সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্পগুলো নিয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের মধ্যে বৈঠক হয়। সভায় সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর প্রকল্প পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বিদ্যুৎ খাতের ছয় প্রকল্পকে ‘সমস্যাপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করে সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের বিষয়ে উভয়পক্ষ একমত হয়।
প্রকল্পগুলো হলো- বাংলাদেশ পাওয়ার সিস্টেম রিলায়েবিলিটি অ্যান্ড ইফিসিয়েন্সি ইম্প্রুভমেন্ট, এনহেন্সমেন্ট অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং অব পাওয়ার নেটওয়ার্ক ইন ইস্টার্ন রিজিওন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো, ঘোড়াশাল চতুর্থ ইউনিট পুনঃ বিদ্যুতায়ন, পল্লী এলাকায় বিদ্যুতায়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়ন ও বিদ্যুৎ বিতরণ আধুনিকীকরণ কর্মসূচি।
ইআরডি সূত্র গণমাধ্যমে জানায়, বাংলাদেশ পাওয়ার সিস্টেম রিলায়েবিলিটি অ্যান্ড ইফিসিয়েন্সি ইম্প্রুভমেন্ট প্রকল্পটি ২০১৭ সালে নেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত মূলকাজ শুরু হয়নি। প্রকল্পটির পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের পর তাদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রকল্পের মূল নকশা হবে। এনহেন্সমেন্ট অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং অব পাওয়ার নেটওয়ার্ক ইন ইস্টার্ন রিজিওন শীর্ষক প্রকল্পটির ৪৭ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। ২০২৪ সালে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা। করোনার কারণে প্রকল্পটির বাস্তবায়নে ধীরগতি। এ ছাড়া ঘোড়াশাল চতুর্থ ইউনিট পুনঃ বিদ্যুতায়ন প্রকল্পটি পুনরায় সংশোধন করে বাস্তবায়ন করা হবে। বর্তমানে ৫৪টি প্রকল্প বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়ন হচ্ছে। এতে প্রায় ১৫০০ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।
দুই দিনব্যাপী সভায় ইআরডির নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত সচিব আবদুল বাকী এবং বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ঢাকায় নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ড্যানড্যান চেন। প্রথম দিনে ইআরডি সচিব শরীফা খাতুন বক্তব্য দেন। ইআরডি সম্মেলনকক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হলেও অনেকে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অংশ নেন।