প্রবাস
কর্মসংস্থান নিয়ে আতঙ্কে প্রবাসী বাংলাদেশীরা

পর্যটননির্ভর লেবাননে হোটেলে কর্মীদের চাকরিচ্যুতির ঘটনা ঘটছে বেশ কিছুদিন ধরেই। ডলার সংকট, বিদেশী বিনিয়োগের ঘাটতি, সরকারি বাজেট না থাকা—সব মিলিয়ে প্রায় ভঙ্গুর দশায় চলে গেছে দেশটির অর্থনীতি। এছাড়া ইরান সমর্থিত গ্রুপ হিজবুল্লাহ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে এমন আশঙ্কাও বিরাজ করছে সেখানে। সম্প্রতি মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর এ আশঙ্কা আরো ঘনীভূত হয়েছে। সব মিলিয়ে কর্মসংস্থান নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন দেশটিতে বসবাসরত প্রায় দেড় লাখ বাংলাদেশী।
বাংলাদেশী কর্মীদের আতঙ্ক নিয়ে লেবানন দূতাবাস বলছে, লেবাননে সৌদি ও ইরানপন্থীদের উত্তেজনা, স্থানীয় রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিদেশী বিনিয়োগ না থাকায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এছাড়া ডলার সংকটে কর্মীদের বেতন-ভাতা দিতে পারছে না দেশটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। যে কারণে আতঙ্ক কিছুটা বেড়েছে। শুধু বাংলাদেশীদের মধ্যে নয়, লেবাননে কর্মরত সব প্রবাসী কর্মীর মধ্যে এ আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শুধু লেবানন নয়, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবেও কর্মসংস্থান হারানোর আতঙ্ক বাড়ছে প্রবাসীদের মধ্যে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী আছে সৌদি আরবে। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, প্রায় ২১ লাখ বাংলাদেশী সৌদি আরবে কর্মরত আছেন। ব্যাপকমাত্রায় সৌদীকরণের ফলে এমনিতেই দেশটি থেকে নিয়মিত ফেরত আসছেন বাংলাদেশী কর্মীরা। সম্প্রতি ইরান-মার্কিন টানাপড়েনেও যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ সৌদি আরবে বাংলাদেশী কর্মীদের মধ্যে কর্মসংস্থান হারানোর আতঙ্ক আরো বেড়ে গেছে।
দাম্মামে বসবাসরত রানা রহমান নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশী বলেন, কয়েক মাস আগে সৌদির বৃহৎ তেল স্থাপনা আরামকোয় ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে সৌদি নাগরিক থেকে শুরু করে বহু প্রবাসী। সৌদির বৃহৎ তেল কোম্পানিগুলো নিয়ন্ত্রণ করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন-ইরান উত্তেজনার ফলে হুথিরা যদি আবারো এ ধরনের হামলা চালায়, তাহলে এখানকার অনেক কোম্পানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কাজ হারাতে পারে বহু প্রবাসী।
এদিকে রিয়াদে বসবাসরত বেশ কয়েকজন প্রবাসী জানান, ইয়েমেনের সঙ্গে সৌদির যুদ্ধ চলমান। ইয়েমেনে এ হুথি বিদ্রোহীদের প্রতি ইরানের সমর্থন রয়েছে। তাই ইরানে হামলা হলে আমেরিকার মিত্র দেশ হিসেবে সৌদির ওপর হামলা চালাতে পারে হুথিরা, যার প্রভাব পড়বে প্রবাসীদের কর্মসংস্থানে।

সহসাই মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে মনে করেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের (ইরান-মার্কিন উত্তেজনা) এ ঘটনার দুটো দিক। একটি হলো সেটা কতদূর গড়াবে। যদি সামরিক কোনো হস্তক্ষেপ হয়, তাহলে আরো ঝামেলা হবে। তবে মনে হচ্ছে না, সেটা হতে যাচ্ছে।
তবে চলমান অস্থিরতার একটা প্রভাব পড়তে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, যেভাবে আমেরিকার রাজনীতি চলছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যে রাজনীতি তাতে বোঝা যাচ্ছে, খুব তাড়াতাড়ি সবকিছুর সমাধান হবে না। এ কারণে আমাদের বিকল্প শ্রমবাজার নিয়ে আরো চিন্তাভাবনা করা উচিত।
মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিতীয় বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটিতে সাড়ে সাত লাখের মতো প্রবাসী রয়েছেন। আবুধাবিতে ব্যবসা করেন এসএম আলাউদ্দীন। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আমরা লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি এখানে। মার্কিন-ইরান উত্তেজনায় যদি কোনো যুদ্ধ শুরু হয়, তাহলে আমাদের ব্যাপক ক্ষতির মধ্যে পড়তে হবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটিতে প্রায় পাঁচ হাজার সৈন্য রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনা উপস্থিতি থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের কর্মকাণ্ডে সমর্থন দিয়ে আসছে দেশটি। এ কারণে সম্প্রতি ইরান সৌদি আরবের পাশাপাশি সংযুক্ত আরব আমিরাতেও হামলার হুমকি দিয়েছে।
আবুধাবিতে বসবাসরত আরেক বাংলাদেশী বলেন, আমরা অনেক ভয়ের মধ্যে আছি। মনে হচ্ছে দেশে চলে যাই। কিন্তু ভিসা জটিলতার কারণে এ মুহূর্তে কিছুই করতে পারছি না।
প্রবাসীদের এমন উদ্বেগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ডা. ইমরান আহমদের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি।
লেবানন, সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের প্রবাসীরা আতঙ্কের কথা জানালেও উপসাগরীয় দেশ কাতারে বসবাসরত বাংলাদেশী শ্রমিকরা জানিয়েছেন ভিন্ন কথা। তারা জানান, এখানে কোনো ধরনের সমস্যা নেই। আমরা স্বাভাবিকভাবেই কাজ করে যাচ্ছি।
রাজধানী দোহার নাজমায় কর্মরত নির্মাণ শ্রমিক আরজু মিয়া ও সাদ্দাম হোসেন জানান, কাতারে আমরা কোনো ধরনের সমস্যা দেখছি না। ভালোভাবেই কাজ করে যাচ্ছি।
জানতে চাইলে কাতারে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর (শ্রম) ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আপাতত কাতারে তেমন কোনো প্রভাব নেই। কাতার ও ইরান বন্ধু দেশ। তাছাড়া ইরান বলেছে, দুবাই ও ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের বিরোধ। সুতরাং আপাতত কোনো ঝামেলা আমরা দেখছি না। তাছাড়া বাংলাদেশ দূতাবাস বিষয়টি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে।
বিএমইটির তথ্যমতে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ২৮ লাখের বেশি বাংলাদেশী রয়েছেন। যার মধ্যে সৌদি আরবে কর্মরত আছেন ২১ লাখ। সৌদি আরবের পর সংযুক্ত আরব আমিরাত হচ্ছে বাংলাদেশীদের জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তম চাকরির বাজার। ২০০৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ১৬ লাখ বাংলাদেশী সংযুক্ত আরব আমিরাতে গেছেন। ২০১২ সালের শেষদিকে বাংলাদেশী শ্রমিকদের জন্য বিধিনিষেধ আরোপ করে আমিরাত সরকার। কাতারে বর্তমানে প্রায় চার লাখ বাংলাদেশী অভিবাসী কর্মরত আছেন। ইরাক ২০০৯ সাল থেকে গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ৭৫ হাজার ৭৪৮ জন বাংলাদেশী কাজের জন্য গেছেন। গত বছর জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ইরাকে মোট কর্মী গেছেন ৯ হাজার ২৬৬ জন। আগস্টের পর থেকে দেশটিতে জনশক্তি রফতানি বন্ধ রয়েছে। সুত্র-বনিক বার্তা
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

প্রবাস
মালদ্বীপে শীর্ষ ব্যবসায়ীদের তালিকায় বাংলাদেশি আহমেদ মোত্তাকি

বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও মালদ্বীপের খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ মো. আহমেদ মোত্তাকি মালদ্বীপের শীর্ষ ১০০ ব্যবসায়ীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ মে) মালদ্বীপের ক্রসরোড রিসোর্টে প্রতি বছরের ন্যায় আয়োজিত দেশটির শীর্ষস্থানীয় ১০০টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে গোল্ড ১০০ গালা (GOLD 100 Gala) বিজনেস অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে তার হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
অ্যাওয়ার্ড বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল এস.এম. আবুল কালাম আজাদ।
মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসিম পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীদের প্রশংসা করে বলেন, আগামীতে আরও ভালো করবেন সেই প্রত্যাশা কামনা করি। পরে তিনি গোল্ড ১০০ গালা অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মিয়াঞ্জ গ্রুপ পরপর তিনবার গোল্ড ১০০ পুরস্কার পেয়েছে। শিক্ষা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং কৃষি খামারে অবদানসহ সেরা অনুশীলন, অর্থনীতিতে অবদান, নিয়মিত করদাতা, ব্যবসা সম্প্রসারণ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ইত্যাদির জন্য মিয়াঞ্জ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. আহমেদ মোত্তাকি এই পুরস্কারটি পান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
ওএসডি কোন নীতিমালার মধ্যে পড়ে

যারা নীতি নির্ধারক হয়ে জাতীয় সংসদ ভবনে ঢুকেছেন তাদের কাজ মূলত নীতিমালা তৈরি করা। তারা নিজ থেকে দেশের এত বড় একটা গুরুদায়িত্ব পালন করতে সংসদ ভবন দখল করেছেন। বর্তমানে সেই সংসদে বিরোধী দল নেই আছে শুধু একাকীত্ব। বিরোধী দলের নেত্রী কখন জেলে গেলেন, কখন বের হলেন, কবে মামলার শুনানি হবে আর কবে হাসপাতালে চেকআপ করবেন এই খবর ছাড়া অন্য কিছু আমি শুনিনা বা জানিনা। অথচ ৩৫০ জন নীতি নির্ধারকসহ তাদের সহযোগী আমলারা রয়েছেন যারা শপথের বাণী পড়ে নীতিমালা তৈরি এবং তার প্রতিফলন ঘটাবেন বলে ওয়াদা করেছেন কিন্তু হচ্ছে কি সেই কাজগুলো সঠিকভাবে? সংসদ ভবন আছে নেই শুধু সৃজনশীল নীতিমালা!
মাত্র দুটি বিষয় তুলে ধরি তাহলে বুঝতে সহজ হবে কেন আমি হঠাৎ এমন একটি মন্তব্য করলাম।
আচ্ছা ভাবুন তো দেশের এই উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের কথা! প্রতিটি এলাকায় খেলার মাঠ থাকতে হবে, আছে কি? শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাঠ বাধ্যতামূলক থাকতে হবে, আছে কি? আবাসিক এলাকাতে পার্ক থাকলেও সেখানে মানুষ কি করে? হাঁটাহাটি করে, সেটাও প্রয়োজন। তা নাহলে আপনি হাঁটবেন কোথায়? বাচ্চারা কি সেখানে খেলতে পারে? না। তারা দেখা যায় রাস্তার মধ্যে ক্রিকেট খেলে।
দেশের শহরগুলোকে শুধু ইট, কাঠ, পাথরের বস্তি না বানিয়ে খেলার মাঠের ব্যবস্থা করা দরকার নয় কি?দেশের সবার মাথায় একটিই ভাবনা ছেলে মেয়েকে শুধু ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বানাতে হবে। ছেলে বা মেয়ে বিজ্ঞান পড়তে চায় না কিন্তু অভিভাবক তাকে বাধ্য করেছে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে। ফলাফল রেজাল্ট খারাপ। অনেক ক্ষেত্রে ভালো রেজাল্ট কিন্তু ডাক্তারি পড়তে চায় না। বাবা মা পড়াবেনই। এরকম ঘটনা ঘরে ঘরে। তাই আমাদের সচেতন হতে হবে। যে পড়বে তার ইচ্ছেকে মূল্যায়ন করতে হবে। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার মানেই সফল জীবন নয়। এটা মাথায় নিতে হবে। আপনার বাচ্চা আপনি তাকে পৃথিবীতে এনেছেন ঠিকই কিন্তু তাকে যা খুশি তাই করতে চেষ্টা করার আগে অগত্যা ভাবুন সে নিজেই একটা আলাদা মানুষ। যা জোড়ালো হতে থাকে বয়:সন্ধিতে। এটা জেনে বুঝেও নিজের ইচ্ছেটা পূরণ করতে তার ওপর চাপ সৃষ্টি করে তার জীবনটা ধ্বংস করে দিয়েন না। কিশোরীদের কথা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। তাদের এই সময়টা সত্যিই এই শহরগুলোতে কষ্টদায়ক। নিরাপত্তার অভাবে একা কোথাও যেতে পারে না। ফলে মোবাইলের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। যা চিন্তার বিষয়, বিভিন্নভাবে প্রলোভিত হচ্ছে ওইটুকুন একটা যন্ত্রের মাধ্যমে। তাদেরও প্রয়োজন মুক্ত বাতাস যেখানে সে নির্ভয়ে বেড়ে উঠবে। না হলে শারীরিক সমস্যার সাথে সাথে মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা বৃদ্ধি পাবে।
