জাতীয়
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৩০ কর্মকর্তাকে বদলি

বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদমর্যাদার ৩০ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। এর মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ২১ জন এবং এএসপি ৯ জন রয়েছেন।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) ও বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে তাদের বদলি করা হয়।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পুলিশ সদরদপ্তর থেকে জানা যায়, এসব কর্মকর্তাকে জেলা পুলিশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), সিএমপি, জিএমপি, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট, পুলিশ সদরদপ্তর, অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), র্যাব, বিশেষ শাখা (এসবি), হাইওয়ে পুলিশ, পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, এপিবিএন ও পুলিশ স্টাফ কলেজে বদলি করা হয়েছে।
বদলিকৃত কর্মকর্তাদের তালিকা দেখতে ক্লিক করুন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
পোশাকশ্রমিকেরা ন্যূনতম মজুরির চেয়ে বেশি মজুরি পান

দেশের পোশাকশ্রমিকেরা নিম্নতম মজুরি বোর্ডের নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরির চেয়ে বেশি মজুরি পান বলে দাবি করেছেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান।
বিজিএমইএর সভাপতি বলেছেন, মজুরি বোর্ড ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করে। তবে প্রকৃত মজুরি অনেক বেশি। মজুরি কাঠামোর বাইরে কারখানাগুলো শ্রমিকদের কল্যাণে মজুরি-বহির্ভূত বিভিন্ন সুবিধা দিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রতি মাসে ৩০০-১০০০ টাকার হাজিরা ভাতা, উৎপাদন ভাতা, বিনা মূল্যে বা ভর্তুকি মূল্যে দুপুরের খাবার এবং বিনা মূল্যে নাশতা।
‘পোশাকশ্রমিকদের জন্য নতুন ন্যূনতম মজুরি: স্পষ্টিকরণ এবং আর্থিক প্রভাব’ শীর্ষক এক বিবৃতিতে বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন প্রতিবেদন ও মন্তব্যে আমরা দেখতে পাই, চূড়ান্ত হওয়া ন্যূনতম মজুরিকে অপ্রতুল বলে চিহ্নিত করা হয়। যদিও পোশাকের প্রাপ্য মূল্যের ভিত্তিতে মজুরি পর্যাপ্ততা মূল্যায়ন করার প্রচেষ্টা দেখা যায় না।’
ফারুক হাসান বলেন, ‘তৈরি পোশাকশিল্প শ্রমনিবিড়। আমরা বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থার একটি অংশ, তাই মজুরি আলোচনা স্থানীয় এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক প্রেক্ষাপট থেকে আলাদা করা হলে টেকসই শিল্প নিশ্চিত করা যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায়ই শিল্পবিরোধী পক্ষপাতিত্বমূলক প্রতিবেদন ও বিভ্রান্তিকর উপস্থাপনায় ক্ষতিগ্রস্ত হই। এমনকি বৈশ্বিক বাণিজ্য নীতিগুলো শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দিকে ঝুঁকছে, এগুলোর প্রভাব সব সময় শ্রমিকদের পক্ষে না–ও যেতে পারে।’
বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, পোশাকশ্রমিকদের নতুন মজুরিকাঠামোর চূড়ান্ত ঘোষণায় গ্রেড সংখ্যা ৫টি থেকে কমিয়ে ৪টি করা হয়েছে। ন্যূনতম বা ৪ নম্বর গ্রেডের (বর্তমানের ৭ নম্বর গ্রেড) শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ১২ হাজার টাকা। এই মজুরি অদক্ষ শ্রমিকদের জন্য, যাদের সে রকম শিক্ষা নেই। কাজের অভিজ্ঞতাও নেই। তাঁরা শেখার প্রক্রিয়া চলাকালীন এই মজুরি পান। কারখানার কাপড়, আনুষঙ্গিক ও অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার করে দক্ষতা অর্জন করে। একজন অদক্ষ শ্রমিকের মোট মজুরি সাড়ে ৪ হাজার টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে, যা বিদ্যমান ন্যূনতম মজুরির তুলনায় ৫৬ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি।
অবশ্য খসড়া মজুরির গেজেট অনুযায়ী, শিক্ষানবিশকাল শ্রমিকেরা মাসে সর্বসাকল্যে ৯ হাজার ৮৭৫ টাকা পাবেন। এর মধ্যে মূল মজুরি ৪ হাজার ৯৫০ টাকা, বাড়িভাড়া ২ হাজার ৪৭৫ টাকা ও অন্যান্য ভাতা ২ হাজার ৪৫০ টাকা। শিক্ষানবিশকাল ৩ মাস। তবে তা আরও ৩ মাস বাড়াতে পারে মালিকপক্ষ।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে দক্ষতা আদান-প্রদান জরুরি

