অন্যান্য
৩ দিনের মধ্যে বৃষ্টি বাড়তে পারে

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিছিন্নভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। হঠাৎ শরতের মেঘ এসে বৃষ্টি নামিয়ে দিচ্ছে, আবার মেঘ কেটে উঠছে রোদ। কোথাও আবার কোনদিন হচ্ছে ভারি বৃষ্টি, পরের দিনেই স্বাভাবিক। মেঘের আনাগোনা থাকছে। তবে গরম দুঃসহ হয়ে উঠেনি।
এ পরিস্থিতিতে আগামী তিনদিনের মধ্যে বৃষ্টি বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ঈশ্বরদীতে সবচেয়ে বেশি ২৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। ঢাকায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকার আকাশে সকাল থেকে রোদ-মেঘের খেলা। তবে বেলা বাড়তে মেঘ বেড়ে চারপাশ অন্ধকার হয়ে যায়। তবে ধীরে ধীরে সেই মেঘও কেটে গিয়ে রোদের দেখা মেলে।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান বলেন, সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এ সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী তিনদিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল রাজশাহী ও তাড়াশে।
অন্যদিকে সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফরিদপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য
টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু আগামীকাল

মাসিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল বুধবার (৬ ডিসেম্বর) থেকে ভর্তুকি মূল্যে ডিসেম্বর মাসের পণ্য বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। এ মাসে দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল চিনি ও চালের সঙ্গে পেঁয়াজ যুক্ত করা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় টিসিবি।
এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনায় নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য (তেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম চলমান। জুলাই মাস থেকে এ বিক্রি কার্যক্রমে টিসিবি পণ্যের সঙ্গে খাদ্য অধিদপ্তরের (খাদ্য মন্ত্রণালয়) দেওয়া চাল যুক্ত হয়েছে।
ডিসেম্বর মাসের বিক্রি কার্যক্রমে সর্বোচ্চ ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন উপকারভোগীরা। এ ক্ষেত্রে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বা রাইস ব্র্যান তেলের দাম পড়বে ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ৬০ টাকা এবং প্রতি কেজি চালের দাম পড়বে ৩০ টাকা।
অন্যদিকে এতদিন টিসিবির বিক্রি কার্যক্রমে উপকারভোগীরা ৭০ টাকা দরে ১ কেজি চিনিও কিনতে পারতেন। কিন্তু কয়েকমাস সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি কার্যক্রমে চিনি বিক্রি করা হয়নি। এ মাসে সেটি আবারও বিক্রি কার্যক্রমে যুক্ত করা হয়েছে। এবারও প্রাপ্যতা সাপেক্ষে দেওয়া হবে। সঙ্গে প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে দেওয়া হবে ২ কেজি পেঁয়াজ। তবে, চিনি পেঁয়াজ সব জায়গায় পাওয়া যাবে না। প্রাপ্যতা সাপেক্ষে কয়েকটি স্থানে বিক্রি কার্যক্রমে চিনি বিক্রি করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৩৪ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৮২ জন। অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন দুই হাজার ৬৮৯ জন ডেঙ্গুরোগী।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৬৮২ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ১৩৫ জন। এছাড়া ঢাকার বাইরের ৫৪৭ জন। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১ জন ও ঢাকার বাহিরে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট তিন লাখ ১৪ হাজার ৩৮৮ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৮ হাজার ৪০৪ জন, আর ঢাকার বাইরের দুই লাখ ছয় হাজার ৯৮৪ জন।
ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৬১ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ২০১ জন এবং ঢাকার বাইরের ৭৬০ জন।

গত ১ জানুয়ারি থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ১০ হাজার ৫৫ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৬ হাজার ৬৭১ জন এবং ঢাকার বাইরের দুই লাখ তিন হাজার ৩৯৪ জন।
২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ২৮১ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন, ২০২০ সালে সাতজন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
বিকাশ অ্যাপে যুক্ত হলো নতুন ৫ ফিচার

গ্রাহকের প্রতিদিনকার লেনদেন আরও সহজ ও নিরাপদ করতে বিকাশ অ্যাপে যুক্ত হলো বায়োমেট্রিক ‘ফেস আইডি’ ও ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ লগইন সুবিধা। পাশাপাশি, ‘গ্রুপ সেন্ড মানি’, ‘রিকোয়েস্ট মানি’, ‘সেভিংস মার্কেটপ্লেস’ ও ভিসা কার্ড থেকে অ্যাড মানি করতে ‘ডিফল্ট’ কার্ড সেভ করার মতো আকর্ষণীয় সব নতুন ফিচারও যুক্ত হয়েছে বিকাশ অ্যাপে।
বায়োমেট্রিক ‘ফেস আইডি’ ও ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ লগইন এখন থেকে বার বার পিন বা গোপন নাম্বার দিয়ে লগইন না করেও বায়োমেট্রিক ‘ফেস আইডি’ বা ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ ব্যবহার করে সহজেই ও নিরাপদে লগইন করতে পারবেন বিকাশ অ্যাপ ব্যবহারকারীরা। ফলে পিন ভুলে যাওয়া কিংবা বেহাত হওয়ার বিড়ম্বনা যেমন থাকলোনা, তেমনি বাড়লো বিকাশ অ্যাপের নিরাপত্তাও।
গ্রাহকরা বিকাশ অ্যাপের লগইন স্ক্রিন অথবা প্রোফাইল থেকে এই সেবাটি চালু করতে পারবেন। সেবাটি চালু করতে লগইন স্ক্রিন অথবা গ্রাহকের প্রোফাইল থেকে বায়োমেট্রিক অপশনে ক্লিক করে পরের ধাপে পিন দিয়ে বায়োমেট্রিক লগইন চালু করতে হবে। এরপর থেকে প্রতিবার লগইন করতে আর পিন দিতে হবেনা।
ডিভাইসে সেট করা ‘ফেস আইডি’ অথবা ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ ব্যবহার করেই গ্রাহকরা বিকাশ অ্যাপে লগইন করতে পারবেন। প্রয়োজনমতো গ্রাহক আবার অ্যাপের প্রোফাইল থেকে ‘ফেস আইডি’ বা ‘ফিঙ্গারপ্রিন্ট’ সেবাটি বন্ধও করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, বিকাশ অ্যাপের এই সেবাটি শুধুমাত্র ক্লাস ৩ বায়োমেট্রিক নিরাপত্তা সম্বলিত ডিভাইসে উপভোগ করা যাবে। নতুন কোনো ডিভাইস থেকে লগইন করলে, পিন পরিবর্তন করলে, বিকাশ অ্যাপে পিন লক হয়ে গেলে বা অ্যাপ আন-ইন্সটল করলে সেবাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে সেবাটি আবার চালু করতে হবে। এছাড়া, নিরাপত্তার স্বার্থে বায়োমেট্রিক লগইন চালু করার এক বছর পর আবার নতুন করে সেবাটি চালু করে নিতে হবে।

গ্রুপ সেন্ড মানি এই সেবার মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী কয়েকজনকে একসাথে টাকা পাঠাতে পারবেন। টাকা পাঠাতে প্রথমে অ্যাপের হোম স্ক্রিন থেকে সেন্ড মানি অপশনে যেয়ে ‘গ্রুপ সেন্ড মানি’ আইকনে ক্লিক করতে হবে। এখানে গ্রুপের সদস্য যারা হবেন তাদের নাম্বার বা নাম সিলেক্ট করে, গ্রুপের একটি নাম দিয়ে নতুন গ্রুপ তৈরি করতে হবে। এরপর টাকার পরিমাণ লিখে পরবর্তী ধাপে পিন দিয়ে সম্মতি দিলেই গ্রুপের সবার কাছে টাকা পৌঁছে যাবে।
গ্রুপে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে গ্রাহক চাইলে সবাইকে সমপরিমাণ টাকা পাঠাতে পারবেন অথবা কোন সদস্য কতো করে টাকা পাবেন সেটা নির্ধারণ করে দিতে পারবেন। একটি গ্রুপে একসাথে সর্বোচ্চ ৭ জন সদস্য রাখা যাবে। একবার গ্রুপ সেন্ড মানি করার ১০ মিনিট পর আর একটি লেনদেন করা যাবে। গ্রাহকরা অ্যাপের সেন্ড মানি অপশন থেকে গ্রুপের নাম ও সদস্যদের তথ্য পরিবর্তন করতে পারবেন।
ইনবক্সে গিয়ে ‘লেনদেনসমূহ’ অথবা বিকাশ মেন্যুর ‘স্টেটমেন্ট’ থেকে কে কতো টাকা পেল সেটা দেখা যাবে। রিকোয়েস্ট মানি বিকাশ গ্রাহক প্রয়োজন অনুযায়ী অন্য যেকোনো বিকাশ গ্রাহকের কাছে টাকা চাইতে ইন-অ্যাপ রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারবেন। গ্রাহকরা অ্যাপের হোম স্ক্রিন থেকে ‘রিকোয়েস্ট মানি’ আইকনে ট্যাপ করে সেন্ড মানি রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারবেন। এক্ষেত্রে এক দিনে সর্বোচ্চ ১০ জনকে (ব্যক্তি রিকোয়েস্ট এবং গ্রুপ রিকোয়েস্ট মিলিয়ে) রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারবেন। এক দিনে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা রিকোয়েস্ট করা যাবে।
যেকোনো রিকোয়েস্টের সর্বনিম্ন পরিমাণ ১০০ টাকা হতে হবে। রিকোয়েস্ট মানি-এর ক্ষেত্রে কোনো অতিরিক্ত চার্জ প্রযোজ্য হবেনা। সেভিংস মার্কেটপ্লেস বিকাশ অ্যাপে সেভিংস স্কিম খোলা এবং সহজেই কিস্তি জমা দেওয়ার সুবিধা পাওয়া যাবে এই নতুন সেবার মাধ্যমে। নির্ধারিত তারিখে কিস্তির টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কেটে নেওয়ার পাশাপাশি এখন থেকে ঢাকা ব্যাংক ও আইডিএলসির সেভিংস স্কিম নেওয়া গ্রাহকরা তাদের মিস হয়ে যাওয়া কিস্তির টাকাও সহজে পরিশোধ করতে পারবেন। এছাড়াও সেভিংসের পরিমাণ, কিস্তি জমা দেওয়ার নোটিফিকেশন, মিস হয়ে যাওয়া কিস্তির
তালিকা, সেভিংস ম্যাচিউর হওয়ার সময়সহ আরও বিভিন্ন সুবিধা থাকছে এই সেবায়। ‘ডিফল্ট’ কার্ড সুবিধা ভিসা কার্ড থেকে বিকাশে অ্যাড মানি করার ক্ষেত্রে এখন আর বার বার কার্ড-এর তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন নেই। গ্রাহকরা নিজের পছন্দের ভিসা কার্ডটি ‘ডিফল্ট’ কার্ড হিসেবে নির্ধারণ করে রাখতে পারবেন। ডিফল্ট কার্ড নির্ধারণ করতে অ্যাপের হোম স্ক্রিনের অ্যাড মানি অপশন থেকে কার্ড টু বিকাশ -এ যেয়ে ভিসা সিলেক্ট করতে হবে। পরের ধাপে অ্যাড মানি করার জন্য নাম্বারটি প্রবেশ করাতে হবে বা কন্টাক্ট লিস্ট থেকে সিলেক্ট করতে হবে। এরপর কার্ডের তথ্য দিয়ে অ্যাড মানি করার পর কার্ডটি ডিফল্ট কার্ড হিসেবে নির্ধারণ করে নিতে হবে। এরপর থেকে অ্যাড মানি করার সময়ে ডিফল্ট কার্ডটি স্ক্রিনের নিচে দেখা যাবে। গ্রাহক চাইলে অ্যাপ থেকেই কার্ড-এর তথ্য পরিবর্তন করতে পারবেন।
সর্বশেষ যুক্ত এই সেবা ও ফিচারগুলোর পাশাপাশি এই মুহূর্তে বিকাশ গ্রাহকরা সেন্ড মানি, মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, মার্চেন্ট পেমেন্ট, অ্যাড মানি, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফি পরিশোধ, ই-টিকেটিং, ডোনেশন, বিদেশ থেকে রেমিটেন্স গ্রহণ, ইন্স্যুরেন্স ও মাইক্রোফাইন্যান্স এর পেমেন্ট, ডিজিটাল ন্যানো লোন ও সেভিংস সহ নানান সেবা ব্যবহার করছেন। গ্রাহক-বান্ধব সেবার মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল লাইফস্টাইল অ্যাপে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে নিরন্তর উদ্ভাবন অব্যাহত রেখেছে বিকাশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
কৃষকের উন্নয়নে অর্থায়ন করবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ও টিএমএসএস

