কর্পোরেট সংবাদ
পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস, পরিচ্ছন্ন ভবিষ্যৎ

মিমি। সদ্য এইচএসসি পাশ করে ভর্তি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ছিল তার হাজারও স্বপ্ন। সুন্দর পরিবেশে পড়াশোনা, বন্ধু বান্ধবের সাথে আড্ডা এবং স্বাধীন ভাবে ক্যাম্পাসে ঘুরাফেরা। সেই স্বপ্ন নিয়েই মিমির বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম দিনের যাত্রা শুরু। প্রকৃতির মোহনীয় পরিবেশ ও পাখির কলরবে প্রথম দিনে ক্যাম্পাসের প্রেমে পড়ে যায় মিমি। মনে আনন্দে উল্লাসিত হয়ে সহপাঠিদের সাথে ক্যাম্পাসে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে চায়ের আড্ডায় মেতে উঠে সে।
এভাবেই প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পদচারণা, আড্ডা, গান আর রাজনৈতিক স্লোগানে সবসময়েই জমজমাট থাকে ক্যাম্পাসের দোকানগুলো। তবে শিক্ষার্থীদের এসব চায়ের আড্ডায় যে যার মত যেখানে সেখানে ফেলছে চায়ের কাপ, প্লেট, চিপসের প্যাকেটসহ নানা খাবার। যা দেখে ক্ষনিকেই ভেঙ্গে যায় মিমির মন। শিক্ষার্থীদের এমন অসচেতনতা তাকে ভাবায়, তারা শিক্ষিত হতে পারলেও কী পেরেছে স্বশিক্ষিত হতে?
শিক্ষার একটি আদর্শ স্থান হলো বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা গ্রহণ করে ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের উত্তমরূপে গড়ে তোলে। শিক্ষা প্রতিটি মানুষের জীবনের পাথেয়। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ (শ্রেণী কক্ষ, ক্যাম্পাস) যদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে, তবে সেটা সকলের কাছেই দৃষ্টি নন্দন। কিন্তু বাস্তবে যেন পুরো বিপরীত। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্জ্য ফেলার সুনির্দিষ্ট স্থান না থাকায় রাস্তার আশপাশসহ যেখানে সেখানে ফেলা হচ্ছে আর্বজনা। যা নোংরা ও দূষিত করে তুলেছে পুরো ক্যাম্পাসকে। নষ্ট হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করলেও প্রকৃত শিক্ষার প্রয়োগ বাস্তবে নেই বললেই চলে। দেখা যাচ্ছে যেখানে সেখানে তারা নিজের ইচ্ছা মতো ময়লা ফেলছে। আবার ক্যাম্পাসে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে গড়ে ওঠেছে খাবারের দোকান। এমনকি এসব দোকানের খাবারগুলো স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে পরিবেশনও করা হচ্ছে না। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে ক্যাম্পাসগুলোতে দেখা যায় না ময়লা ফেলার সঠিক ব্যবস্থাপনাও।
এসব দেখে দেখে ক্লান্ত মিমি, তৃতীয় বর্ষ শেষ করে চতুর্থ বর্ষে পা দিয়েছে সে । শিক্ষার্থীদের এমন অসচেতনতার দিকে তাকিয়ে মিমি ভাবছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ক্লাসরুম কেন্দ্রিক শিক্ষা না হয়ে পুরো ক্যাম্পাসকে শেখা আর জানার কেন্দ্রে রূপান্তর করা উচিত।

এতে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শুধু সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের নয় এর বাইরের লোকদের জন্যও নানা বিষয় শেখার কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। তাই এখনই সময় নিজেদের ক্যাম্পাস পরিষ্কারের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের মাঝে পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করার।
এজন্যই সম্প্রতি আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের অন্যতম জনপ্রিয় ক্লিয়ার বেভারেজ ব্র্যান্ড ক্লেমন ‘ক্লিন ক্যাম্পাস গ্রিন ক্যাম্পাস প্রতিযোগিতায়’ অংশ নিয়েছে মিমি। দিচ্ছে ক্যাম্পাস পরিস্কার রাখার নতুন সব ধারণা। মিমির মতো যে কেউ চাইলেই এই প্রতিযোগিতায় নিজের ক্যাম্পাস পরিস্কার রাখার আইডিয়া দিয়ে জিতে নিতে পারেন নগদ ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার। এ প্রতিযোগিতার নিয়মাবলি ও তথ্যসহ সকল কার্যক্রম রয়েছে ক্লেমনের ফেসবুক পেজে।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে নানান ধরনের সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করা হলেও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে এই প্রথম এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জনপ্রিয় ক্লিয়ার বেভারেজ ব্র্যান্ড ক্লেমন। এ ধরনের প্রতিযোগিতায় গড়ে তুলতে পারে একটি পরিস্কার ও পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস এবং পরিচ্ছন্ন ভবিষ্যৎ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