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও বিশ্বে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ এবং উৎপাদনশীলতাকে ত্বরান্বিত করতে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতা আদান-প্রদান অত্যন্ত জরুরি।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) লন্ডনে আয়োজিত কমনওয়েলথ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে অনুষ্ঠিত ‘টেক অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট: অ্যানাব্লিং ট্রেড’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচক হিসেবে অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।
প্রযুক্তিগতভাবে পিছিয়ে পড়া কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়ন এবং সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সম্মিলিতভাবে কাজ করারও আহ্বান জানিয়ে মাহবুবুল আলম বলেন, এক্ষেত্রে ফিনটেক এবং ডিজিটাল ইকোনমিতে নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সদস্য দেশগুলোকে নিয়ে একটি ‘কমন সাইবার-বেজড ট্রেড ইনফরমেশন অ্যান্ড লিঙ্কেজ প্ল্যাটফর্ম’ তৈরির করা যেতে পারে।
পাশাপাশি দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বৃদ্ধি ও বাণিজ্যের হার বাড়াতে ‘কমনওয়েলথ কানেক্টিভিটি অ্যাজেন্ডা ফর ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট’ এর মতো কোনো উদ্যোগ নেওয়া যায় কি না সে বিষয়ে প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি।
মাহবুবুল আলম আরও বলেন, আমরা ‘ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন’ এর যুগ অতিক্রম করছি। প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের স্বার্থে আমাদের সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। প্রযুক্তিকে সহজলভ্যকরণ, ডিজিটাল লিটারেসি বৃদ্ধি, অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ এবং নীতি-কৌশল নির্ধারণে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ হাতে নিতে হবে বলেও জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

কোনো সদস্য দেশ যেন ডিজিটাল রূপান্তরের সুফল থেকে বঞ্চিত না হয়, কমনওয়েলথকে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন মাহবুবুল আলম। বিগত দশকগুলোয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা এবং অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি শমী কায়সায় ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশের উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে বর্তমানে যে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চলছে, তা অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার। ২০১৩-১৫ সাল পর্যন্ত যেভাবে জ্বালাও-পোড়াও করেছে এবং এখনও একনাগারে এগুলো করছে; তাতে দেশের ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হচ্ছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া কখনোই উন্নয়ন সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) প্রেস ইনস্টিটিউট প্রকাশিত ‘এসডিজি এবং উন্নয়নমূলক ফিচার সংকলন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির অবরোধের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় যানজট হচ্ছে। দূরপাল্লার গাড়িও চলছে। এই যে কর্মসূচি দিয়ে তারা নিজেদের হাস্যকর করছে, আমি বুঝি না তারা কেন এই সিদ্ধান্তগুলো নেয়? এসব কর্মসূচি কেউ মানছে না, বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দিচ্ছে যে তোমাদের মানি না, কিসের অবরোধ!
তিনি বলেন, আমরা তো চাই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। ধ্বংসাত্মক এই অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসুক। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বক্তব্য আমি শুনেছি, আমি মনে করি তিনি যথার্থ বলেছেন। আশা করি বিএনপির শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।