যাইহোক, এসব চিন্তাগুলো শুধু বাবা-মার না এসব চিন্তাগুলো সংসদ সদস্যদের এবং আমলাদেরও হওয়া উচিত। শুধু শহর নয় সারা দেশের আনাচে কানাচে রয়েছে লাখো লাখো নতুন প্রজন্ম তাদের কথা ভাবুন! কে জানে দেখবেন, হঠাৎ পৃথিবী সেরা অলরাউন্ডার আমরাই পেয়েছি। এমনটি কিন্তু হতে পারে। আমরা আশা নিয়েই বাঁচি এবং বেঁচে আছি।

এটা গেল একটি বিষয়। এবার আসি আরেকটি বিষয় নিয়ে।
চল্লিশ বছর কাজ করতে এবং কাজ করাতে নিযুক্ত থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে চাকুরিরত কোন কর্মচারিকে ওএসডি করে রাখা হয় শুনিনি। এমনকি চাকুরির ক্ষেত্রে এ যুগে ওএসডি শব্দটি যে ব্যবহৃত হয় তা কেবল বাংলাদেশেই চলমান। তবে ওএসডি শব্দটি মূলত একটি অন-স্ক্রিন ডিসপ্লে (OSD) বা একটি কন্ট্রোল প্যানেল যা একটি কম্পিউটার মনিটর, মোবাইল ডিভাইস, টেলিভিশন স্ক্রীন বা অন্য একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস ডিসপ্লেতে তৈরি করা হয় এবং যা ব্যবহারকারীদের দেখার বিকল্পগুলো নির্বাচন করতে এবং/অথবা ডিসপ্লের উপাদানগুলোকে সামঞ্জস্য করতে সক্ষম করে। যেমন উজ্জ্বলতা, বৈসাদৃশ্য, এবং অনুভূমিক ও উল্লম্ব অবস্থান ইত্যাদি। তবে ওএসডি (অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি) অনুশীলনটি ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সময়কালের একটি প্রথা যা ১৯৩১ সালের দিকে চালু ছিল যেমন যখন একজন কর্মকর্তা তার নিয়োগের মাধ্যমে সরকারকে তার নিয়োগে ব্যয় করার চেয়ে অনেক বেশি অর্থনৈতিক সুবিধা দিত আর যখন বৃহত্তর কল্যাণের জন্য সরকারের উপর একটি নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার বাধ্যবাধকতা করত।
এটি কখনো কখনো ভবিষ্যতে উচ্চস্তরের নিয়োগের জন্য একটি প্রশিক্ষণ পর্যায় হিসেবেও ব্যবহৃত হত। তবে দায়িত্ব অদৃশ্য হয়ে গেলে নিয়োগকর্তা কি একজন কর্মচারীকে পুনঃনিয়োগ করতে পারতেন বা শর্তগুলি কি আগের মতোই থাকত এবং পেশ করার মতো কোনো কাজ না থাকলে কী করত? এমতবস্থায় কর্মিকে একজন স্পেশাল ডিউটির অফিসার হিসাবে নিয়োগ দিতেন।তৎকালীন ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে এ ধরনের নিয়ম ছিল।
আর আমাদের দেশে ওএসডি বলতে বোঝায় একজন কর্মকর্তাকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া। সে কোনো প্রমোশন পাবে না তবে বর্তমান স্কেল অনুযায়ী বেতন ভাতা পাবে। এটি জানা মতে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোথাও আছে বলে আমার জানা নেই। তবে হতে পারে সীমিত সময়ের জন্য কেউ পোস্টিং অর্ডারের অপেক্ষায় আছে সেক্ষেত্রে এই কর্মকর্তারা সচিবালয়ে রিপোর্ট করেন এবং সেখানে তারা তাদের উপস্থিতিতে স্বাক্ষর করা ছাড়া কিছুই করেন না।
অন্যান্য দেশে ওএসডি বা অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি শব্দটির যে অর্থ, বাংলাদেশে সে অর্থ বহন করে না। সেসব দেশের জনপ্রশাসনে কিছু কর্মকর্তার ওপর বিশেষ দায়িত্ব অর্পণ করা হয়; যাঁরা অন্য কর্মকর্তাদের চেয়ে তুলনামূলক বেশি দক্ষ ও যোগ্য হিসেবে বিবেচিত। সরকারের প্রয়োজনে তাঁদের ওপর সেই দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। আবার দায়িত্ব শেষে আগের পদে ফিরিয়ে আনা হয় যাকে বলা হয় ডেপুটেশন।
বাংলাদেশে ওএসডি কর্মকর্তা অর্থটি অত্যন্ত নিন্দাবাচক হয়ে পড়েছে। একজন অফিসারকে ওএসডি হিসেবে মনোনীত করা হলে এটি একটি কলঙ্ক হিসাবে বিবেচিত হয়। এতে বোঝায় যে কর্মকর্তার জন্য সরকারের কোনো উপযুক্ত পদ নেই বা তাদের পরিষেবার আর প্রয়োজন নেই। তারপরও তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় ঠিকই তবে সে কোনো প্রমোশন পাবে না তবে বর্তমান স্কেল অনুযায়ী বেতন ভাতা পাবে শুয়ে বসে। এতে জনকল্যাণ বা আদৌ কোনো কল্যাণ হয় কি?