কর্পোরেট সংবাদ
‘স্ক্র্যাচ কার্ড ঘষলেই নিশ্চিত উপহার’

‘স্ক্র্যাচ কার্ড ঘষলেই নিশ্চিত উপহার’ শিরোনামে প্রবাসীদের কষ্টার্জিত আয় তাদের প্রিয়জনের নিকট প্রেরণ করলে স্ক্র্যাচ কাডের্র মাধ্যমে উপহার বিতরণের জন্য পূবালী ব্যাংক লিমিটেড রেমিট্যান্স প্রমোশনাল ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে।
এরই ধারাবাহিকতায় ময়মনসিংহ অঞ্চলের কমলপুর শাখার রেমিট্যান্স গ্রাহক মো. ইয়াছিন একটি ৩২ ইঞ্চি এইচডি টিভি পুরস্কার লাভ করেন।
সম্প্রতি পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ আলী গ্রাহক মো. ইয়াছিনের নিকট টিভি হস্তান্তর করেন।
এসময় পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, আন্তর্জাতিক বিভাগ প্রধান ও মহাব্যবস্থাপক নিশাত মাইসুরা রহমান, ময়মনসিংহ অঞ্চল প্রধান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
১০ কর্মচারীকে হজে পাঠাচ্ছে ইউসিবি

চলতি বছর ১০ জন কর্মচারীকে হজে পাঠাচ্ছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি)। এসব কর্মচারীর হজের খরচ বহন করবে প্রতিষ্ঠানটি।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইউসিবি।
ইউসিবি জানায়, নির্বাচিত প্রার্থীদের দৈব চয়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছে। ইউসিবি গত ৩ বছর ধরে ব্যাংকের নিজস্ব খরচে স্টাফ পর্যায়ের কর্মচারীদের হজ্বে প্ররণ করছে। ইউসিবির প্রত্যাশা, সামনের বছরগুলোতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের মাসব্যাপী বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ‘স্মার্ট ব্যাংকিং টুওয়ার্ডস এক্সিলেন্স ইন অ্যাসেট কোয়ালিটি’ শীর্ষক মাসব্যাপী বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।
মুহাম্মদ কায়সার আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জে.কিউ.এম.হাবিবুল্লাহ, এফসিএস ও মোঃ আলতাফ হুসাইন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির ও কাজী মোঃ রেজাউল করিম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু ছাঈদ মোঃ ইদ্রিস।

এ সময় ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ নাইয়ার আজম, মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার, আবুল ফায়েজ মুহাম্মাদ কামালউদ্দিন,ক্যামেলকো তাহের আহমেদ চৌধুরী, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকীসহ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া ব্যাংকের সকল জোনপ্রধান, শাখাপ্রধান ও উপশাখা ইনচার্জগণ ভার্চুয়াল প্লাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবায় সরকারের নবদিগন্তের সূচনা

বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের আওতায় ‘ডিজিটাল সিলেট সিটি’ প্রকল্পের অধীনে ‘হেলথ সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ সফটওয়্যারটির ফেইজ-১ এর ইউজার অ্যাকসেপ্টেন্স টেস্টিং এবং মাস্টার ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ উদ্বোধন করা হয়েছে।
রোববার (২৮ মে) সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশিক্ষণ কক্ষে উদ্বোধন অনুষ্ঠান হয়।
মোহাম্মদ মহিদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডাক্তার সৌমিত্র চক্রবর্তী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আবুল কালাম আজাদ এবং এস এম আশরাফুল ইসলাম।
মধুসূদন চন্দের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরোও উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর মো. মাসুম এবং এমরান আব্দুল্লাহ।
হেলথ সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম” সফটওয়্যারটির ফেইজ-১ এর ইউজার অ্যাকসেপ্টেন্স টেস্টিং এবং মাস্টার ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ শুরু হওয়ায় এক শুভেচ্ছা বার্তায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহাবুবুর রহমান ভূইয়া বলেন, ‘একটি দেশকে স্মার্ট জাতি হিসাবে রূপান্তর করার অন্যতম প্রধান শর্ত হচ্ছে দেশের জনগণের কাছে ডিজাটাল স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেয়া। সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হেলথ সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সফটওয়্যারটির ইউজার অ্যাকসেপ্টেন্স টেস্টিং এবং মাস্টার ট্রেইনারদের প্রশিক্ষণ শুরুর মাধ্যমে এদেশে সবার জন্য ডিজিটাল স্বাস্থ্য সেবার দ্বার উন্মোচিত হলো। আশা করি অচিরেই আরো উন্নততর সেবা নিয়ে এদেশের জনগণের কাছে ডিজাটাল স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে যাবে’।
ডাক্তার সৌমিত্র চক্রবর্তী বলেন, ‘আজকের দিনটি সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। আজ আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানের অংশ হতে যাচ্ছি। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকেই তাদের নিজ কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন এবং আশা করি তারা যদি এই প্রশিক্ষণটি গ্রহণের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির অগ্রযাত্রায় আরোও ভালোভাবে নিজেদের সামিল করবেন।’

