রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ক্রেডিট কার্ডে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনের লিমিট দেওয়া সাড়ে ১২ হাজার মার্কিন ডলার। কিন্তু বেশ কিছু ব্যাংকের গ্রাহক এ সীমার ওপরে লেনদেন করেছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পর্যালোচনায় উঠে এসেছে। ২৭টি ব্যাংকের ৭১টি ক্রেডিট কার্ডে অনিয়ম পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব কার্ডে সাড়ে ১২ হাজার থেকে ২০ হাজার পর্যন্ত লেনদেন করা হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে, বলেন মুখপাত্র।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি নিজের জন্য নির্দিষ্ট পঞ্জিকা বছরে নিয়ম অনুসারে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ডলার পর্যন্ত এনডোর্স করে নিতে পারবেন। অর্থাৎ যদি কারও পাসপোর্টের মেয়াদ পাঁচ বছর থাকে, তাহলে তিনি পাঁচ বছরের জন্য ডলার এনডোর্সমেন্ট করাতে পারবেন। তবে নিয়ম অনুযায়ী এক বছরে ১২ হাজার ডলারের বেশি খরচ করা যায় না। তাই সে পরিমাণ ডলারের এনডোর্সমেন্ট করানো যাবে।
তবে এর পুরোটা নগদ বা নোট আকারে নেওয়া যাবে না। নগদ বা নোট আকারে জনপ্রতি একবারে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ডলার নেওয়া যাবে। বাকি সাত হাজার ডলার পর্যন্ত অর্থ ইন্টারন্যাশনাল কার্ডের মাধ্যমে নেওয়া যাবে।
বিদেশে কেউ একবার ভ্রমণে ১২ হাজার ডলার খরচ করতে পারেন। তবে ওই বছর নিজ খরচে আর বিদেশ ভ্রমণে যাওয়া যাবে না। চিকিৎসা বা শিক্ষার মতো বিশেষ প্রয়োজনে বেশি পরিমাণ ডলার নেওয়ার প্রয়োজন হলে যৌক্তিক কারণের উপযুক্ত নথি জমা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে।