এপেক্স ইনভেস্টমেন্টের গ্রাহক হিসাবে ঘাটতি নেই: দাবী প্রতিষ্ঠানটির

এপেক্স ইনভেস্টমেন্টের গ্রাহক হিসাবে ঘাটতি নেই: দাবী প্রতিষ্ঠানটির
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য প্রতিষ্ঠান এপেক্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের সমন্বিত হিসাবের অর্থ  ঘাটতি থাকার যে অভিযোগ উঠেছে, সেটি সঠিক নয় বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আজ বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) অর্থসংবাদে পাঠানো এক ব্যখ্যায় বিষয়টি পরিস্কার করেছে এপেক্স ইনভেস্টমেন্ট ।

গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে স্টক এক্সচেঞ্জের ম্যানেজমেন্টের উপস্থাপন করা এক প্রতিবেদনে জানানো হয় ১৫টি ব্রোকারহাউজের সমন্বিত গ্রাহক অ্যাকাউন্টে (Consolidated Client Account) ৪৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ঘাটতি আছে।ডিএসইর প্রতিবেদন অনুসারে, এপেক্স ইনভেস্টমেন্টে সমন্বিত গ্রাহক একাউন্টে ২১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ঘাটতি পাওয়া গেছে। তারা গত ২৫ জুন ব্রোকারহাউজগুলোর কাছে সমন্বিত গ্রাহক অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়ে যে চিঠি পাঠিয়েছিলেন তার প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর পাঠানো প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই তথ্য জানা গেছে। এর প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ওই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা জমা না হলে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এপেক্স ইনভেস্টমেন্ট তার অনেক আগেই ডিএসইতে যে ডকুমেন্টস পাঠানো হয়েছে তাতে গ্রাহক হিসাবে টাকা ঘাটতি নেই, বরং বেশি আছে বলেই দাবি করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে।

ডিএসইর প্রতিবেদন ও পর্ষদ সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে আজ অর্থসংবাদে ‘ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের পথে ‍আরও ১৫ ব্রোকারহাউজ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই সংবাদের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটি অর্থসংবাদে পাঠানো এক ব্যাখ্যায় দাবি করেছে, তাদের প্রতিষ্ঠানে সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে কোনো ঘাটতি নেই, বরং উদ্বৃত্ত আছে এবং তার প্রমানস্বরুপ সব ধরনের ডকুমেন্টস পাঠিয়েছে।ব্যাখ্যার সাথে এপেক্স ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেডের পাঠানো ৩০ জুন ২০২০ তারিখের ব্যাংক স্টেটমেন্টেও দেখা যায়, সেখানে গ্রাহকদের টাকা সঠিক পরিমাণেই জমা আছে।

ব্যাখ্যায় জানানো হয়, ২৫ মার্চ থেকে পুঁজিবাজার অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করায় এবং তার পূর্ব থেকেই ক্রমাগত পতনের কারনে পরিচালনা ব্যয় মিটানো দুরহ হয়ে পড়েছিল। একই সাথে মার্জিন ঋণধারী গ্রাহকদের থেকে নগদে ঋণের সুদ আদায় করা সম্ভব হচ্ছিল না। অন্যদিকে বিরুপ পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানের ব্যয় নির্বাহে ওডি হিসাব (Over Draft Account) থেকে ঋণ নিতে হয়েছে। বন্ধকালীন সময়ে ওডি হিসাবে সুদের চাপ এড়াতে সমন্বিত গ্রাহক হিসাব থেকে ওই টাকা সাময়িকভাবে ওডি হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। আবার গত ৩০ জুনের আগেই তা গ্রাহক হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। বিশেষ পরিস্থিতিতে নেওয়া এই ব্যবস্থার ফলে আইনের কিছুটা লঙ্ঘন হয়েছে। কিন্তু তারা বিনিয়োগকারীদের আমানত আত্মসাত বা খেয়ে ফেলেননি।বরং ডিএসইতে ব্যাংকের স্টেটমেন্টসহ সকল ডকুমেন্টস পাঠিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এটা ভুলবসত হয়েছে।

এপেক্স ইনভেস্টমেন্টের ব্যাখ্যার প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দিলীপ কাজুরির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অর্থসংবাদকে বলেন, ব্র্যান্ড হিসেবে  দেশে এপেক্স গ্রুপের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। এপেক্স ইনভেস্টমেন্ট এই গ্রুপেরই প্রতিষ্ঠান। আমরা আমাদের সুনাম ও মর্যদার প্রতি যত্নবান। তাই কোনোভাবেই এখানে গ্রাহকদের টাকা এদিক সেদিক হওয়ার সুযোগ নেই।আমাদের এখানে গ্রাহকদের বিনিয়োগ শতভাগ নিরাপদ। আমরা যে কোনো মূল্যে এই বিনিয়োগের নিরাপত্তা, গ্রাকদের আস্থা ও আমাদের মর্যাদা ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর।গ্রাহকদেরকে উদ্বিগ্ন না হয়ে এপেক্স ইনভেস্টমেন্ট এর প্রতি আগের মতোই আস্থা রাখার অনুরোধ করে বলেন, এপেক্স ইনভেস্টমেন্টস এর গ্রাহকের টাকা প্রদান কিংবা ডিএসই সেটেলমেন্টে কোম্পানির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি।

তিনি অর্থসংবাদকে বলেন, ডিএসইর সঙ্গে কমিউনিকেশন গ্যাপ এর কারণে তারা আমাদের প্রতিষ্ঠানে গ্রাহক অ্যাকাউন্টে টাকার ঘাটতির কথা বলেছেন। এই টাকা যে ইতোমধ্যে সমন্বয় করা হয়েছে তা আমরা ডিএসইকে লিখিতভাবে জানিয়েছি এবং সকল ডকুমেন্টস জমা দিয়েছি।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত