ইউরোজোনের (ইউরো ব্যবহারকারী ১৯ দেশ) মধ্যে স্পেন পড়েছে সবচেয়ে বড় মন্দায়। মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) হ্রাস পেয়েছে রেকর্ড ১২ দশমিক ১ শতাংশ। একই সংকটে পড়েছে ইউরোপের আরেক দেশ ফ্রান্সের অর্থনীতিও। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশটির জিডিপি ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
ফ্রান্সের পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, জিডিপি সবচেয়ে কমেছে এপ্রিলে। তবে লকডাউন শিথিল হতে শুরু করলে মে ও জুনে ধীরে ধীরে অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হয়। কিন্তু দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম এখনও স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে নিচেই রয়ে গেছে। ইউরোপের বেশ কিছু দেশের অবস্থাও একই রকম।
ইউরোপে মহামারি করোনার প্রথম প্রাদুর্ভাবস্থল হলো ইতালি। দেশটির অর্থনীতি এখন নাজুক পরিস্থিতিতে। করোনার চোটে ইতালির জিডিপি হ্রাস পেয়েছে ১২ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে করোনার প্রকোপ শুরুর পর ইতালিতে অর্থনীতির অবস্থা যতটা খারাপ হবে বলে শঙ্কা করা হচ্ছিল এটা তার তুলনায় কিছুটা কম।
বিবিসি ইউরোপের অর্থনীতির বেহাল দশার এই চিত্র তুলে জানাচ্ছে, মহামারিতে গোটা ইউরোপের অর্থনীতির গড় সংকোচন হয়েছে ১১ দশমিক ৯ শতাংশ। ইউরোপীয় দেশগুলোর সমন্বিত পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাট জানিয়েছে, ১৯৯৫ সাল থেকে হিসাব শুরুর পর থে ইউরোপের অর্থনীতির এটাই সর্বোচ্চ সংকোচনের রেকর্ড।
গতমাসের শেষদিকে চার দিন ও চার রাতের কড়া দর–কষাকষি ও অনেক কষ্টসাধ্য সমঝোতার পর ইউরোপীয় নেতারা ৮৬ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের একটি পুনরুদ্ধার তহবিল গঠনে চুক্তি করেছেন। তবে করোনায় অভিঘাতে ইউরোজোনের সমস্যা এতই গভীর হয়েছে যে এ তহবিল দিয়ে তার অতি সামান্যই সমাধান করা যাবে।
সূত্র -বিবিসি