Connect with us

ব্যাংক

১২ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ১৭ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা

Avatar of অর্থসংবাদ ডেস্ক

Published

on

ব্যাংকিং খাতের এক-চতুর্থাংশের বেশি সংখ্যক ব্যাংক ন্যূনতম মূলধন সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি সরকারি, ৪টি বেসরকারি এবং ১টি বিদেশি ব্যাংক রয়েছে।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ১২টি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ১৭ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা, যা আগের প্রান্তিকের তুলনায় ১ হাজার ৫১১ কোটি টাকা বেশি। অর্থাৎ গত বছরের জুন শেষে এসব ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ছিল ১৬ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনিয়ম, দুর্নীতি আর নানা অব্যবস্থাপনায় ব্যাংক খাতে চলছে একধরনের স্বেচ্ছাচারিতা। যাচাই-বাছাই না করে ভুয়া প্রতিষ্ঠানে ঋণ দেয়া হয়েছে, যা পরবর্তী সময়ে খেলাপি হয়ে পড়ছে। এসব ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। বাড়তি অর্থ জোগাতে হাত দিতে হচ্ছে মূলধনে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে সংকট।

জানা গেছে, আন্তর্জাতিক নীতিমালার আলোকে ব্যাংকগুলোকে মূলধন সংরক্ষণ করতে হয়। বাংলাদেশে বর্তমানে ব্যাসেল-৩ নীতিমালার আলোকে ব্যাংকের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ অথবা ৪০০ কোটি টাকার মধ্যে যেটি বেশি, সে পরিমাণ মূলধন রাখতে হচ্ছে। কোনো ব্যাংক এ পরিমাণ অর্থ সংরক্ষণে ব্যর্থ হলে মূলধন ঘাটতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মূলধন ঘাটতিতে থাকা সরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সোনালী ব্যাংকের।

বিদায়ী বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকটির মোট মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ২ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। এছাড়া জনতা ব্যাংকের ৯৩৩ কোটি, অগ্রণী ব্যাংকের ৭৮৮ কোটি, রূপালী ব্যাংকের ৫৪৬ কোটি এবং বেসিক ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ৫৬২ কোটি টাকা। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে এবি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ৬৫২ কোটি টাকা, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ৬৯১ কোটি, কমিউনিটি ব্যাংকের ২ কোটি ৭০ লাখ এবং আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ১ হাজার ৫৯১ কোটি টাকা। বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের মূলধন ঘাটতি ৫৯ কোটি টাকা।

এছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ৯ হাজার ৭৮ কোটি টাকা এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ৭০১ কোটি টাকার মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে। বিদায়ী বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। তবে আইএমএফ বলছে, প্রকৃত খেলাপি ঋণ আড়াই লাখ কোটি টাকা ছাড়াবে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Click to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই আর্থিক কার্যক্রম চালাচ্ছে ৩ কোম্পানি

Published

on

বাজার মূলধন

উন্নত দেশগুলোতে অর্জিত মজুরির (আর্নড ওয়েজ) বিপরীতে ঋণ নেয়ার সুযোগ রয়েছে কর্মজীবি মানুষদের। উন্নত বিশ্বে এ ধরণের বৈধ আর্থিক সেবা বা টার্ম বহুল পরিচিত হলেও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিষয়টি অপরিচিত। তবে দেশে অর্জিত মজুরির বিপরীতে তৃতীয় পক্ষের ঋণ সুবিধা প্রদানে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন অনুমতি বা বৈধতা না থাকলেও ওয়েজলি, মিত্র এবং ইজেড ওয়েজসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গোপনে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আইটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবন্ধিত এসব কোম্পানি চড়া সুদের ব্যবসা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও এই প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের অর্থ পাচারের একটি মাধ্যম হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

জানা গেছে, ওয়েজলি, মিত্র এবং ইজেড বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া অ্যাপের মাধ্যমে চড়া সুদে শ্রমজীবিদের ঋণ দিয়ে আসছেন। প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ম বর্হিঃভূতভাবে নিজেদের খেয়াল খুশি মতো লামসাম ফি বা মেম্বার ফির নামে একটি বাড়তি অর্থনৈতিক সুবিধাও গ্রহণ করছে তাদের সেবা গ্রহনকারীর কাছ থেকে। এখানেই শেষ নয়, এই প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশ মালিকানার শেয়ার বিদেশীদের হওয়ায় টাকা পাচার এবং হুন্ডি ব্যবসার একটি ক্ষেত্রও তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া চলমান এই তিন প্রতিষ্ঠানের সুদের হারও বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত বাৎসরিক সুদের হারের কয়েকগুণ বেশি।

