লাইফস্টাইল
যেসব লক্ষণে বুঝবেন আপনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত

সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে দেশে বেড়েই চলছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। ডেঙ্গু একটি ভাইরাল সংক্রমণ, যা মশার কামড়ে ছড়ায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মতে, ডেঙ্গু হলো একটি ভাইরাল সংক্রমণ যা সংক্রামিত মশার কামড়ের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হয়। এডিস ইজিপ্টাই মশা এ রোগের অন্যতম বাহক।
যে ভাইরাস ডেঙ্গু সৃষ্টি করে তাকে ডেঙ্গু ভাইরাস বলা হয়। তবে এই ভাইরাসের চারটি সেরোটাইপ আছে। এ কারণে ডেঙ্গু সংক্রমণের ঝুঁকি অন্তত চার গুণ বেশি থাকে। এটাও উল্লেখ্য যে, ডেঙ্গু সৃষ্টিকারী মশা চিকুনগুনিয়া, হলুদ জ্বর ও জিকা ভাইরাসের বাহক।
ডেঙ্গুর লক্ষণ ও উপসর্গ কি কি?
ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে ১০৪ ডিগ্রি উচ্চ জ্বরের সঙ্গে তীব্র মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, পেশি ও জয়েন্টে ব্যথা, বমি বমি ভাব, ফোলা গ্রন্থি ও ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
সংক্রমণের প্রথম ২-৭ দিনকে জ্বর পর্ব বলা হয়। অসুস্থতার ৩-৭ দিন পর রোগী সংক্রমণের জটিল পর্যায়ে প্রবেশ করতে পারে, ফলে সামগ্রিক লক্ষণগুলো আরও খারাপ হতে থাকে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, গুরুতর ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে প্লাজমা লিকিং, তরল জমা, শ্বাসকষ্ট, রক্তপাত বা অঙ্গ প্রতিবন্ধকতা হতে পারে।
ডেঙ্গুর গুরুতর পর্যায়ের সতর্কতার লক্ষণগুলো হলো- তীব্র পেটে ব্যথা, ক্রমাগত বমি, দ্রুত শ্বাস নেওয়া, মাড়ি বা নাক দিয়ে রক্তপাত, ক্লান্তি, অস্থিরতা, লিভার বড় হয়ে যাওয়া, বমি বা মলের সঙ্গে রক্ত পড়া।
ডেঙ্গু সংক্রমণের ঝুঁকি চারগুণ বেশি কেন?
ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি সেরোটাইপ আছে। একটি সেরোটাইপের সংক্রমণের ক্ষেত্রে শুধু ওই সেরোটাইপের বিরুদ্ধেই শরীরের ইমিউনিটি লড়াই করে।
এ কারণে একজন ব্যক্তি একবার সংক্রামিত হলে সে অন্য তিনটি সেরোটাইপ থেকে আরও তিনবার এটি পেতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ বিষয়ে জানায়, ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হলে নির্দিষ্ট এক সেরোটাইপের বিরুদ্ধে আজীবন ইমিউনিটি কাজ করে বলে বিশ্বাস করা হয়।
তবে সুস্থ হওয়ার পরে অন্যান্য সেরোটাইপের ক্রস-ইমিউনিটি পরবর্তী সংক্রমণে (সেকেন্ডারি ইনফেকশন) অন্যান্য সেরোটাইপগুলোর দ্বারা মারাত্মক ডেঙ্গু হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
ডেঙ্গু কীভাবে ছড়ায়?
সংক্রামিত স্ত্রী এডিস ইজিপ্টাই মশার কামড়ে এই ভাইরাস ছড়ায়। মশা এমন কারো থেকে সংক্রামিত হতে পারে যার উপসর্গযুক্ত ডেঙ্গু সংক্রমণ আছে।
আবার এমন একজনের থেকেও সংক্রামিত হতে পারে যার এখনো কোনো উপসর্গ নেই (তারা প্রাথমিক লক্ষণযুক্ত)।
ডেঙ্গু নির্ণয়ে আইজিজি পরীক্ষার গুরুত্ব
এনএস১ পরীক্ষার মাধ্যমে ডেঙ্গুর ভাইরাস শনাক্ত হয়। তবে সংক্রমণের তীব্রতার বিবেচনায় দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থবার আইজিজি পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আইজিএম পরীক্ষাও আবশ্যক। এই পরীক্ষাগুলো অ্যান্টি-ডেঙ্গু অ্যান্টিবডি শনাক্তকরণের সঙ্গে সাম্প্রতিক বা অতীতের সংক্রমণ নির্ধারণ করে।
আইজিএমের উপস্থিতি সাম্প্রতিক সংক্রমণ নির্দেশ করে যেখানে আইজিজি এর উপস্থিতি অতীতের সংক্রমণ নির্ধারণ করে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়
ডেঙ্গু সংক্রমণ সম্পর্কে জনগণকে ভালোভাবে জানাতে হবে। আপনার পরিবারের কেউ সংক্রামিত হলে, লক্ষণগুলো লক্ষ্য করা গুরুত্বপূর্ণ। রোগীকে বিশ্রামের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিন, তাদের হাইড্রেটেড রাখুন ও ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
জ্বর কমানোর মতো সহায়ক ওষুধ, পেশি ব্যথা ও জয়েন্টে ব্যথার জন্য ব্যথানাশক ওষুধ বাড়িতে রাখা উচিত। যেন লক্ষণগুলো দেখা গেলেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, এই উপসর্গগুলেঅর চিকিৎসার ক্ষেত্রে অ্যাসিটামিনোফেন বা প্যারাসিটামল ভালেঅ কাজ করে। তবে এনএসএআইডি (নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগ) যেমন আইবুপ্রোফেন ও অ্যাসপিরিন এড়ানো উচিত।
এই অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ওষুধগুলি রক্তকে পাতলা করে এবং ঝুঁকিপূর্ণ রোগে কাজ করে।রক্তক্ষরণের ক্ষেত্রে, রক্ত পাতলাকারীরা পূর্বাভাসকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

