শিল্প-বাণিজ্য
বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াতে তুরস্ক যাচ্ছে ডিসিসিআই প্রতিনিধিদল

দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের নতুন সম্ভাবনা খুঁজতে তুরস্কে যাচ্ছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) একটি প্রতিনিধিদল। সংগঠনটির সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের নেতৃত্বে ৮৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল চার দিনের সফরে ইস্তাম্বুলের উদ্দেশ্যে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা ছাড়বে।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ডিসিসিআই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদারের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার নতুন বাণিজ্যের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন এবং বিনিয়োগ সহযোগিতা সম্প্রসারণই প্রতিনিধিদলটির ইস্তাম্বুল সফরের মূল লক্ষ্য।
সফরকালে প্রতিনিধিদল ২৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বের সর্ববৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন ‘ইস্তাম্বুল চেম্বার অব কমার্স’ আয়োজিত ‘দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা এবং বিটুটি সেশন’, ২৯ সেপ্টেম্বর ফরেন ইকোনোমিক রিলেশন্স বোর্ড অফ টার্কি (ডেইক) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার ও বিটুবি সেশনে অংশ নেবে।
এছাড়াও সফরকালে তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী মেহমেট মুসের সঙ্গে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান সাক্ষাৎ করবেন। একই সঙ্গে ডিসিসিআইয়ের প্রতিনিধিদলটি ইস্তাম্বুলে অবস্থিত বেশ কয়েকটি শিল্পাঞ্চল পরিদর্শন করবে।
বিশেষত সেবা, উৎপাদন এবং জেনারেল ট্রেডিং খাতে সহযোগিতা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি বাংলাদেশে তুরস্কের বিনিয়োগ আকর্ষণ ও সম্ভাবানাময় খাতে জয়েন্ট ভেঞ্চার কার্যক্রম বাড়াতে এ সফর গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে ডিসিসিআই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিল্প-বাণিজ্য
পেঁয়াজের উৎপাদন বৃদ্ধিতে বাড়ানো হবে প্রণোদনা

অসাধু ব্যবসায়ীদের প্ররোচনায় দেশে হুট করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। আবার অনেকটা আমদানিনির্ভর এই পণ্যে বাকি দেশগুলো প্রায়শই শুল্কের হার বাড়াচ্ছে। তাতে বেশ বিপাকে পড়ছে দেশের সাধারণ মানুষ। ফলে দেশে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণোদনা আরও বাড়ানোর চিন্তা করেছে সরকার- এমনটাই জানিয়েছেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে মেহেরপুর জেলার সদর উপজেলার ইছাখালী গ্রামে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের মাঠ দিবস ও কৃষক সমাবেশে তিনি এ কথা জানান।
ওয়াহিদা আক্তার বলেন, পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য আমরা গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করছি। গ্রীষ্মকালে পেঁয়াজের চাষ জনপ্রিয় করতে কৃষকদেরকে আমরা বিনামূল্যে বীজ, সার দিচ্ছি। ইতোমধ্যে এর সুফল আমরা পাচ্ছি। সেজন্য আগামী বছর থেকে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রণোদনা আরও বাড়ানো হবে। এর ফলে আগামীতে স্থানীয়ভাবে পেঁয়াজের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।
এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল হক পাটওয়ারী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. এনামুল হক, মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের খুলনা অঞ্চলের ঊর্ধতন কর্মকর্তা ও কৃষক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে কৃষি মন্ত্রণালয় গত কয়েক বছর ধরে কৃষকদেরকে প্রণোদনা হিসেবে বিনামূল্যে বীজ, সার বিতরণ করছে। চলতি বছরেও ৩২ কোটি টাকার বেশি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।

অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
জনশক্তি রপ্তানিতে বাংলাদেশের মাইলফলক