অপরদিকে যেহেতু এই প্রতিষ্ঠানগুলো শতভাগ রপ্তানীমুখী পোশাক শিল্প কারখানায় তাদের সেবাটি চালু করেছে তাই তারা ইচ্ছে করলেই শিল্পকারখানার মালিকের যোগসাজশে হুন্ডি ব্যবসায় জড়িত হতে পারবেন বলে মনে করছেন অনেকে।

অর্থনীতিবিদদের মতে, ওয়েজলি যে টাকাটা দেশের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের প্রদান করল সেই টাকাটা ওই প্রতিষ্ঠান থেকে না নিয়ে সেই প্রতিষ্ঠানের মালিকের যোগসাজসে বিদেশি ক্রেতার কাছ থেকে সে দেশে ওয়েজলির শেয়ারহোল্ডার বরাবর গ্রহণ করে, তাহলে দেশের টাকা দেশে আসার সুযোগ থাকবে না। এতে করে হুন্ডি ব্যবসার একটি নতুন ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে।

জনা গেছে, ওয়েজলি, মিত্র এবং ইজেড টেকনোলজি কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত। প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার কোন অনুমোদন নেই। তাছাড়া এই কোম্পানিসমূহের অধিকাংশ মালিকানা বাংলাদেশের বাহিরে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়েজলির ম্যানেজিং ডিরেক্টর নুর এলাহী জানান, ওয়েজলি একটি আইটি প্রতিষ্ঠান। কোম্পানিটি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে আইটি নিয়ে কাজ করছেন এবং শ্রমিকদের কে কতদিন কাজ করেছেন এবং কার কত টাকা প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা সে বিষয়টি অ্যাপের মাধ্যমে যেকোন প্রতিষ্ঠানের এইচআরকে সহযোগিতা করে থাকেন। ফলে প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ ঋণ সুবিধা নিতে চাইলে এইচআর ডিভিশন তাদের অ্যাপের মাধ্যমে তাদের কর্মঘন্টার বিপরীতে মাস শেষ না হলেও অগ্রিম অর্থনৈতিক সুবিধা দিতে পারেন।

ওয়েজলি চড়া সুদে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে মোবাইলে আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশের মাধ্যমে। তবে বিকাশের দাবি, ‘ওয়েজলির সাথে আমাদের কোনপ্রকার পার্টনারশীপ চুক্তি হয়নি, আমরা তাদের সাথে কাষ্টমার শেয়ারিং করে থাকি।’

চুক্তিপত্র সম্পাদনের জন্য যে ধরণের কাগজপত্র লাগে সেগুলো তাদের না থাকায় ওয়েজলির সাথে বিকাশ অফিসিয়ালভাবে পার্টনাশীপ চুক্তি করেনি বলেও জানায় বিকাশ।

অর্জিত মজুরি বা স্যালারির বিপরীতে ঋণ সুবিধা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘মিত্রের’ ম্যানেজিং ডিরেক্টর কিশোয়ার বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশে এ ধরণের সেবা চালু আছে। আমরা প্রাথমিকভাবে শুরু করে সাড়া পাচ্ছি।’ তিনি বলেন, কিছু ক্ষেত্রে আমরা ঋণ দিচ্ছি। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান দিচ্ছে। এই সেবা প্রদানে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন অনুমতি নেই বলেও জানান তিনি।

অপরদিকে আরেক প্রতিষ্ঠান ‘ইজেড ওয়েজ’র হেড অব অপারেশন শিউলী আক্তার জানান, তারা বর্তমানে অর্জিত মজুরি বা স্যালারির বিপরীতে ঋণ সুবিধা দিচ্ছেন।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের জি এম রফিকুল ইসলাম বলেন, চাকরিজীবীরা তার নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে অর্জিত মজুরীর বিপরীতে ঋণ সুবিধা নিতে পারলেও তৃতীয় পক্ষের কেউ সেই প্রতিষ্ঠানে অর্জিত মজুরীর বিপরীতে ঋণ সুবিধা দিতে পারবে না।

