জাতীয়
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের কার্যকর ভূমিকা চান প্রধানমন্ত্রী

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘের কার্যকর ভূমিকা রাখার পাশাপাশি বিশ্ব নেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বিকেলে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে ভাষণে এ আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে গণহারে বাংলাদেশে প্রবেশের এরই মধ্যে পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে রোহিঙ্গাদের। মিয়ানমারে নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরিতে দ্বিপাক্ষিক, ত্রিপাক্ষিক এবং জাতিসংঘসহ অন্যান্য অংশীজনদের নিয়ে আলোচনা সত্ত্বেও একজন রোহিঙ্গাকেও তাদের মাতৃভূমিতে ফেরত পাঠানো যায়নি। মিয়ানমারে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সশস্ত্র সংঘাত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনকে আরও দুরূহ করে তুলছে। আশাকরি, এ বিষয়ে জাতিসংঘ কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার ফলে সরবরাহ ব্যবস্থায় ব্যাঘাত এবং জ্বালানি, খাদ্যসহ নানা ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে। এ কারণে, আমাদের মতো অর্থনীতি মারাত্মক চাপের মুখে পড়েছে। মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এ অবস্থা কাটিয়ে ওঠার জন্য আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি বলেন, আমরা ইউক্রেন ও রাশিয়া যুদ্ধের অবসান চাই। নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা-নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে একটি দেশকে শাস্তি দিতে গিয়ে নারী, শিশুসহ ও গোটা মানবজাতিকেই শাস্তি দেওয়া হয়। এর প্রভাব কেবল একটি দেশেই সীমাবদ্ধ থাকে না বরং সব মানুষের জীবন-জীবিকা মহাসংকটে পতিত হয়। মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়। মানুষ খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। বিশেষ করে, শিশুরাই বেশি কষ্ট ভোগ করে। তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে হারিয়ে যায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
নীতি সুদহারের সাথে বাড়লো ঋণের সুদহার

দেশের ঊর্ধ্বগতির মূল্যস্ফীতিকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আট শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে সব ধরনের নীতি সুদহার ফের বাড়ানো হয়েছে। এতে ব্যাংক ঋণের সুদহারও আগের তুলনায় বেড়েছে। ঘোষিত নীতি সুদহার অনুযায়ী ব্যাংকঋণের সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ।
বুধবার (২২ নভেম্বর) পুনর্গঠিত মুদ্রানীতি কমিটির প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নীতি সুদহার বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত আগামীকাল সোমবার থেকে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে সর্বশেষ গত অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে নীতি সুদহার বাড়ানো হয়েছিল।
মুদ্রানীতি কমিটির সভায় মোট চারটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে রেপো রেট, রিভার্স রেপো, স্পেশাল রেপো এবং ঋণের সুদহারের স্মার্ট পদ্ধতিসহ প্রতিটি খাতে পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছে।
তাতে রেপো রেট একবারে দশমিক ৫০ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়ানো হবে। এখন নীতি সুদহার ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ, তা বৃদ্ধি করে ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলো যে টাকা ধার করে, তার সুদহার বাড়বে। পাশাপাশি ব্যাংকগুলোতে রাখা আমানত ও ব্যাংকঋণের সুদহারও বাড়বে। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক আরও সংকোচনমূলক মুদ্রা সরবরাহের পথে হাঁটছে।
দ্বিতীয়ত রিভার্স রেপো (বর্তমান নাম স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি-এসডিএফ) নিম্নসীমার সুদহার ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ হতে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে। বাজারে উদ্বৃত্ত টাকা থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংক রিভার্স রেপোর সুদ বাড়িয়ে তা তুলে নেয়।

