উৎসে কর ১ শতাংশ রাখার দাবি বিজিএমইএ সভাপতি’র

উৎসে কর ১ শতাংশ রাখার দাবি বিজিএমইএ সভাপতি’র
রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানায় বিশেষ ব্যবস্থায় চাহিদা অনুযায়ী নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে তৈরি পোশাক শিল্প মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। একই সঙ্গে পোশাকখাতে উৎসে কর ১ শতাংশ পর্যায়ে রাখারও দাবি জানায় সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে আয়োজিত ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান বিজিএমইএ সভাপতি।

জাতীয় সংসদে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেটে পোশাকখাতসহ রপ্তানি খাতের উৎসে করহার দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করা হয়। বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বিজিএমইএ প্রস্তাবিত রপ্তানি আয় থেকে কর্তন করা উৎসে কর দশমিক ৫ শতাংশ আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর রাখার দাবি জানিয়েছিল।

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বর্তমান বোর্ড দায়িত্ব গ্রহণের পর গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত পোশাকশিল্পে টানা প্রবৃদ্ধি হয়েছি, যেটি উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি ছিল। যে কারণে গত অর্থবছরে এ শিল্পখাত থেকে রপ্তানি হয়েছে ৪২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে জুলাই ও আগস্টে প্রবৃদ্ধি ভালো ছিল। কিন্তু দুমাসে আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি ক্রয়াদেশ ক্রমশ কমছে।

তিনি বলেন, আমাদের অন্যতম রপ্তানিবাজার ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি ও মন্দার কারণে আগামী মৌসুমের জন্য কার্যাদেশ প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমে এসেছে। খুচরা বিক্রেতারা ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির বিশ্ববাজারের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সংগ্রাম করছে। অনেক ব্র্যান্ডের খুচরা বিক্রয় হ্রাস পেয়েছে। এসব বিবেচনা করে আগামী মাসগুলোতে আমাদের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ঋনাত্মক হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ফাস্ট ফ্যাশনের এ যুগে আমাদের বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। ফাস্ট ফ্যাশন কনসেপ্টে সাপ্লাই চেইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে ঘড়ির কাটা ধরে উৎপাদন, পণ্যের ফাস্ট ডেলিভারি করতে হয়। অর্থাৎ উৎপাদন থেকে ডেলিভারি সব ধাপে সম্ভাব্য নূন্যতম সময়ের মধ্যে কাজ করতে হয়। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে রপ্তানি তরান্বিত করার জন্য আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়াগুলো সহজ করা করা জরুরি। এগুলো করা হলে আমরা ফাস্ট ফ্যাশনের সুযোগগুলো গ্রহণ করতে সক্ষম হবো।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিশ্বজুড়ে জ্বালানি সংকট চলছে। স্থানীয় পর্যায়ে গ্যাস-বিদ্যুতের সংকটের প্রভাব আমাদের পোশাক শিল্পেও পড়ছে। এতে করে শিল্পে ব্যয় বাড়ছে দুভাবে। বিদ্যুতের অপ্রতুলতার কারণে কারখানাগুলোতে ডিজেল দিয়ে জেনারেটর চালানো হচ্ছে। অন্যভাবে অধিক সময় জেনারেটর চালানোর কারণে এগুলো দ্রুত বিকল হচ্ছে। এতে করে শিল্পে উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি
পোশাকখাতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে, কমে গেছে চাহিদা
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
গ্রাহক সংখ্যায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠান নগদ
২০২৩ সালে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১৩ শতাংশ
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
প্রথম দিনেই ২ লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেলো ইভ্যালি
২০২৩ সালে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে ১০ শতাংশ