তাই শীতের সকাল থেকে বাজারে যেমন শিম চোখে পড়ে তেমনি আবার হেঁসেলেও নানা পদের সবজির মাঝে শিম লক্ষ্য করা যায় প্রায় প্রতিদিন। অন্যদিকে মৌসুমি এ শীতের সবজি পুষ্টিগুণেও ভরপুর। প্রতি ১০০ গ্রাম শিমে আছে ৮৬.১ গ্রাম জলীয় অংশ এবং খনিজ উপাদান আছে ০.৯ গ্রাম, আঁশ ১.৮ গ্রাম সঙ্গে ক্যালোরিও ৪৮ কিলো। এর পাশাপাশি শিম থেকে আরও পাবেন ৩.৮ গ্রাম প্রোটিন, ৬.৭ গ্রাম শর্করা, ২১০ মি. গ্রাম ক্যালসিয়াম ও ১.৭ মি. গ্রাম লৌহসহ নানা উপকারী গুণাগুণ। মৌসুমি এ সবজি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বাড়াবে তেমনি সুস্থ হতেও কাজ করবে।
বিশেষ করে গর্ভবতী মা এবং অনাগত সন্তানের পুষ্টি যোগাতে শিম বেশ কার্যকর। এ ছাড়া কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করতে এবং কোলন ক্যানসার থেকে সুরক্ষিত রাখতে আপনি খাবারের তালিকায় যুক্ত করতে পারেন শিম। অন্যদিকে নিয়মিত শিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে অনেকাংশে। যারা প্রায়শই পেটের সমস্যায় ভুগেন তাদের জন্য আদর্শ একটি খাবার শিম। এ ছাড়া রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে শিম বেশ কার্যকর। যাদের ত্বকের সমস্যা যেমন ব্রণ কিংবা র্যাশ প্রায়শই হয় তারা নিয়মিত শিম খেতে পারেন। অন্যদিকে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে শিমের বিচি রাখতে পারেন খাবার তালিকায়। এতে আছে ভিটামিন বি সিক্স। যা আপনার স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ রাখতে সহয়তা করে। তাই শীতের এ সবজি রাখুন খাবার তালিকায় আর ঋতুভেদে থাকুন সুস্থ প্রাণবন্ত।