তৃতীয়ত, নীতি সুদহার করিডরের ঊর্ধ্বসীমা স্পেশাল রেপো বা এসএলএফ-স্টান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটির সুদহার ৯ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে। এ ব্যবস্থায় সংকটে পড়া ব্যাংক উচ্চ সুদে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ধার করে।
আরও পড়ুন: ফের নীতি সুদহার বাড়ালো বাংলাদেশ ব্যাংক
চতুর্থত, যে পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে এখন ঋণের সুদহার নির্ধারিত হচ্ছে, সেই স্মার্ট বা সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিলের সুদ ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো। এখন স্মার্ট রেট ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ব্যাংকগুলো এর সঙ্গে সাড়ে ৩ শতাংশ পর্যন্ত সুদ যুক্ত করতে পারে। নতুন সিদ্ধান্তে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত সুদ যুক্ত করতে পারবে ব্যাংকগুলো। তাতে ব্যাংকঋণের সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ।
এ ছাড়া ডলারের বিনিময় হারকে বাজারমুখী করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের চলমান প্রচেষ্টা জোরদার ও ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আজ রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পুনর্গঠিত মুদ্রানীতি কমিটির প্রথম সভা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান, প্রধান অর্থনীতিবিদ মো. হাবিবুর রহমান, অর্থনীতিবিদ সাদিক আহমেদ, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক বিনায়ক সেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাসুদা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. এজাজুল ইসলাম অংশ নেন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ দামে সোনা

দেশের বাজারে আবারও সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের, অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দামে এক হাজার ৭৪৯ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে হয়েছে এক লাখ ৮ হাজার ১২৫ টাকা।
এর আগে কখনো দেশের বাজারে সোনার এতো দাম হয়নি। এর আগে রেকর্ড দাম ছিল ১ লাখ ৬ হাজার ৩৭৬ টাকা।
রোববার বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আগামীকাল সোমবার থেকেই দেশের বাজারে সোনার নতুন দাম কার্যকর হবে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার ১ হাজার ৭৪৯ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ১২৫ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৬৯১ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৩ হাজার ২২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৪৫৮ টাকা বাড়িয়ে ৮৮ হাজার ৪৭১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে সনাতনি এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ১৬৬ টাকা বাড়িয়ে ৭৩ হাজার ৭১৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা ১ হাজার ৭১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের রুপা ১ হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রুপা ১ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতনি এক ভরি রুপা ১ হাজার ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর এবং ৬ ও ১৯ নভেম্বর আরও তিন দফা সোনার দাম বাড়ানো হয়। এর মধ্যে সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দামে ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়ানো হয়। এতে এই মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে হয় ১ লাখ ৬ হাজার ৩৭৬ টাকা, যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের প্রক্রিয়া চলছে

সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনায় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান।
তিনি বলেন, কেউ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া-না নেওয়ার এখতিয়ার সবার আছে। তবে নির্বাচন বানচাল করা বা অন্যকে নির্বাচন করতে না দেওয়ার অধিকার আইন কাউকে দেয়নি। এ রকম কেউ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ, নির্বাচন না করার অধিকার তাদের একক কিংবা দলীয় সিদ্ধান্ত। তাই কাউকে বাধা দেওয়া যাবে না।
রোববার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নির্বাচনে এলে তপশিল পুনর্বিবেচনা করা হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আনিছুর রহমান বলেন, আমরা এখনও কারও কাছ থেকে কোনো আবেদন পাইনি। যদি কেউ নির্বাচনে আসে বা নির্বাচনের সময় নিয়ে যদি কারও কথা থাকে, তবে সে ক্ষেত্রে আমরা বিবেচনা করব। সেই বিবেচনা করার মতো যথেষ্ট সময় আমাদের আছে।
তিনি আরও বলেন, ছোট-বড় বিভিন্ন দল এরই মধ্যে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে। তাতে মনে হচ্ছে, এবারের নির্বাচনে অনেকেই মাঠে থাকবেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। এই নির্বাচন বিশ্ববাসীও দেখছে। কাজেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করার কোনো বিকল্প নেই। যে কোনো মূল্যে তা গ্রহণযোগ্য করতে হবে।

নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকালে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কেউ পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেন এ নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। পক্ষপাতমূলক আচরণ ও শৈথিল্য দেখানো যাবে না।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২৫০০ টাকা চূড়ান্ত

তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিক এবং কর্মচারীদের মাসিক ন্যূনতম মজুরি চূড়ান্ত করা হয়েছে। রোববার অনুষ্ঠেয় মজুরি বোর্ডের সপ্তম এবং সমাপ্ত বৈঠক শেষে শ্রমিকদের মাসিক ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা চূড়ান্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে মজুরি বোর্ড চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ দিন বোর্ডের সপ্তম এবং সমাপ্ত বৈঠকে তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিক এবং কর্মচারীদের গ্রেড-৫টা থেকে গ্রেড-৪ এ নামিয়ে আনা হয়। এখন থেকে শ্রমিকরা এই চারটি গ্রেডে বেতন-বোনাস পাবেন। এ বিষয়ে শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, গ্রেডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কারণে শ্রমিকরা লাভবান হবেন বলে আশা করছি।
এর আগে ঘোষিত মজুরি পুন:মূল্যায়নের জন্য বিভিন্ন পক্ষ থেকে ১৯৪টি চিঠি আসে নিম্নতম মজুরি বোর্ডে। এসব চিঠির মধ্যে ১৬৮টি আসে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে। এসব সংগঠন ২৩ থেকে ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির সুপারিশ করা হয়। অন্যদিকে ২৩টি কারখানার মালিকদের পক্ষ থেকে দেওয়া চিঠিতে ন্যূনতম মজুরি কমিয়ে ১০ হাজার টাকা নির্ধারণের সুপারশি করা হয়। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান মালিক পক্ষের দেওয়া প্রথম প্রস্তাব ১০ হাজার ৪০০ টাকায় ফিরে যাওয়ার সুপারিশ করে। তবে সবকিছু বিবেচনা করে এ খাতের মজুরি নির্ধারণে সরকার গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ডের শেষ সভায় চুড়ান্ত মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা ঘোষণা দেওয়া হয়।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এলসি খোলা ও নিষ্পত্তি কমেছে

ডলার সংকটের কারণে চাহিদামতো লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) বা ঋণপত্র খুলতে পারছেন না অনেক ব্যবসায়ী। এ সংকটের কারণে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাস জুলাই থেকে অক্টোবরে আমদানি এলসি খোলা কমেছে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। আর এলসি নিষ্পত্তি কমেছে ২৪ দশমিক ০৭ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে মোট ২ হাজার ১৮২ কোটি ডলারের পণ্য আমদানির এলসি খোলা হয়েছে। আর নিষ্পত্তি হয়েছে ২ হাজার ১৯৭ কোটি ডলারের। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এলসি খোলা কমেছে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। নিষ্পত্তি কম হয়েছে ২৪ দশমিক ০৭ শতাংশ।
এসময় সবচেয়ে বেশি আমদানি এলসি খোলা কমেছে ভোগ্যপণ্যের। আলোচ্য এই চার মাসে ভোগ্যপণ্যের এলসি কমেছে ৩৯ দশমিক ০৬ শতাংশ। আর এলসি নিষ্পত্তি কমেছে ২৪ দশমিক ২৬ শতাংশ।
এলসি নিষ্পত্তি কমার তালিকার শীর্ষে রয়েছে মূলধনী যন্ত্রপাতি। চার মাসে এর এলসি নিষ্পত্তি ৫০ শতাংশ কমে ৮৩৩ কোটি ডলারে নেমেছে। এসময় মূলধনী যন্ত্রপাতির এলসি খোলা কমেছে ২০ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কমেছে শিল্পের কাঁচামাল। প্রথম চার মাসে এর এলসি নিষ্পত্তি ৩৬ শতাংশ কমে ৬৯১ কোটি ডলারে নেমেছে। আর আমদানি এলসি খোলা কমেছে ১৬ দশমিক ১২ শতাংশ।
এছাড়া পেট্রোলিয়ামের এলসি নিষ্পত্তি প্রায় ১৫ শতাংশ কমে ৩৩১ কোটি ডলার দাঁড়িয়েছে। মধ্যবর্তী পণ্যে কমেছে প্রায় ১২ শতাংশ। অন্যান্য পণ্যের এলসি নিষ্পত্তি ১৩ শতাংশের বেশি কমেছে।