপাতাল, অভিবাসী শ্রমিকদের জমায়েতের স্থানসহ বিভিন্ন স্থানে এসব আয়োজন করা হয়।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

জুমার দিন যে তিন কাজ থেকে বিরত থাকবেন

Published

on

ব্লক

ইসলামে জুমার দিন সর্বশ্রেষ্ঠ দিন। ইদুল ফিতর ও ইদুল আজহার দিনের চেয়েও জুমার দিনের মর্যাদা ও গুরুত্ব বেশি। রাসুল (সা.) বলেছেন,

إِنّ يَوْمَ الْجُمُعَةِ سَيِّدُ الْأَيّامِ وَأَعْظَمُهَا عِنْدَ اللهِ مِنْ يَوْمِ الْأَضْحَى وَيَوْمِ الْفِطْرِ
জুমার দিন দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ। জুমার দিন আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে মহান দিন। এমনকি এ দিন আল্লাহ তাআলার কাছে ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর তথা ইসলামের দুই ঈদের দিন থেকেও মহান। (সুনানে ইবনে মাজা)

আরেকটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন,

إِنَّ هَذَا يَوْمُ عِيدٍ جَعَلَهُ اللَّهُ لِلْمُسْلِمِينَ فَمَنْ جَاءَ إِلَى الْجُمُعَةِ فَلْيَغْتَسِلْ وَإِنْ كَانَ طِيبٌ فَلْيَمَسَّ مِنْهُ وَعَلَيْكُمْ بِالسِّوَاكِ
নিশ্চয় আল্লাহ এ দিনটিকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিনরূপে নির্ধারণ করেছেন। তাই যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করতে আসবে সে যেন গোসল করে এবং সুগন্ধি থাকলে তা শরীরে লাগায়। মিসওয়াক করাও তোমাদের কর্তব্য। (সুনানে ইবনে মাজা)

কোরআন-হাদিসে জুমার দিন কিছু নেক আমলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, কিছু কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। জুমার দিন বিশেষভাবে বিরত থাকতে হবে এ রকম তিনটি কাজের কথা এখানে উল্লেখ করা হলো।

জুমার আজানের পর দুনিয়াবি কাজ থেকে বিরত থাকুন
কুরআনে আল্লাহ মুমিনদের নির্দেশ দিয়েছেন জুমার নামাজের জন্য ডাকা হলে অর্থাৎ জুমার আজান হয়ে গেলে সব দুনিয়াবি ব্যস্ততা, বেচাকেনা, লেনদেন বাদ দিয়ে দ্রুত আল্লাহর দিকে অগ্রসর হতে। আল্লাহ বলেন,

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِذَا نُوۡدِیَ لِلصَّلٰوۃِ مِنۡ یَّوۡمِ الۡجُمُعَۃِ فَاسۡعَوۡا اِلٰی ذِکۡرِ اللّٰهِ وَ ذَرُوا الۡبَیۡعَ ذٰلِکُمۡ خَیۡرٌ لَّکُمۡ اِنۡ کُنۡتُمۡ تَعۡلَمُوۡنَ
হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে সালাতের জন্য আহবান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও আর বেচা-কেনা বর্জন কর। এটাই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম, যদি তোমরা জানতে। (সুরা জুমা: ৯)

সুতরাং জুমার আজান হয়ে গেলে মসজিদে চলে যাওয়া, সব দুনিয়াবি কাজ বন্ধ করে দেওয়া কুরআনের সরাসরি নির্দেশে ওয়াজিব বা অবশ্য কর্তব্য।

মসজিদে গিয়ে কাতার ডিঙিয়ে সামনে যাওয়া থেকে বিরত থাকুন
তাই জুমার দিন ইমামের কাছাকাছি বসার আগ্রহ ও চেষ্টা থাকা উচিত। কিন্তু সেজন্য আগে আগে মসজিদে উপস্থিত হতে হবে। মসজিদে পরে উপস্থিত হয়ে অন্য মুসল্লিদের ডিঙিয়ে তাদেরকে কষ্ট দিয়ে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করা অন্যায় ও গুনাহের কাজ।

খুতবা চলা অবস্থায় কেউ যদি কাতার ডিঙিয়ে সামনে যেতে চায়, তাহলে অন্য মুসল্লিদের উচিত তাকে এ কাজ করতে নিষেধ করা ও বসিয়ে দেওয়া। খতিব সাহেবের চোখে পড়লে তিনি নিজেই তাকে বসে যাওয়ার নির্দেষ দিতে পারেন। একবার রাসুল সা. জুমার খুতবা দিচ্ছিলেন। তার চোখে পড়লো এক ব্যক্তি মানুষকে ডিঙিয়ে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি তাকে বললেন,