লাইফস্টাইল
শীতে ঠান্ডা পানিতে গোসল করার ৫ সুবিধা

গোসলের সময় ঠান্ডা বা হালকা গরম পানি আলাদা আলাদা সুবিধা দেয়। হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করলে তা কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করে এবং ভালো ঘুমে সহায়ক হয়। অপরদিকে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে তা ব্যথা, ফোলাভাব এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে। শীতের সময়ে অনেকে ঠান্ডা পানি থেকে দূরে থাকেন। কিন্তু এই সময়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলে অনেকগুলো স্বাস্থ্য সুবিধা পাবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক শীতে ঠান্ডা পানিতে গোসল করার উপকারিতা-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
ঠান্ডা পানির সংস্পর্শে এলে আমাদের শরীর নোরপাইনফ্রিন নিঃসরণ করে, যার প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ কারণে ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বিভিন্ন উপায়ে সাহায্য করে। একটি জরিপ অনুসারে, ঠান্ডা পানিতে সাঁতারুদের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস সামলে নেওয়ার ক্ষমতা ছিল চমৎকার। ঠান্ডা পানিতে সাঁতার কাটলে শরীরের সহনশীলতা বাড়াতে পারে। এই বিস্ময়কর সুবিধাগুলো পাওয়ার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো ঠান্ডা পানিতে গোসল করা, যা ঠান্ডা পানিতে সাঁতার কাটার চেয়েও সহজ।
বিষণ্ণতা দূর করে
ঠান্ডা পানির থেরাপি কীভাবে বিষণ্ণতাকে প্রভাবিত করে সে সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য নেই। তবে বিভিন্ন গবেষণায় পাওয়া গেছে বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য। যারা কয়েক মাস ধরে নিয়মিত ঠান্ডা পানিতে গোসল করেছেন তারা একটি ক্লিনিকাল গবেষণায় বিষণ্ণতার কম উপসর্গের কথা জানিয়েছেন। আরও গবেষণা অনুসারে, ঠান্ডা পানিতে গোসল করার অভ্যাস আপনার মেজাজ ভালো রাখে এবং উদ্বেগ কমাতে কাজ করে।
রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠান্ডা পানিতে গোসলের প্রধান সুবিধাগুলোর মধ্যে একটি হলো উন্নত রক্ত সঞ্চালন। ঠান্ডা পানি আপনার শরীরে আদর্শ তাপমাত্রা বজায় রাখার জন্য গভীর টিস্যুতে রক্তকে দ্রুত সঞ্চালন করে। প্রদাহ কমাতে ঠান্ডা এক্সপোজার দ্বারা সঞ্চালন ব্যবস্থা চালু হয়, যা কার্ডিওভাসকুলার রোগ এড়াতে সাহায্য করতে পারে।
মেটাবলিজম ভালো রাখে
যারা নিয়মিত ঠান্ডা পানিতে গোসল করেন তাদের মেটাবলিজম বা বিপাক ক্ষমতা বেশি হয়। এর প্রাথমিক কারণ হলো, এই পানিতে গোসল করলে ব্রাউন অ্যাডিপোজ টিস্যু আরও সক্রিয় হয়, যা শরীরকে তাপ তৈরি করতে এবং ঠান্ডা তাপমাত্রা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি একটি প্রয়োজনীয় ফ্যাট যা সক্রিয় করা বিপাককে ত্বরান্বিত করে।
পেশী ব্যথা নিরাময় করে