শ্রম অভিবাসনে বড় এক মাইলফলক অর্জন করেছে বাংলাদেশ। টানা দুই বছর ১০ লাখের ঘর ছাড়িয়েছে জনশক্তি রপ্তানি। চলতি ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ ৯৯ হাজার বাংলাদেশি কর্মী প্রবাসে চাকরি নিয়ে গেছেন। গত বছরের রেকর্ডসংখ্যক ১১ লাখ ৩৫ হাজার কর্মী রপ্তানির ধারাবাহিকতা, এ বছরেও দেখা যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে রিক্রুটিং এজন্সিগুলো বলছে, মহামারির কারণে দুই বছর বিদেশে যেতে না পারা অনেক শ্রমিকই ২০২২ ও ২০২৩ সালে গেছেন। এ সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলতে থাকায় তাদের চাকরির বাজারও উন্মুক্ত হয়। পাশাপাশি সব ধরনের সৌদি প্রতিষ্ঠানে অভিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য নির্ধারিত কোটা ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করার ঘটনাও অবদান রেখেছে।
বাংলাদেশি শ্রমিকদের শীর্ষ গন্তব্য সৌদি আরব। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত মোট বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ৩৭ শতাংশই হয়েছে উপসাগরীয় এ দেশটিতে। তারপরেই রয়েছে মালয়েশিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, কাতার, কুয়েত ও জর্ডান।
এ ব্যাপারে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটং এজেন্সিজ (বায়রা) সভাপতি আবুল বাশার বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়া বেশি ভাগ শ্রমিক পরিচ্ছন্নতা কর্মী, নির্মাণকাজ ও অন্যান্য গৃহস্থালি কাজ পেয়েছেন, তাদের মাসিক বেতন ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনেকে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি পেয়েছেন, যেখানে বেতন ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। এ ছাড়া কিছুসংখ্যক দক্ষ ও আধা-দক্ষ শ্রমিক বিভিন্ন দেশে প্লাম্বার এবং এসি ও ফ্রিজের ইলেক্ট্রিশিয়ান বা টেকনিশিয়ান হিসেবে গেছে।
তবে জনশক্তি রপ্তানি বাড়ালেও রেমিট্যান্স কমার তিনটি কারণ উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এগুলো হলো- বেশির ভাগ শ্রমিকের স্বল্প-দক্ষতার কাজে যোগদান, হুন্ডির দৌরাত্ম্য এবং বিদেশি বিভিন্ন নিয়োগদাতার ভুয়া চাকরির প্রস্তাব এনে এ দেশের কিছু রিক্রুটারের অদক্ষ শ্রমিকদের থেকে টাকা নেয়ার ঘটনা।

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য মতে, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে বিদেশে গমনেচ্ছু শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে সরকারের চেষ্টা সত্ত্বে বিদেশগামী জনশক্তির মধ্যে স্বল্প বা অদক্ষ শ্রমিকদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ২০২২ সালে যা মোট জনশক্তি রপ্তানির মধ্যে ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশে পৌঁছায়। তার আগের বছরে এটি ছিল ৭৫ দশমিক ২৪ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তথ্য অনুযায়ী, একজন বাংলাদেশি কর্মী দেশে প্রতি মাসে গড়ে ২০৩ দশমিক ৩৩ ডলার (২২ হাজার ৪০৮ টাকা) পাঠান, যা ফিলিপিনো কর্মীদের পাঠানো ৫৬৪ দশমিক ১ ডলারের তুলনায় অনেক কম। বাংলাদেশি কর্মীদের রেমিট্যান্সের এ ব্যবধান অন্যান্য আঞ্চলিক কর্মীদের সঙ্গেও রয়েছে। একজন পাকিস্তানি কর্মী মাসে গড়ে ২৭৫ দশমিক ৭৪ ডলার দেশে পাঠান। একজন ভারতীয় কর্মী পাঠান ৩৯৫ দশমিক ৭১ ডলার। আর চীনা কর্মীদের ক্ষেত্রে এ অঙ্ক মাসে ৫৩২ দশমিক ৭১ ডলার। আঞ্চলিক প্রতিদ্ব›দ্বী ফিলিপাইনের তুলনায় বেশিসংখ্যক প্রবাসী কর্মী থাকলেও অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স অর্জনে বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে।
আইওএমের ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট ২০২২ অনুসারে, ২০২২ সালে প্রায় ৭০ লাখ প্রবাসী কর্মীর বদৌলতে বাংলাদেশ বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম শ্রম সরবরাহকারী দেশ ছিল। আর ৬০ লাখ কর্মী নিয়ে ফিলিপাইনের অবস্থান ছিল নবম অবস্থানে। প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়, গত বছর রেমিট্যান্স অর্জনে চতুর্থ বৃহত্তম দেশ ছিল ফিলিপাইন। আর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল অষ্টমে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
বিএ এক্সচেঞ্জ কোম্পানির চেয়ারম্যান আবুল কাসেম