اجْلِسْ فَقَدْ آذَيْتَ وَآنَيْتَ
বসে পড়, তুমি দেরি করে এসেছ, মানুষকে কষ্টও দিচ্ছ। (সুনান আবু দাউদ)

জুমার খুতবার সময় কথা বলা থেকে বিরত থাকুন
জুমার খুতবা শোনা ওয়াজিব। খুতবার সময় অনর্থক কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। রাসুল (সা.) খুতবার সময় চুপ থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করতে গিয়ে কেউ কথা বললে তাকে ‘চুপ কর’ বলতেও নিষেধ করেছেন। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেছেন,

إذا قلت لصاحبك ’أنصت‘ يوم الجمعة والإمام يخطب فقد لغوت
জুমার দিন খুতবার সময় যদি তুমি তোমার সঙ্গীকে বলো, চুপ কর, তাহলেও তুমি অনর্থক কথা বললে। (সহিহ বুখারি)

আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন,

مَن تكلَّم يوم الجمعة والإمام يخطب فهو كمثل الحمار يحمل أسفارً
যে জুমার দিন ইমাম খুতবা দেওয়ার সময় কথা বলে সে কিতাবের বোঝা বহনকারী গাধার মতো। (মুসনাদে আহমদ)

ফকিহরা বলেন, যেসব কাজ নামাজের মধ্যে হারাম, তা খুতবা চলাকালীন সময়ও হারাম। খুতবার সময় সুন্নত-নফল নামাজ পড়াও বৈধ নয়।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অন্যান্য

জুমার বয়ানের সময় নামাজ পড়া যাবে কি

Published

on

ব্লক

জুমার খুতবা জুমার নামাজের অংশ এবং তা শোনা ওয়াজিব। খুতবাপূর্ব বাংলা বয়ান জুমার অংশ নয় এবং তা শোনা ওয়াজিবও নয়। তাই জুমার বয়ানের সময় নামাজ আদায় করা নিষিদ্ধ নয়। তবে এটা যেহেতু যেহেতু দীনী আলোচনা তাই এ সময় কথা বলা বা ব্যক্তিগত কাজ করাসহ মজলিসের আদব পরিপন্থী যে কোনো কাজ করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

জুমার মূল খুতবা জুমার নামাজের অংশ। যেসব কাজ নামাজের মধ্যে হারাম, তা খুতবা চলাকালীন সময়ও হারাম। খুতবার সময় সুন্নত-নফল নামাজ পড়া বৈধ নয়। রাসুল (সা.) খুতবার সময় চুপ থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করতে গিয়ে কেউ কথা বললে তাকে ‘চুপ কর’ বলতেও নিষেধ করেছেন। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেছেন,

إذا قلت لصاحبك ’أنصت‘ يوم الجمعة والإمام يخطب فقد لغوت
জুমার দিন খুতবার সময় যদি তুমি তোমার সঙ্গীকে বলো, চুপ কর, তাহলেও তুমি অনর্থক কথা বললে। (সহিহ বুখারি)
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন,

مَن تكلَّم يوم الجمعة والإمام يخطب فهو كمثل الحمار يحمل أسفارً
যে জুমার দিন ইমাম খুতবা দেওয়ার সময় কথা বলে সে কিতাবের বোঝা বহনকারী গাধার মতো। (মুসনাদে আহমদ)

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ধর্ম ও জীবন

১৩ দিনে হজের নিবন্ধন করেছেন ৮২৪ জন

Published

on

ব্লক

২০২৪ সালে হজে যেতে গত ১৩ দিনে নিবন্ধন করেছেন হজ পালনে ইচ্ছুক ৮২৪ জন। এর মধ্যে সরকারি পর্যায়ে ২৯৬ জন আর বেসরকারি পর্যায়ে ৫২৮ জন।

আগামী বছরের হজযাত্রীদের নিবন্ধন শুরু হয়েছে গত ১৫ নভেম্বর। এ নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলবে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টাল থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি মাধ্যমের কোটায় ১০ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি এজেন্সির কোটায় এক লাখ ১৭ হাজার জন। নিবন্ধনের জন্য হজযাত্রীদের পাসপোর্টের মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকতে হবে।

সরকারিভাবে হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ হবে। বিশেষ হজ প্যাকেজের ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা খরচ হবে। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। প্রথম প্যাকেজের (সাধারণ) খরচ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা। দ্বিতীয় প্যাকেজের খরচ ধরা হয়েছে ৮ লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৪ সালের পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে ১৬ জুন।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
Advertisement
Advertisement IBBL_AD_300 x 250

ফেসবুকে অর্থসংবাদ

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

December 2023
S M T W T F S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31