আমাদের রক্তনালীগুলো ঠান্ডা আবহাওয়ায় সংকুচিত হয়। রক্ত তখন কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে প্রবাহিত হয়। প্রক্রিয়া চলাকালীন রক্ত স্বাভাবিকভাবেই পুষ্টি এবং অক্সিজেনে সমৃদ্ধ হয়। ভাসোডিলেশন বা রক্তনালীগুলির প্রসারণ যখন আপনার শরীর আবার উত্তপ্ত হয় তখন অক্সিজেনযুক্ত রক্ত আপনার টিস্যুতে ফিরে আসতে দেয়। রক্ত ছুটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি নিরাময় প্রদাহকে সাহায্য করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
যেসব লক্ষণে বুঝবেন শরীরে আয়রন ঘাটতি

আয়রন একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ, যা লাল রক্ত কোষকে শরীরের মাধ্যমে অক্সিজেন বহন করতে সহায়তা করে। এই খনিজ উপদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া ত্বক, চুল ও নখের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। এমনকি আপনার শেখার ক্ষমতাকেও বিকশিত করে।
আয়রনের ঘাটতি নারীদের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ এক সমস্যা। বেশিরভাগ নারীই জানেন না যে তিনি আয়রন স্বল্পতায় ভোগেন। একটি নতুন সমীক্ষা জানাচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নারী ও যুবতীদের বেশিরভাগই এই খনিজের স্বল্পতায় ভোগেন।
অ্যান আর্বরের মিশিগান মেডিকেল স্কুল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নতুন গবেষণায় অংশ নেওয়া ১২-২১ বছর বয়সী প্রায় সাড়ে তিন হাজার নারীর আয়রন স্তর পরিমাপ করা হয়।
এই গবেষণার ফলাফল আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকরা দেখেছেন, প্রায় ৪০ শতাংশ অংশগ্রহণকারীদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি ছিল।
আয়রনের ঘাটতির লক্ষণ কী কী?
শরীরে আয়রনের ঘাটতির বিভিন্ন লক্ষণ ও উপসর্গগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- মস্তিষ্কের কুয়াশা, ক্লান্তি, হালকা মাথাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট। ফ্যাকাশে ত্বকও আয়রনের ঘাটতির লক্ষণ হতে পারে।

এসব লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সাধারণ রক্ত পরীক্ষা করেই শরীরে আয়রনের ঘাটতি আছে কি না তা পরিমাপ করা যায়।
আয়রনের ঘাটতি হলে কী হয়?
সিডিসি তথ্য অনুসারে, যে শিশুরা আয়রন সমৃদ্ধ খাবার বা পরিপূরক থেকে পর্যাপ্ত আয়রন পায় না তাদের রক্ত স্বল্পতা হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। দীর্ঘদিন ধরে আয়রনের ঘাটতিতে ভুগলে অ্যানিমিয়াসহ বিভিন্ন রোগের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
এছাড়া হৃদপিণ্ড বা ফুসফুসকে প্রভাবিত করে এমন জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। গর্ভাবস্থায় আয়রনের ঘাটতি সন্তান জন্মের আগে ও পরে মায়ের শরীরে জটিলতা বাড়াতে পারে।
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার কী কী?
এনএইচএস ইউকে অনুসারে, শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
এজন্য গাঢ় সবুজ শাকসবজি, গমের রুটি, মাংস, কলিজা, শুকনো ফল যেমন- এপ্রিকট, প্রুন, কিশমিশ ও ডাল যেমন- মটরশুটি, মটর, মসুর ডাল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
এসবের পাশাপাশি চা, কফি, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ কমাতে হবে। এসব পানীয় শরীরের আয়রন শোষণে বাধা দেয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
শীতে ত্বক ভালো রাখার ঘরোয়া উপায়