তিনি জানান, এ ধরণের প্রতিষ্ঠানের মালিকানা বিদেশিদের হওয়ায় অর্থপাচারের সুযোগও রয়েছে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ব্যাংক

পাঁচ হাজার হুন্ডি ব্যবসায়ীর এজেন্টশীপ বাতিল

Published

on

বাজার মূলধন

অবৈধ হুন্ডি ব্যবসার অভিযোগে পাঁচ হাজারের বেশি এজেন্টের এজেন্টশীপ বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও অবৈধ হুন্ডি ব্যবসা, গেমিং, বেটিং, ক্রিপ্টো সংক্রান্ত বেশকিছু মামলায় ৪৩ জনকে গ্ৰেফতার করেছে সিআইডি। সোমবার (২৯ মে) বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

সূত্র মতে, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রার স্থিতিশীলতা রক্ষায় বিএফআইইউ অর্থপাচার রোধে নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় অবৈধ হুন্ডি ব্যবসার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৫ জন এজেন্টের এজেন্টশিপ বাতিল করা হয়েছে। এছাড়াও ৫ হাজার ৭৬৬ জন এজেন্ট ও ০৯ জন ডিস্ট্রিবিউটরের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব‍্যবস্থা গ্ৰহণের জন্যে তাদের তথ্য সিআইডিতে প্রেরণ করেছে বিএফআইইউ।

এখন পর্যন্ত হুন্ডি ব্যবসায়ীদের ১২ হাজার ৬২৫টি বেনিফিশিয়ারির হিসাব জব্দ করা হয়েছে। এসব হিসাবের জব্দকৃত অর্থের পরিমাণ চার কোটি ২২ লাখ ৪০ হাজার ৩৯৬ টাকা। এর মধ্যে মোরাল সুয়েশন করে সচল করে দেয়া মোট ৩২৮টি হিসাবে বৈধভাবে ১ কোটি ২৬ লাখ ৩০ হাজার ৯২২ টাকা রেমিট্যান্স এসেছে।

বিএফআইইউ সূত্র জানায়, অবৈধ হুন্ডি, গেমিং, বেটিং, ক্রিপ্টো সংক্রান্ত ১৫টি মামলায় সিআইডি ৪৩ জনকে গ্ৰেফতার করেছে। হুন্ডি সংক্রান্ত ৭৩ টি ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট, অবৈধ গেমিং, বেটিং, সংক্রান্ত ০৯ টি ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট, এবং ট্রেন্ড মিস-ইনভয়েসিং সংক্রান্ত ৩১টি রিপোর্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় প্রেরণ করেছে ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স।

জানা গেছে, এখন পর্যন্ত বিএফআইইউ ৬৬৪টি ওয়েবসাইট, ১৪৮টি অ্যাপস এবং সোস্যাল মিডিয়ার ৪০১টি পেইজ ব্লক করেছে। এসব ওয়েবসাইট, পেইজ এবং অ্যাপস হুন্ডি ব্যবসা, গেমিং, বেটিং, ক্রিপ্টো লেনদেনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ব্যাংক

খেলাপি ঋণের ৬১ শতাংশই ১০ ব্যাংকের

Published

on

বাজার মূলধন

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকায়। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের ৬১ শতাংশই হচ্ছে শীর্ষে থাকা ১০ ব্যাংকের। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ৬ ব্যাংকের ৫টিই খেলাপি ঋণের শীর্ষ ১০টির মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

সূত্র মতে, সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণ রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের। প্রতিষ্ঠানটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৯৪৩ কোটি ১২ লাখ টাকায়।

রাষ্ট্রায়ত্ব আরেক প্রতিষ্ঠান জনতা ব্যাংক খেলাপি ঋণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে এ প্রতিষ্ঠানটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৪ হাজার ৮৮৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ রয়েছে ১২ হাজার ৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বেশি ঋণ রয়েছে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের। প্রতিষ্ঠানটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭ হাজার ৭৭৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব আরেক প্রতিষ্ঠান বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭ হাজার ৪৭৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা।