এস এম আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ইজেনারেশন তাদের কর্মীবাহিনীর লোকাল এবং গ্লোবাল অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে হেলথ সার্ভিস ম্যানেজমেন্টের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানদণ্ড ও মাইক্রোসার্ভিস আর্কিটেকচার ব্যবহার করে এই সফটওয়্যারটি ডেভেলপ করেছে যার ফলে এই সফটওয়্যারে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে। এই প্রকল্পটি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দিগন্ত পরিবর্তন করে দেয়ার মত একটি উদ্যোগ।’
মোহাম্মদ মহিদুর রহমান খান বলেন, ‘হেলথ সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম একটি খুবই চ্যালেঞ্জিং কাজ। এমন একটি চ্যালেঞ্জিং কাজকে সফল করতে সর্বাত্ত্বক সহায়তা করার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর কর্মকর্তা ও ডাক্তারগণ, শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ এবং সফটওয়্যারটি বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ইজেনারেশনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। অনেক প্রতিবন্ধকটা এবং সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও আপনাদের সহযোগিতায় এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি, আশা করি আপানদের সহযোগিতা অব্যহত থাকবে এবং অচিরেই আমরা চূড়ান্ত সফলতা অর্জন করতে পারবো’।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনিদের শিক্ষাবৃত্তি দিল এনআরবিসি ব্যাংক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অধ্যয়নরত ১০০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনীদের ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবৃত্তি ২০২৩’ দিয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক।
মঙ্গলবার (৩০ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাবিবউল্লাহ কনফারেন্স হলে এই শিক্ষাবৃত্তি প্রদান আয়োজন করে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. আব্দুল মঈন, সংগঠনের উপদেষ্টা ভাস্কর্য শিল্পী রাশাসহ প্রমুখ নেতারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ১০০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মদের হাতে এনআরবিসি ব্যাংকের এটিএম কার্ড তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথিরা। বৃত্তিপ্রাপ্ত প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর নামে খোলা ব্যাংক একাউন্টের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও এটিএম কার্ড প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়।

বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গর্ব ও অহংকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের জীবন বাজি রেখে আমাদেরকে স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছিল। বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের ঋণ কখনো শোধ করা যাবে না। তাদের সন্তান ও প্রজন্মদেরকে এনআরবিসি ব্যাংকের সৌজন্যে বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।’
এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল বলেন, ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ১০০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মদেরকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করতে পেরে আমরা অনেক গর্বিত। এনআরবিসি ব্যাংক সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে দেশের মানুষের কল্যাণে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে আমরা এক বছরব্যাপী এই শিক্ষাবৃত্তি চালু করলাম। ভবিষ্যতে আমরা আরো অনেক শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াবো।’
শিক্ষার্থীদের কল্যাণে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের এ ধরনের আয়োজনকে সাধুবাদ জানান তিনি।
ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের সন্তান ও প্রজন্মদেরকে বঙ্গবন্ধু শিক্ষাবৃত্তি প্রদানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি অনেক গর্বিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ জন মেধাবী শিক্ষার্থী এই বৃত্তির প্রাপ্তির মাধ্যমে অনেক উপকৃত হবেন। এধরনের শিক্ষার্থীবান্ধব কর্মকাণ্ডে এনআরবিসি ব্যাংকের সহযোগিতা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।’
সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এনআরবিসি ব্যাংকের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। এনআরবিসি ব্যাংকের মতো প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।’