সারা বছরই ত্বকের যত্ন নিতে হয়। তবে শীতকালের গুরুত্ব আরও বেড়ে যায়। কারণ শীতের সময়ে আবহাওয়ার প্রভাব আমাদের ত্বকে অনেক বেশি পড়ে। এসময় আবহাওয়া অনেক শুষ্ক হয়ে যায়। যার ফলে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয় আমাদের ত্বকেও। এতে ত্বক ও চুল শুষ্ক, নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। তাই শীতে ত্বক ভালো রাখার ঘরোয়া উপায় জেনে রাখা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
ঠান্ডা পানিতে গোসল করবেন না
শীতকালেও ঠান্ডা পানিতে গোসল করার অভ্যাস থাকে অনেকের। এই অভ্যাস থেকে বিরত থাকুন। কারণ শীতকালে ঠান্ডা পানিতে গোসল করলে ত্বক আরও বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। সেইসঙ্গে ত্বকে দেখা দিতে পারে ব়্যাশও। তাই শীতের সময়ে হালকা গরম পানিতে গোসল করার অভ্যাস করুন। এই সময়ে হালকা গরম পানিতে গোসল করলে ত্বকের তাপমাত্রা ঠিক থাকে ও ত্বক ভালো থাকে।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
শীতে প্রতিদিন দুইবেলা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। কারণ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের ফলে তা ত্বকে সঠিক হাইড্রেশন দেয় ও ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। আপনি চাইলে খাঁটি নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েলও ময়েশ্চারাইজার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। এতেও শীতের দিনে ত্বক ভালো থাকবে।
হিউমিডিফাইয়ার ব্যবহার
শীতের সময়ে হিউমিডিফাইয়ার ব্যবহার করতে পারেন। এর থেকে গরম বাস্প বের হয় যা ঘরের আর্দ্রতা বজায় রাখে। যে কারণে আপনার ত্বকও ভালো থাকবে। তাই শীতের দিনগুলোতে আপনি এর সাহায্য নিতেই পারেন।
সানস্ক্রিন ব্যবহার
শীতের সময়েও নিয়মিত ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হলে ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করে তবেই বের হবেন। কারণ এটি শীতে সূর্যের আল্ট্রা ভায়োলেটের থেকে বাঁচতে আপনাকে সাহায্য করবে। ত্বকে নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে রোদের তাপে ত্বক পুড়ে যায় না এবং ত্বকের রং ও ঠিক থাকে।

গ্লিসারিনযুক্ত সাবান ব্যবহার
শীতের সময়ে এমন কোনো সাবান ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন যা আপনার ত্বককে শুষ্ক করে দিতে পারে। কারণ শীতের সময়ে আমাদের ত্বক এমনিতেই শুষ্ক হয়ে যায়। এরপর এ ধরনের সাবার ব্যবহার করলে তা ত্বককে আরও ক্ষতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। তাই শীতে এমন সাবান ব্যবহার করুন যাতে গ্লিসারিন রয়েছে। এতে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা বজায় রাখা সহজ হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
চোখের জ্বালাপোড়া ও ব্যথা কমানোর ৫ উপায়

চোখে শুষ্কভাব থাকার কারণে হতে পারে জ্বারাপেড়া। এছাড়া অনেকেই কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের মনিটরে চোখ রেখে কাজ করেন অনেকেই। ফলে চোখে জ্বালাপোড়া ও ব্যথায় ভুগতে হয় প্রায়শই। চোখের অস্বস্তিতে বাড়ে মাথাব্যথাও। নিয়মিত এ সমস্যায় ভুগলে, তা হতে পারে দুশ্চিন্তার কারণ।
চোখের সমস্যার শুধু আপনি নন, অনেকেই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। অ্যালার্জির কারণেও অনেকের এই সমস্যা হয়। চোখ জ্বালা করে ও লাল হয়ে যায়। তাই চোখের এই কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে আপনি কয়েকটি ঘরোয়া সমাধানের উপর অবশ্যই ভরসা করতে পারেন।
কয়েকটি ঘরোয়া উপায় মেনে চললেই এ সমস্যায় আর ভুগতে হবে না। জেনে নিন ড্রাই আইজ থেকে মুক্তি পেতে কী কী সাবধানতা মেনে চলবেন?
১. চোখ পরিষ্কার রাখুন: নিয়মিত চোখ পরিষ্কার রাখার অভ্যাস গড়ুন। সামান্য পরিমাণে গরম বা ঠান্ডা পানিতে তুলো ভিজিয়ে চোখ পরিষ্কার করতে পারেন। এভাবে চোখের পাতা, আইল্যাশ ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে পারেন। দিনে যতবার পারবেন, চোখ ভিজিয়ে রাখার চেষ্টা করুন।
২. ওমেগা: মাছের তেলে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। নিয়মিত মাছের তেল খেতে না পারলে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন। এই উপাদানটি চোখের জন্য খুবই ভালো। চোখের মেইবোমিয়ান গ্ল্যান্ড ভালো রাখে। চোখের পাতার একদম কোণায় এই গ্ল্যান্ড থাকে।