এছাড়াও ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডও খেলাপি ঋণের শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬ হাজার ১০১ কোটি টাকা।

বেসরকারি খাতের এবি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ রয়েছে ৪ হাজার ৬৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। পদ্মা ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ৪২৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। শরীয়াহ ভিত্তিক আরেক প্রতিষ্ঠান আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ২ হাজার ৪৬৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা খেলাপি ঋণ রয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুসারে, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ৬ ব্যাংকে খেলাপি ঋণ রয়েছে ৫৭ হাজার ৯৫৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। বেসরকারি খাতের ৪৩টি বাণিজ্যিক ব্যাংকে খেলাপি ঋণ রয়েছে ৬৫ হাজার ৮৮৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এছাড়াও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর ৪ হাজার ৭৩১ কোটি ৭২ লাখ টাকা এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ৪১ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

অর্থসংবাদ/ডব্লিও.এস

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক হলেন জবদুল ইসলাম

Published

on

বাজার মূলধন

বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ অপারেশন ডিপার্টমেন্টের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জবদুল ইসলাম পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। তাকে পদোন্নতি দিয়ে ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন এ বহাল করা হয়েছে।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

রোববার (২৮ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

তিনি ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক পদে যোগদান করে বাংলাদেশ ব্যাংক, রংপুর অফিসের পর যথাক্রমে প্রধান কার্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল ডিপার্টমেন্ট, ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড পেমেন্ট, ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ, ফরেন এক্সচেঞ্জ অপারেশন্স ডিপার্টমেন্টে দায়িত্ব পালন করেন।

মো. জবদুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। অতঃপর তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। দাপ্তরিক প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে তিনি ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, সুইজারল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা এবং জার্মানিতে ভ্রমণ করেছেন।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

ব্যাংক

পদোন্নতির পরীক্ষায় লড়বেন রেকর্ড ৭৮ হাজার ব্যাংকার

Published

on

বাজার মূলধন

দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য সম্প্রতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ব্যাংকিং প্রফেশনাল পরীক্ষা। বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানের ৭৮ হাজার ব্যাংকার শনিবার (২৭ মে) ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন।

অর্থসংবাদের মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, এবারের ৯৬তম ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন প্রায় ৭৮ হাজার ব্যাংকার। এর আগে কখনোই এত ব্যাংকার একসঙ্গে অংশ নেননি। সর্বশেষ ৯৫তম পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন প্রায় ৩৬ হাজার ব্যাংকার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংক খাতে কর্মী রয়েছেন প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার। ফলে এবার প্রায় ৩৭ শতাংশ ব্যাংকার একসঙ্গে ব্যাংকিং প্রফেশনাল পরীক্ষায় বসছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক থেকে পরিচালক (সাবেক জিএম) হওয়া পর্যন্ত পদোন্নতির ক্ষেত্রে ব্যাংকিং প্রফেশনাল পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে আগে শুধু বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির জন্য ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষার প্রথম পর্ব পাস করা বাধ্যবাধকতা ছিল।

তবে চলতি বছরের শুরুর দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার তা পরিবর্তন করে পরিচালক পর্যন্ত পদোন্নতিতে দুই পর্ব পাসের নিয়ম চালু করেন। আর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা থেকে তদূর্ধ্ব পদে পদোন্নতিতে এই পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়। এই নিয়ম ২০২৪ সাল থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি সারা দেশের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের ২৪টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতো। এবার অংশগ্রহণকারী বাড়লেও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ঢাকার পাশাপাশি ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, রংপুর ও বরিশালে।

শনিবার (২৭ মে) পরীক্ষা শুরু হবে। সকাল ও দুপুর দুই বেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩ ও ১০ জুনও একইভাবে পরীক্ষা হবে।

ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (আইবিবি) এ পরীক্ষার আয়োজন করে। চলতি বছরের শুরুর দিকে পদোন্নতিতে এ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

আরও জানা যায়, ব্যাংকিং প্রফেশনাল পরীক্ষার পাঠ্যসূচিতে বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। একই সঙ্গে এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পাসের নম্বর ৫০ থেকে কমিয়ে ৪৫ করা হয়েছে।

অর্থসংবাদ/এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন
Advertisement
Advertisement
June 2023
SMTWTFS
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930