ব্যাংক এশিয়ার স্বতন্ত্র পরিচালক আবুল কাসেম সম্প্রতি ব্যাংকের মালিকানাধীন সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিএ এক্সচেঞ্জ কোম্পানি (ইউকে) লিমিটেডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক পদে পেশাজীবন শুরু করে ডেপুটি গভর্নর হিসেবে অবসর নেন। বাংলাদেশ ব্যাংকে ৪০ বছরের পেশাজীবনে তিনি মুদ্রা ব্যবস্থাপনা, পেমেন্ট সিস্টেম, অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটসহ বিভিন্ন বিভাগে কাজ করেছেন।
এ ছাড়া তিনি সিটি ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংকে বোর্ড পর্যবেক্ষক, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের বোর্ড নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, এসএমই ফাউন্ডেশন এবং সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশনে (বাংলাদেশ) পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।
আবুল কাসেমের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে বিএসএস এবং এমএসএস ডিগ্রি লাভ করেন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
চার মাসে হিলি স্থলবন্দরে রাজস্ব আদায় ১৫১ কোটি টাকা

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা এখনো নির্ধারণ করেনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) রাজস্ব আহরণ হয়েছে ১৫০ কোটি ৮২ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ কোটি টাকা বেশি। বন্দর দিয়ে জিরাসহ অধিক শুল্ক পণ্যের আমদানি অব্যাহত থাকলে রাজস্ব আহরণ আরো বাড়বে বলে মনে করছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৩১ কোটি ৮০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। পরের মাস আগস্টে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ কোটি ৯২ লাখ টাকায়। তবে সেপ্টেম্বর থেকে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। মাসটিতে ৩৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণ হয়েছে। অক্টোবরে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ আরো কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬ কোটি ৭১ লাখ টাকায়।
এ চার মাসে হিলি স্থলবন্দরে মোট রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫০ কোটি ৮২ লাখ টাকা, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা বেশি। গত বছরের জুলাই-অক্টোবরে রাজস্ব আহরণ হয়েছিল ১৩৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এছাড়া গত অর্থবছরের একই সময়ে বন্দর দিয়ে মোট ৪ লাখ ৬৮ হাজার টন পণ্য আমদানি হয়েছিল, যার মধ্যে ৭ হাজার ৪৫২ টন ছিল জিরা। চলতি বছর জুলাই-অক্টোবর সময়ে আমদানির পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৮৭ হাজার টনে, যার মধ্যে ৪ হাজার ৮৮৮ টন ছিল জিরা। পণ্য আমদানির পরিমাণ কমলেও শুল্কহার বাড়ায় রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ বেড়েছে।
হিলি স্থল শুল্কস্টেশনের কর্মকর্তা বায়জিদ হোসেন বলেন, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা এখনো নির্ধারণ করে দেয়নি এনবিআর। তার পরও আমরা চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ১৫০ কোটি ৮২ লাখ টাকা রাজস্ব আহরণ করতে সক্ষম হয়েছি। গত বছরের তুলনায় ১৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব এসেছে।
তিনি বলেন, হিলি স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের মূল পণ্য জিরা। এ বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি বাড়লে রাজস্ব আহরণের পরিমাণও বাড়বে। তবে এনবিআর জিরা আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কায়ন মূল্য দ্বিগুণের মতো বাড়িয়েছে। আগে প্রতি টন জিরা ১ হাজার ৮০০ ডলার মূল্যে শুল্কায়ন করা হলেও এখন তা বাড়িয়ে ৩ হাজার ৫০০ ডলার করা হয়েছে। এ কারণে জিরা আমদানি অনেক কমে এসেছে। তবে আমদানি কমলেও শুল্কায়ন মূল্য বাড়ায় রাজস্ব আহরণ বেড়েছে। বন্দর দিয়ে সব ধরনের পণ্যের আমদানি স্বাভাবিক থাকলে এবং জিরা, পাথরসহ যেসব পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক আছে, সেসব পণ্যের আমদানি অব্যাহত থাকলে রাজস্ব আহরণ আরো বাড়তে পারে। বিশেষ করে ডলার সংকট কেটে গেলে আমদানিকারকরা এলসি খুলতে পারবে। তখন পণ্য আমদানির পরিমাণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজস্ব আহরণের পরিমাণও বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।

অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
২০২৪ সালে কমতে পারে খাদ্যপণ্যের দাম

বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের দাম ২০২৪ সালে রেকর্ড উচ্চতা থেকে কমে আসবে। সম্প্রতি নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বহুজাতিক ব্যাংকিং ও আর্থিক পরিসেবা প্রতিষ্ঠান রাবোব্যাংকের কৃষিপণ্য সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
জলবায়ু সংকট, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ, উচ্চ জ্বালানি ব্যয় ও সারের উচ্চমূল্যের কারণে তিন বছর ধরে খাদ্যপণ্যের বাজার খুবই অস্থিতিশীল।
রাবোব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশেষ করে ভুট্টা ও সয়াবিনের মতো কৃষিপণ্যের দাম কমে যাওয়ায় বাজারে খাদ্যপণ্যের মূল্যসূচক নিম্নমুখী হবে। তবে দাম ও সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও আগামী বছর চাহিদা কিছুটা দুর্বল থাকতে পারে। কারণ হিসেবে ব্যাংকটি বলছে, ভোক্তারা উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও সুদহারের মতো অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। তাই ভোক্তারা অতিরিক্ত খরচ করার প্রবণতা কমিয়ে দেবে।
একই সঙ্গে রাবোব্যাংক ২০২৪ সালে দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আশঙ্কা করছে, যা কৃষিপণ্যের চাহিদা বৃদ্ধিকে মন্থর করে দেবে। রাবোব্যাংকের কৃষিপণ্য বিষয়ক প্রধান কার্লোস মেরা জানান, তিন বছর ধরে বিশ্বব্যাপী কৃষিপণ্যের দাম অত্যন্ত অস্থিতিশীল ছিল। উৎপাদনকারীরা এখনো যুদ্ধ, খারাপ আবহাওয়া, অন্যান্য খরচ বৃদ্ধি ও দুর্বল চাহিদার প্রভাবগুলোর সঙ্গে লড়াই করছে। তবে ২০২৪ সালে অবস্থা কিছুটা স্বাভাবিকতার দিকে ফিরতে পারে।
কয়েক বছর ধরে রাবোব্যাংক প্রধান ১০টি কৃষিপণ্যের দিকে নজর রাখছে। এটি পূর্বাভাস দিয়েছে ভুট্টা, সয়াবিন, চিনি ও কফির দাম তুলনামূলকভাবে কমবে। তবে আবহাওয়া ও রফতানির অনিশ্চয়তার কারণে গমের দাম এখনো অনিশ্চিত।
আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় ২০২৪ সালে ব্রাজিলে সয়াবিনের রেকর্ড ফলনের সম্ভাবনা দেখছে রাবোব্যাংক। এ সময় ১৬ কোটি ৩০ লাখ টন সয়াবিন উৎপাদনের প্রত্যাশা করছে ব্যাংকটি। সয়াবিনের শীর্ষ রফতানিকারক আর্জেন্টিনার উৎপাদন বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে। এতে শস্যটির বৈশ্বিক মজুদ বাড়বে। তবে পণ্যটির দাম কেমন হবে তা নির্ভর করছে অনিশ্চিত বিদেশী মুদ্রা বিনিময় নীতির ওপর।

অন্যদিকে গম উৎপাদনে বিশ্বব্যাপী টানা পঞ্চমবারের মতো ঘাটতি দেখা দিতে পারে। অস্ট্রেলিয়াসহ প্রধান গম উৎপাদনকারী অঞ্চলে এল নিনোর প্রভাবে উৎপাদন কমতির দিকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে বেকারি, দুগ্ধ খামার এবং মাংস উৎপাদনকারীদের খরচ তুলনামূলক মন্থরগতিতে বাড়ায় এ সময় সবচেয়ে বেশি লাভবান খাতসংশ্লিষ্টরা।