৩. আইড্রপ ব্যবহার করুন: সারাদিন কম্পিউটারে কাজ করার কারণে চোখে ভীষণ চাপ পড়ে। এজন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আইড্রপ ব্যবহার করুন। এই ধরনের আইড্রপগুলো চোখ পরিষ্কার রাখে ও চোখের শুষ্কতা দূর করে। ড্রপ ব্যবহারের পর অবশ্যই বিশ্রাম নেবেন এবং চোখ ম্যাসাজ করবেন।
৪. পানি খেতে হবে: পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খেলে শরীরের একাধিক সমস্যার সমাধান ঘটে। ঠিক একইভাবে চোখও ভালো রাখে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না খেলে চোখের শুষ্কতা বেড়ে যায়। চোখের দৃষ্টিও কমে যায়।
৫. ভিটামিন: সূর্য রশ্মি থেকে পাওয়া ভিটামিন ডি অনেকের শরীরেই লাগে না। এর ফলে শরীরে ভিটামিন ডি শূন্যতা হয়ে যায়। যা বিভিন্ন রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। প্রয়োজনে ভিটামিন ডি এর সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন। এই ভিটামিনের অভাবে ড্রাই আইজের সমস্য়া শুরু হয়।
সূত্র: হেলথলাইন
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী খাবেন যেসব খাবার

রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী আমাদের খাবারের তালিকা একেকজনের একেক রকম হয়ে থাকে। কারণ, রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী বেশকিছু খাবার হজম করতে সমস্যায় পড়তে হয়। বিশেষ করে অনেকেই খাসি, গরু বা মুরগির মাংস হজম করতে পারেন না।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রত্যেকের রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী খাদ্যাভাস নির্ধারণ না করলেই বিপদ। অর্থাৎ, আপনার খাদ্যাভ্যাস নির্ভর করা উচিত আপনার রক্তের গ্রুপের ওপরও।
মানুষের শরীরের চার ধরনের রক্তের গ্রুপ হয়। ও, এ, বি এবং এবি। এই চার রক্তের গ্রুপের মানুষ কে কী ধরনের খাবার খেতে পারে তা সরাসরি নির্ভর করে রক্তের গ্রুপের ওপর। তাই চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন রক্তের গ্রুপের মানুষ কেমন খাবার খাবেন—
‘এ’ রক্তের গ্রুপ
এই গ্রুপের মানুষদের রোগ প্রতিরোধ খুবই সংবেদনশীল। তাই এদের নিজেদের ডায়েটের দিকে অনেক বেশি নজর দিতে হয়। মূলত নিরামিষ খাবারই এই গ্রুপের মানুষের জন্য উপযোগী। এই রক্তের গ্রুপের মানুষরা শরীর সহজে মাংস হজম করতে পারে না। তাই এদের খাসি, গরু বা মুরগির মাংস কম খাওয়াই ভালো। এ ছাড়া সামুদ্রিক খাওয়ার ও বিভিন্ন ধরনের ডাল অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
‘বি’ রক্তের গ্রুপ
এই গ্রুপের মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশ ভালো। তাই খাসি, মুরগি বা আমিষ খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ বাধানিষেধ মানতে হয় না। তবে সবুজ শাকসবজি, ফল, মাছ খাদ্য তালিকায় থাকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

‘এবি’ এবং ‘ও’ রক্তের গ্রুপ
এই দুই গ্রুপের মানুষের ক্ষেত্রেও ভারসাম্য বজায় রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিশেষ বাধা-নিষেধ না থাকলেও খাসি-গরু ও মুরগি খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা লাগাম টানা ভালো।