ভারতের প্রবৃদ্ধির হার কমবে

ভারতের প্রবৃদ্ধির হার কমবে
চলতি বছর ভারতের প্রবৃদ্ধির হার কমবে বলে মনে করছে মূল্যায়ন সংস্থাগুলো। একের পর এক মূল্যায়ন সংস্থা জানাচ্ছে, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের প্রবৃদ্ধির হার তাদের আগের পূর্বাভাস থেকে কমবে। বেশির ভাগ সংস্থারই পূর্বাভাস, প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ কিংবা তার চেয়ে কম হবে।

ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ারও অনুমান, প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। তবে আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার সাংহাই কো–অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) বার্ষিক সম্মেলনে তাঁর দাবি, এর ফলে বিশ্বের বড় অর্থনীতিগুলোর মধ্যে ভারতই শীর্ষে থাকবে।

সংশ্লিষ্ট মহলের অবশ্য দাবি, অবস্থা যে সুবিধার নয়, মূল্যায়ন সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনে তা স্পষ্ট। সম্প্রতি ফিচ বলেছে, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীত ও নীতি সুদহারের কারণে প্রবৃদ্ধির গতি কমতে পারে। একই সঙ্গে ইউরোপ–আমেরিকাসহ উন্নত বিশ্বের অর্থনীতিও শ্লথ। সে কারণে এসব দেশে ভারতের রপ্তানি কমতির দিকে।

আরেক মূল্যায়ন সংস্থা ইন্ডিয়া রেটিংসের দাবি, সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির হার মন্থর হতে পারে। পড়তি রপ্তানি ও ব্যবসার কারণে ভারতের অর্থনীতি ধাক্কা খাবে। তার ওপরে সবখানে চাহিদা বাড়ছে না, বাড়ছে না ন্যূনতম আয়ের মানুষের মজুরিও। যে কারণে আর্থিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে বেশির ভাগ মূল্যায়ন সংস্থার সংশোধিত পূর্বাভাসই ৭ দশমিক ৫ শতাংশের ধারেকাছে নেই।

মুডিজের পূর্বাভাস অন্যদের চেয়ে বেশি—৭ দশমিক ৭ শতাংশ। তবে এর আগে তাদের পূর্বাভাস ছিল ৮ দশমিক ৮ শতাংশ, সেই অর্থে তারাও পূর্বাভাস হ্রাস করেছে।

মধ্য ও পূর্ব এশিয়ার শক্তিশালী দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে ‘মেক ইন ইন্ডিয়ার’ বার্তাও দিয়েছেন মোদি। উজবেকিস্তানের সমরখন্দে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তৃতায় তাঁর দাবি, ‘ভারত উৎপাদন কেন্দ্র হয়ে ওঠার পথে এগোচ্ছে। ভারতে যথেষ্ট তরুণ ও প্রতিভাবান কর্মী থাকায় স্বাভাবিকভাবে দেশের পাল্লা ভারী।’ বিভিন্ন শিল্পে উদ্ভাবনে গুরুত্ব দেওয়া ও ৭০ হাজারের বেশি স্টার্টআপ তৈরির সুবাদে ভারতের অভিজ্ঞতা অনেক এসসিও সদস্যের কাজে লাগবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ভারতের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে সাড়ে ১৩ শতাংশ। এর আগের প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৪ দশমিক ১ শতাংশ। ভারতের পরিসংখ্যান কার্যালয় (এনএসও) সম্প্রতি এ তথ্য প্রকাশ করে।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জিডিপির ত্রৈমাসিক প্রবৃদ্ধির এই হার গত এক অর্থবছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২১ সালের এপ্রিল-জুনে দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ২০ দশমিক ১ শতাংশ, তবে তা হয়েছিল তার আগের বছরের সংকোচনের সাপেক্ষে। অর্থাৎ এবার ২০ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধির ওপর সাড়ে ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

তবে বিশ্বব্যাপী রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব অনুভূত হচ্ছে। সবখানেই বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। আর তা মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার বৃদ্ধি করছে। বিশ্বব্যাংকের আশঙ্কা, এতে আগামী বছরে বিশ্বজুড়ে মন্দা হতে পারে। ভারতের অর্থনীতিতেও তার প্রভাব পড়বে বলেই বিশ্লেষকেরা আশঙ্কা করছেন। সে জন্য মূল্যায়ন সংস্থাগুলো ভারতের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস হ্রাস করছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পেট্রোল-ডিজেলের নতুন দাম ঘোষণা
ভিসা ছাড়াই যুক্তরাজ্যে যেতে পারবে মুসলিম ৬ দেশ
মারা গেছেন পণ্ডিত ভবানী শঙ্কর
২০২৩ এ আলোচিত বিশ্বের সেরা ১০ ঘটনা
ব্রিকসে যোগ দেবে না আর্জেন্টিনা
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিশ্ববাসী
১০ টাকাতেই মিলবে বই
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী ফ্রাঁসোয়া বেটেনকোর্ট
সৌদি আরবে আরো একটি স্বর্ণের খনির সন্ধান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ইন্দোনেশিয়া