তিনি আরও বলেন, একটি নির্বাচিত সরকারকে দিন তারিখ বলে ফেলে দেওয়া এটাই তো একটি সন্ত্রাসী ঘোষণা। এই অপরাজনীতি থেকে আশা করি তারা বেরিয়ে আসবে। সাত সমুদ্র তের নদীর ওপার থেকে দেশের বাস্তবতা তাদের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। কারণ সিদ্ধান্তটা ওখান থেকে আসে। যারা পলাতক কিংবা যারা নির্বাচন করতে পারবে না। তারাই সিদ্ধান্ত দেয় নির্বাচনে যাবে না। বিএনপি নেতারা তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ পরামর্শ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু বাস্তুচ্যুতির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ভবিষ্যত মানব সঙ্কটের মুখোমুখী হওয়া থেকে তাদের রক্ষায় মানব গতিশীলতার পাঁচটি বিষয়ের ওপর নজর দেওয়া দরকার।
তিনি বলেন, “বেশিরভাগ জলবায়ু স্থানচ্যুতি জাতীয় সীমানার মধ্যে এবং কিছু ভয়ানক পরিস্থিতিতে সীমান্তের ওপারে ঘটে। এই ধরনের পরিস্থিতি যাতে মানবিক সংকটে পরিণত না হয় সে জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা ও সংহতি প্রয়োজন।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)-এর সদর দফতরে তিন দিনব্যাপী ১১৪তম অধিবেশনে ‘মানব গতিশীলতার ওপর জলবায়ুর প্রভাব: সমাধানের জন্য বৈশ্বিক আহ্বান’ শীর্ষক উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে সম্প্রচারিত একটি ভিডিও বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যারা বাস্তুচ্যুত বা আটকে পড়েছেন তাদের মৌলিক পরিষেবা, সামাজিক সুরক্ষা এবং জীবিকার বিকল্পগুলোতে প্রবেশাধিকার থাকা দরকার।
“তাদের আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের ওপর বিরূপ প্রভাবগুলোও একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক পদ্ধতিতে মোকাবিলা করা দরকার,” বলেন তিনি ।
তিনি বলেন, এটি অনুমান করা হয়েছে যে জলবায়ু পরিবর্তন ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২১৬ মিলিয়ন লোককে বাস্তুচ্যুত করতে পারে, এর মধ্যে ৪০ মিলিয়ন একক ভাবে দক্ষিণ এশিয়ার। বাংলাদেশে আমাদের জনসংখ্যার ২০ শতাংশ উপকূলীয় অঞ্চলে বাস করে।

“সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ, ঘন ঘন বন্যা এবং প্রবল ঘূর্ণিঝড় তাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। এই ধরনের স্থানচ্যুতি আমরা যা ভাবি তার চেয়ে দ্রুত গতিতে ঘটছে,” সতর্ক করেন তিনি ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এখন মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আগত ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় প্রদান করছে।
“এই লোকেদের মধ্যে কিছু লোক পাচার নেটওয়ার্কের শিকার হয় যার সাথে সমগ্র অঞ্চলের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। এই ধরনের মিশ্র অভিবাসন প্রবাহ জলবায়ু গতিশীলতার সমস্যাটিকে আরও বেশি সমস্যাযুক্ত করে তোলে,” তিনি যোগ করেন।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে মানব গতিশীলতার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আন্তর্জাতিক আলোচ্যসূচিতে উচ্চ স্থান দেওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন যে বাংলাদেশ বিষয়টির কার্যকর সমাধানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে আইওএম এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথে একত্রে কাজ করছে।
তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিত বোধ করছি যে অনেক ছোট দ্বীপের উন্নয়নশীল দেশগুলোও এতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমরা সন্তুষ্ট যে কপ-২৮, জিএফএমডি, এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরাম এটিকে যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে।”
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সরকার সম্পদের সীমাবদ্ধতার মধ্যে জলবায়ু অভিবাসীদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ শুরু করেছে।
আমার অগ্রাধিকার ভিত্তিক আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বাস্তুচ্যুত ৪,৪০০ পরিবারকে নিরাপদ আবাসন প্রদানের জন্য আমরা কক্সবাজারে ১৩৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করছি, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, এই বিশ্বের বৃহত্তম জলবায়ু পুনর্বাসন প্রকল্পটি স্থানীয় মাছ ধরা, পর্যটন এবং বায়ু শক্তি কেন্দ্র হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষের চলাফেরায় যে প্রভাব পড়ছে তা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি পরামর্শ দিয়েছেন।
এগুলো হচ্ছে- প্রথমত, আমাদের নিরাপদ, সুশৃঙ্খল এবং নিয়মিত অভিবাসনের জন্য গ্লোবাল কমপ্যাক্টের সাথে সামঞ্জস্য রেখে অধিকার-ভিত্তিক পদ্ধতিতে মানব গতিশীলতার ওপর জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলা করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, জলবায়ু অভিবাসীদের অভিঘাত এবং ক্ষতির প্রসঙ্গে-নির্দিষ্ট সমাধান খুঁজে বের করার জন্য জলবায়ু ন্যায্যতার আলোকে আমাদের পরিস্থিতি বিবেচনা করতে হবে।
তৃতীয়ত, অভিবাসনকে জলবায়ু অভিযোজন কৌশল হিসাবে দেখার জন্য আমাদের স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে প্রস্তুত হতে হবে যেখানে এটি সর্বোত্তম সম্ভাব্য সমাধান হিসাবে প্রমাণিত হবে।
চতুর্থত, জলবায়ু অভিবাসী, বিশেষ করে নারী, শিশু এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের বিদ্যমান আন্তর্জাতিক সুরক্ষা মান পর্যালোচনা করতে হবে।
এবং পঞ্চমত, সংকীর্ণ রাজনৈতিক বিবেচনার উর্ধ্বে এটির জন্য একটি গঠনমূলক অবস্থান তৈরিতে মানব গতিশীলতার ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিষয়ে আমাদের উন্নত গবেষণা ডেটা এবং প্রমাণের ভিত্তিতে বিনিয়োগ করা উচিত।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কাল ইসির সঙ্গে বৈঠকে বসবে ইইউ

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইইউয়ের ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
ইসির পরিচালক (জনসংযোগ) মো. শরিফুল আলম জানান, বুধবার বেলা ৩টায় ইইউর সঙ্গে কমিশনের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ইসি সূত্র জানায়, বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে সংস্থাটির ডেপুটি হেড অব মিশন ব্রেন্ড স্পাইনার, পলিটিক্যাল অফিসার সেবাস্তিয়ান রিগার ব্রাউন, সুইডেনের অ্যাম্বাসেডর আলেকজান্ডার বার্গ ফন লিন্দ্রে, ডেনমার্কের অ্যাম্বাসেডর ক্রিস্টিয়ান ব্রিক্স মুলার, স্পেনের অ্যাম্বাসেডর ফ্রান্সিসকো ডি আসিস বেনিতেজ সালাস, ইতালির অ্যাম্বাসেডর আন্তোনিও অ্যালেসান্দ্রো, কিংডম অব নেদারল্যান্ডসের অ্যাম্বাসেডর ইরমা ফেন ডুয়েরেন, ফ্রান্সের ডেপুটি হেড অব মিশন গুইলাম অড্রেম ডে কারড্রেল ও জার্মান অ্যাম্বাসির এক প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে সিইসিকে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বৈঠক করতে চেয়ে ই-মেইল করেছিলেন ২২ নভেম্বর। এতে বৈঠকের জন্য ২৭ নভেম্বর সময় চেয়েছিলেন তিনি। তবে বেশির ভাগ কমিশনার নির্বাচনী সফরে ঢাকার বাইরে অবস্থান করার ফলে ২৭ নভেম্বরের পরিবর্তে ২৯ নভেম্বর সময় দেয় ইসি।
অর্থসংবাদ/এমআই