বাংলাদেশের গ্রামীণ ও কৃষক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও সহনশীলতা অর্জনে ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের সাথে কাজ করতে যাচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ। এই সহযোগিতার অংশ হিসেবে দুটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে যা ২৫ হাজার ৫০০ কৃষকের জীবনমান উন্নয়নে অবদান রাখবে। এ প্রকল্প দুটি বাস্তবায়নে প্রায় ২৬ মিলিয়ন অর্থায়নের আশ্বাস দিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ।
প্রথম প্রকল্পের অংশ হিসাবে, বগুড়া, জয়পুরহাট এবং সিরাজগঞ্জে বসবাসকারী ২৫ হাজার কৃষকদের মধ্যে ১ লাখ ২৫ হাজার ফল, ঔষধি এবং কাঠের গাছের চারা বিতরণ করতে টিএমএসএসর সাথে সহযোগিতা করবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড। এইসব এলাকার বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর একটি অংশ বর্তমানে তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং অপুষ্টির সম্মুখীন। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যাংকটি টিএমএসএসর সাথে কাজ করে কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের সবজীর বীজ বিতরণ করবে যাতে করে তারা বাড়ির পাশে সবজীর বাগানে উৎসাহিত হয়। এই প্রকল্পের মধ্যে দিয়ে এইসব অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে টেকসই জীবনমান অর্জনে সাহায্য করবে।
টিএমএসএসর সাথে অংশীদারিত্বে পরিচালিত দ্বিতীয় প্রকল্পটি বগুড়া এবং পটুয়াখালীর কৃষকদের সূর্যমুখী উৎপাদন বাড়াতে উদ্বুদ্ধ করবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ৫০০ কৃষকের মাঝে ১ হাজার ৮০০ কেজি সূর্যমুখী বীজ বিতরণ করবে। এছাড়াও, কৃষকদের সুবিধার্থে জমি চাষে সহযোগীতার পাশাপাশি সার এবং কীটনাশক সরবরাহ করবে ব্যাংকটি। একইসাথে কৃষকেরা সঠিকভাবে তেল উৎপাদনের সরঞ্জামের ব্যবহারবিধি, তেল প্রক্রিয়াজাতকরণ, এবং স্টেকহোল্ডার নির্বাচন ও বাজারজাতকরণের উপর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ পাবেন। সূর্যমুখী বীজের উচ্চ অভিযোজনযোগ্যতা
এবং বীজের তেলের গুণাবলির উপর গুরুত্বারোপ করে কৃষকদের মাঝে সূর্যমুখী চাষ নিয়ে সচেতন বৃদ্ধি করতে এই প্রকল্পটি বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার নাসের এজাজ বিজয় বলেন, স্থানীয় খাদ্য উৎপাদনকে শক্তিশালী করে কৃষিব্যবস্থাকে সুরক্ষিত করার মাধ্যমে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড জীবন ও জীবিকার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে রোপিত ফলজ এবং বনজ বৃক্ষের পাশাপাশি শস্যগুলো আমাদের জনগোষ্ঠীর তথা অর্থনীতির উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে। জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কাজ করে যাওয়া টিএমএসএসর সাথে এই দুটি প্রকল্পের অংশীদার হতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত।
ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের (টিএমএসএস) প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম বলেন, আমরা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডর সাথে দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের অংশীদার হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা মনে করি, এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত এই জনগোষ্ঠীর সামাজিক মর্যাদা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ এবং টিএমএসএসর মধ্যকার এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় এবং ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের (টিএমএসএস) প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১১৮ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন কার্যক্রম পরিচালনাকারী স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-ই দেশের একমাত্র বহুজাতিক ব্যাংক। দেশের কৃষি, অর্থনীতি ও সামাজিক অগ্রগতিতে স্টেকহোল্ডারদের সুযোগ বৃদ্ধি করে সার্বিক উন্নতিতে ব্যাংকটি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ক্রমাগত উদ্ভাবনের সঙ্গে দেশের কৃষি, অর্থনীতি ও সমৃদ্ধির যাত্রায় স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘ, টিএমএসএস হলো একটি বাংলাদেশী মাইক্রোক্রেডিট এনজিও। ১৯৮০ সালে অধ্যাপক ড. হোসনে আরা বেগম-এর হাত ধরে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামোর উন্নতি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে একটি উপযুক্ত সমাজ গঠনের জন্য টিএমএসএস কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় টিএমএসএস তাদের কাজের ধারা অব্যাহত রেখেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
জিএসপি ফিন্যান্সের দ্বিতীয় প্রান্তিক প্রকাশ

সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৩-জুন’২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি জিএসপি ফিন্যান্স লিমিটেড।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে আলোচ্য প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৪৭ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ১৪ পয়সা আয় হয়েছিল।
অন্যদিকে দুই প্রান্তিক মিলিয়ে কোম্পানিটির কনসুলেটেড লোকসান হয়েছে ২ টাকা ৯৬ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ৪৫ পয়সা আয় হয়েছিল।
সমাপ্ত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি কনসুলেটডে নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৪ টাকা ৮২ পয়সা।