আমাদের সুইডেনে অনেক সময় আমরা যদি কর্মচারীর কাজে খুশি না হই বা যদি তার অন্যান্যদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যা দেখা দেয় তখন তাকে পুনঃনিয়োগ (omplacering) করি। যদি বা যখন কোনো উপায় না থাকে তখন কর্মস্থল থেকে বহিস্কার করা হয়। কিন্তু বাসায় বসিয়ে জামাই আদরে ওএসডি করে রাখা হয়, কখনও শুনিনি। বৃটিশ বা পাকিস্তানী নিয়ম কানুনই যদি দেশে চলবে তাহলে কী দরকার ছিল তাদের তাড়ানোর? বঙ্গবন্ধুর কথা মনে পড়ছে। তিনি বলেছিলেন পাকিস্তান সব নিয়ে গেছে শুধু চোরগুলো রেখে গেছে।
এখন দেখছি তাদের আইনকানুনও রেখে গেছে। আমি যতটুকু জানি যুগ যুগ ধরে এই ধরনের ওএসডিধারীরা সকল সুবিধা ভোগ করছে শুধু কাজ করছে না এ ধরনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দেশে হাতে গুনে শেষ করা যাবে না। সরকার বা রাষ্ট্র কীভাবে এত বছরেও এর রহস্য উদ্ধার করতে পারছে না? তবে আমার জানা মতে সরকার নিজেই এর জন্য দায়ী যেমন প্রতিবারই সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে একদল কর্মকর্তা ওএসডি হয়ে যান আর পূর্ববর্তী সরকারের আমলের ওএসডিরা উচ্চতর দায়িত্বে নিয়োজিত হন। জনপ্রশাসনের এ দুরারোগ্য রোগটি দূর করা না গেলে জনপ্রশাসন নির্ভয়েকাজ করতে পারবে না। এ ধরনের দলীয়করণের ফলে অনেক সময় নিরীহ ও মেধাবী কর্মকর্তারা পরিস্থিতির শিকারে পরিণত হন। তারপর অনেকে দলকে কাজে লাগিয়ে আবার অনেকে সাতে-পাঁচে না থাকলেও স্বার্থান্বেষী মহল তাঁদের গায়ে বিশেষ দলের রং জুড়ে দিয়ে কোণঠাসা করে রাখে। ওএসডি কর্মকর্তাদের মধ্যে এ রকম দক্ষ ও নিরীহ কর্মকর্তার সংখ্যা কম নয়।
বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবী কর্মকর্তারাই নিয়োগ পান। যাচাই-বাছাইও কম হয় না। সেখানে রাজনৈতিক দলের সংশ্লিষ্টতা থাকার কথা নয়। কিন্তু এ পরীক্ষা-প্রক্রিয়ায়ও গলদ রয়ে গেছে। অনেক সময় সরকারি চাকরিতে নিয়োগের সময় থেকেই দলীয় লোকদের প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা দেখা যায়। এটা আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। আর বাস্তবতা হলো নিয়োগ-প্রক্রিয়া থেকেই দলীয়করণের শুরু। যদিও খুব কমসংখ্যক কর্মকর্তাই এ ধরনের অনিয়মের সুযোগ পান, কিন্তু এর পরিণাম ভোগ করতে হয় অন্যদেরও। নতুন সরকার এসে সবাইকে সন্দেহের চোখে দেখে এবং আবার জোরেশোরে তাদের দলীয় সমর্থকদের চাকরিতে নিয়োগ দিতে তৎপর হয়।জনপ্রশাসনের এ অসুস্থ ধারা ভাঙতে হবে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখা সরকারেরই কর্তব্য। তা না হলে প্রজাতন্ত্রের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যাবে না।
যে দেশে একজন মুমূর্ষ রোগীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে, রোগীকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে দিতে পারছে না হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা খালি না থাকার কারণে, শেষে বিনা চিকিৎসায় রোগী মৃত্যু বরণ করছে সে দেশে কীভাবে ওএসডি প্রথা চলমান? খুব জানতে ইচ্ছা করে!জাগো বাংলাদেশ জাগো, নতুন করে ভাবো।
লেখক: রহমান মৃধা, সাবেক পরিচালক, ফাইজার, সুইডেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
আমিরাতের শ্রম বাজারে যুক্ত হবে আরো ১০ হাজার কর্মী

সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজারে আগামী কয়েক বছরে ১০ হাজারেরও বেশি নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
