অর্থসংবাদে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

অর্থসংবাদে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

শেয়ারবাজারে কারসাজিতে জড়িত বাজার বিশ্লেষক’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আল আমিন।





প্রতিবেদকের বক্তব্য: 'শেয়ারবাজার কারসাজিতে জড়িত বাজার বিশ্লেষক' শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি উদ্দেশ্যমূলক কোন প্রতিবেদন নয়। কাউকে ব্যক্তিগতভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যও প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়নি। অর্থসংবাদের কাছে আসা সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সহযোগী অধ্যাপক নিজেকে সাধারণ বিনিয়োগকারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। প্রতিবেদকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগেও তিনি একই কথা বলেছেন। মুঠোফোনে তিনি আরও দাবি করেছেন তাঁর কোন বিও অ্যাকাউন্ট নেই। অথচ শেয়ার লেনদেনের জন্য একজন বিনিয়োগকারীর বিও অ্যাকাউন্ট থাকা আবশ্যক। একইসঙ্গে অর্থসংবাদের প্রতিবেদক অভিযোগের বিষয়ে তাঁর বক্তব্যও তুলে ধরেছেন। তাই কোনভাবেই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই সংবাদটি প্রকাশিত হয়নি। তাই বলা যায় তিনি যে দাবি করেছেন তা ভিত্তিহীন।





সর্বপরি, প্রকাশিত সংবাদটি কোন মহলের প্ররোচনায় নয়, বরং অর্থসংবাদের সম্পাদকীয় নীতিমালা অনুসরণ করেই সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে।





তবুও অর্থসংবাদের সম্পাদকীয় নীতিমালা অনুযায়ী অভিযুক্ত ব্যাক্তির আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ হিসেবে তাঁর প্রতিবাদ বার্তাটি পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলোঃ





তিনি অর্থসংবাদের সম্পাদক বরাবর লিখেছেন, আপনার অনলাইন পত্রিকায় ২০ অক্টোবর প্রকাশিত একটা সংবাদ 'শেয়ারবাজার করসাজিতে জড়িত বাজার বিশ্লেষক' শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। আমার কাছে সংবাদটি উদ্দেশ্যমূলক মনে হয়েছে বিধায় আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।





আমি ব্যক্তিগত ভাবে বিগত ২০ বছর পুঁজিবাজার উন্নয়নের স্বার্থে, সাধারণ বিনিয়োগকারীর পক্ষে অত্যন্ত দায়িত্বশীলভাবে প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে কাজ করে যাচ্ছি।





বর্তমানে বাজারে কিছু স্বল্প মূলধনী কোম্পানীর শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে এবং মৌল ভিত্তি সম্পন্ন অপেক্ষাকৃত ভাল শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে থাকা নিয়ে, আমি একটা ফেসবুক স্ট্যাটাস দেই। এই স্ট্যাটাসকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়।





তাই আমি বাজার অস্থির করা দূরের কথা, সুশাসনের পক্ষে এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর পক্ষে কথা বলি যা আপনার প্রতিবেদনে সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়নি।





অন্যদিকে আর একটা ইস্যু যেখানে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে বলা হয়, আমি দুর্নীতির মাধ্যমে তামহা সিকিউরিটিজ থেকে টাকা নিয়েছি,সেটাও সম্পূর্ন উদ্দেশ্যমূলক এবং আমার কণ্ঠকে থামিয়ে দেয়ার একটা ঘৃণ্য প্রয়াস বলে আমি মনে করি।





আমি অন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীর মতো একজন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী, তামহা সিকিউরিটিজের এমডি উদ্দেশ্যমূলকভাবে, নিজের অপকর্ম ঢাকতে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দেয়। পরবর্তীতে আমি কমিশনে, তথ্য , প্রমান উপস্থাপন করলে,কমিশন সন্তুষ্ট হয়ে, এমডির অভিযোগ আমলে না নিয়ে, আমাকে অন্য সকল বিনিয়োগকারীর মতো অনুপাতিক টাকা প্রদান করে, যা মোট দাবির ১৫ শতাংশ।





তাই আমি মনে করি কোন মহল, আমার সুনাম নষ্ট করার পাশাপাশি আমি যেন, সঠিক বিশ্লেষণ না করি সেই জন্য এমন প্রতিবেদন প্রকাশে ভূমিকা রেখেছে। আমি বাজারের স্বার্থে,সুশাসনের স্বার্থে কাজ করে যাব।


আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত