এলসি খোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় তারল্যের কোন সংকট নেই বলেও জানানো হয়েছে।
সোমবার ( ১৪ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জি এম আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ব্যাংক ব্যবস্থায় বর্তমানে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকার অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচাল বলেস, চলতি মাসের (নভেম্বর) ১০ তারিখ পর্যন্ত ১ হাজার ২৬৩ মিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছে। অক্টোবরের ১০ তারিখ পর্যন্ত এলসি খোলা হয়েছিল ১ হাজার ২৩২ মিলিয়ন ডলার।
তিনি আরও বলেন, কমার্শিয়াল এলসি খোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। রেমিট্যান্সের আয়-ব্যয় সাপেক্ষে বৈদেশিক মুদ্রা তহবিল বিবেবচনায় ব্যাংকগুলো ঋণপত্র খুলছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক তদারকি করে যাচ্ছে। বিশেষ তদারকিতে ওভার ইনভয়েসিং এবং আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের অনেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, এখন পর্যন্ত বিদেশি মুদ্রায় কোন লোন ডিফল্ট হয়নি। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ ব্যাংক তা হতেও দেবে না।
জরুরি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সরকারি ঋণপত্রের মূল্য পরিশোধে দেশের জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তা অক্ষুন্ন রেখে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকারি ঋণপত্র ডলার সহযোগিতা দিয়ে যাবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত বছরের নভেম্বরের প্রথম ১০ দিনের তুলনায় এবার রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, চলতি বছরের ১০ নভেম্বর পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ৬৫৯ মিলিয়ন ডলার। গত বছর একই সময়ে রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল ৬৪১ মিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, আগামী বছরের জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারির মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের চাহিদা ও সরবরাহ অনেকটা ভারসাম্য অবস্থায় ফিরে আসবে।