আমিরাতের রাস আল খাইমাহতে দ্রুত গতিতে হোটেল ও পর্যটন খাত বিকশিত হচ্ছে। ফলে অঞ্চলে এ নতুন কর্ম সংস্থানের এ সুযোগ সৃষ্টি হবে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ড ওয়েন রিসোর্ট রাস আল খাইমাহতে তাদের কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়া আরও কিছু নতুন হোটেলও এখানে আসতে যাচ্ছে।
রাস আল খাইমাহ পর্যটন উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী রাকি ফিলিপস বলেছেন, রাস আল খাইমাহতে ৮ হাজার কক্ষ রয়েছে। আমরা এ বছর আরও ৪৫০টি এবং আগামী বছর আরো ১ হাজার কক্ষ যুক্ত করতে যাচ্ছি। যতগুলো কক্ষ আছে সেটি আগামী পাঁচ বছরে দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।
২০২৩ সালে আমিরাতে ইন্টারকন্টিনেন্টাল, হ্যাম্পটন এবং মোভেনপিক তাদের সেবার দরজা খুলেছে । এছাড়া এ বছরই মিনাতে অনন্তরা হোটেল এবং আল হামরায় সোফেটিল হোটেলের কার্যক্রম শুরু হবে।
আলদার, আবুধাবি ন্যাশনাল হোটেলস এবং ইমারও রাস আল খাইমাহতে বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়েন রিসোর্টও আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ৩৯০ কোটি ডলার খরচ করে ১ হাজারেরও বেশি কক্ষবিশিষ্ট হোটেল চালু করবে। যেখানে গেমিং এরিয়াসহ নানা সুযোগ সুবিধা থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
হুন্ডিতে ঝুঁকছেন মালয়েশিয়া প্রবাসীরা, রেমিট্যান্সে ভাটা

মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতের বিপরীতে তুলনামূলক কম টাকা পাওয়ায় বৈধ চ্যানেলে দেশে টাকা পাঠাতে প্রবাসীদের আগ্রহ কমে গেছে বলে মনে করছে রেমিট্যান্স হাউজগুলো। একটু বেশি অর্থ পাওয়ার আশায় অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠান অনেক প্রবাসী। সরকারি প্রণোদনা আর নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করেও সব প্রবাসীকে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহী করা সম্ভব হচ্ছে না।
এর ফলে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে। বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোয় একসময় মালয়েশিয়ার অবস্থান ছিল ৫ম, যা এখন সপ্তমে নেমে এসেছে। এ অবস্থায় রেমিট্যান্সে প্রণোদনা বাড়ানোর পাশাপাশি ডলারের বিনিময় মূল্য বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার দাবি প্রবাসীদের।
হুন্ডিতে টাকা পাঠানো তুলনামূলক সহজ ও লাভজনক মনে করে অনেক প্রবাসী এই অবৈধ পথে দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন। এই সুযোগ লুফে নিচ্ছেন হুন্ডি কারবারি ও টাকা পাচারকারীরা। রিঙ্গিত প্রতি ব্যাংক রেট থেকে এক টাকা বেশি মিলছে হুন্ডিতে। এছাড়াও দেশে টাকা পাঠাতে কর্মস্থল থেকে দূরের ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাঁড়ানো লাগছে না। ফলে অবৈধ হুন্ডিতে ঝুঁকছেন প্রবাসীরা।
চলতি মাস এপ্রিলে রিঙ্গিত প্রতি বিনিময় ২৪ টাকা ৫ পয়সা থেকে ২৩ টাকা ৫০ পয়সায় নেমে এসেছে। গত মাসে যা ছিল ২৬ টাকা। ফলে গত মাসে রেট বেশি পাওয়ায় প্রবাসীদের মধ্যে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে বেশ আগ্রহ দেখা গিয়েছিল। তাতে আগের তুলনায় মার্চে মালয়েশিয়া থেকে রেমিট্যান্স বাড়ে ৪০ শতাংশ।
মার্চ মাসে মালয়েশিয়া থেকে বৈধপথে ৯৮ দশমিক ৮০ মিলিয়ন ইউএস ডলার সমমানের রেমিট্যান্স পাঠানো হয়। তবে এপ্রিলে বাংলাদেশে রিঙ্গিতের দাম কমায় প্রবাসীরা আবারও হুন্ডিতে ঝুঁকেছেন বলে ধারণা করছেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা। এ অবস্থায় মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিলে ২০ শতাংশ রেমিট্যান্স কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তবে ডলার বা রিঙ্গিতের বিনিময় মূল্য যা-ই হোক না কেন, বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠালে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। পাশাপাশি সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রেরণকারীকে সিআইপি মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে অবৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠাতে সচেতনতা ও দেশপ্রেমের বিকল্প নেই বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
এরই মধ্যে প্রবাসী আয় কমার অন্যান্য কারণ চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি বৈধপথে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়াতে জোর তৎপরতা চালানো হচ্ছে। এনবিএল, সিবিএল ও অগ্রণী রেমিট্যান্স হাউজের পক্ষ থেকে সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত হাইকমিশনার বরাবর ১০ দফা প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে হলে বিদেশে অবৈধ উপায়ে সব ধরনের লেনদেন বন্ধ করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন জোরালো কূটনৈতিক তৎপরতা।
এ বিষয়ে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার বলেন, বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় রেমিট্যান্সের প্রাসঙ্গিকতা ও প্রয়োজনীয়তা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে হুন্ডিসহ প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করার পাশাপাশি প্রবাসীদের সচেতনতার ওপর জোর দিচ্ছে সরকার। হুন্ডি প্রতিরোধ ও প্রবাসীদের সচেতন করতে কাজ করছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
এ সময় বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার আহ্বান জানান হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
চীনে ব্যবসায়িক বিনিময় সম্মেলন

চীনের হাইনান প্রদেশের মুক্ত বাণিজ্য বন্দরে বিনিয়োগের সুযোগ এবং অনুকূল নীতি, যৌথভাবে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ কৌশল বাস্তবায়নের জন্য একটি নতুন পথের পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন দেশের সাথে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতার প্রচারের জন্য ব্যবসায়িক বিনিময় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে হাইনান প্রদেশের হাইকউ শহরে সানইয়া মিউনিসিপ্যাল পিপলস গভর্নমেন্টের সহায়তায় সানইয়া ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন ব্যুরো আয়োজিত এই ব্যবসায়িক বিনিময় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে বক্তব্য দেন, সানইয়া পৌর সরকারের নির্বাহী ডেপুটি মেয়র ও পৌর পার্টি কমিটির স্থায়ী কমিটির সদস্য শাং ইয়ংচুন, চীন ইতালি চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি পাওলো বাজোনি, ফেরারি চায়নার ভাইস জেনারেল ম্যানেজার হান মিয়াও, মাসেরাতি চায়নার ভাইস প্রেসিডেন্ট মিরকো পিয়েত্রো বোর্দিগাসহ আরও অনেকে।
সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তা এবং চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধিরা হাইনান প্রদেশের মুক্ত বাণিজ্য বন্দর নীতি, সানইয়া শহরের সম্পদ এবং শিল্প নীতির উপর দৃষ্টি নিবন্ধন করে এবং নিজ নিজ উদ্যোগের প্রকৃত উন্নয়ন এবং উন্নয়ন সুবিধার দৃষ্টিকোণ থেকে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন।
বাংলাদেশসহ ইউরোপ ও এশিয়া দেশগুলোর চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এবং সানইয়া পৌর সরকারের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।