সীমান্ত উত্তেজনা নিরসনে নভেম্বরে শি জিনপিং-মোদি বৈঠক

সীমান্ত উত্তেজনা নিরসনে নভেম্বরে শি জিনপিং-মোদি বৈঠক
আগামী নভেম্বরে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জি-২০ সম্মেলন। বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর এ জোটের সম্মেলনে চীন ও ভারত দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। সেক্ষেত্রে লাদাখে দুই দেশের সংঘাতের পর সৌদি আরবেই প্রথমবারের মতো পরস্পরের মুখোমুখি হবেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

জি-২০ সম্মেলনে দেখা হলেও দুই নেতার মধ্যে পৃথক বৈঠক হবে কিনা; তা এখনও অনিশ্চিত। এর আগে ২০১৭ সালের জি-২০ সম্মেলনেও দুই নেতার মধ্যে আলাদা করে কোনও বৈঠক হয়নি।

এর আগে রাশিয়ার বিজয় দিবসের প্যারেডে মিলিত হলেও চীনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অনীহা প্রকাশ করেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। বিশ্লেষকরা বলছেন, ওই বৈঠক থেকে কোনও ইতিবাচক ফল আনতে না পারলে নিজ দেশে সমালোচিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই এমন অনীহা রাজনাথের। ফলে পাখির চোখ এখন জি-২০ সম্মেলনে।

এদিকে কাশ্মিরের লাদাখে চীনা বাহিনীর হাতে অন্তত ২৩ ভারতীয় সেনা নিহতের ঘটনায় ভারতজুড়ে চীনা পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া হচ্ছে। সহস্রাধিক চীনা পণ্যের একটি তালিকা করেছে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এখন সেই তালিকা নিয়ে দেশীয় কোম্পানিগুলির সঙ্গে কথা বলছে তারা।

সূত্র জানিয়েছে, এই তালিকায় থাকা কোনোটি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নয়। এসবের মধ্যে রয়েছে খেলনা, প্লাস্টিক, স্টিল, ইলেকট্রনিক্স এবং গাড়ির কিছু যন্ত্রাংশের মতো সামগ্রী। দিল্লিা চায়, তালিকায় থাকা পণ্যগুলো আমদানির ক্ষেত্রে বাড়তি শুল্কের বোঝা চাপিয়ে দিতে। উদ্দেশ্য, লাদাখে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষের পর চীনা সামগ্রীর ওপর নির্ভরতা কমানো এবং দেশীয় শিল্পগুলোকে চাঙ্গা করা। সেজন্যই দেশের কোম্পানির সঙ্গে কথা চলছে তারা। ইতোমধ্যেই বিদ্যুৎ এবং রিনিউয়েবল এনার্জির যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়তি কাস্টমস শুল্ক বসানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে চীনা জিনিস থামাতে গিয়ে বেকায়দায় পড়েছে দিল্লি।

বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে চীনা পণ্যের ওপর নির্ভরতা এতটাই বেশি যে, সেখানে বিধিনিযেধ চাপালে খোদ ভারতীয় নাগরিকরাই বিপাকে পড়বে। কারণ, ওই জিনিসগুলোর দাম অনেকটাই বেড়ে যাবে। এই ক্ষেত্রগুলির মধ্যে আছে ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, গাড়ির যন্ত্রাংশ, ওষুধ, ক্রীড়া সরঞ্জাম, টেলিকম ইত্যাদি।

গত আর্থিক বছরে চীন থেকে সাত হাজার কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছিল ভারত। রফতানি করেছিল এক হাজার ৬৭০ কোটি ডলারের সামগ্রী। ফলে আমদানি ও রফতানির মধ্যে বিপুল ফারাক রয়েছে। অন্য কোনও দেশের সঙ্গে দিল্লির এতো বেশি ফারাক নেই। এর মূল কারণ হলো, অনেকগুলো ক্ষেত্রে চীনা পণ্যের ওপর নির্ভরশীলতা খুবই বেশি। যেমন গাড়ির যন্ত্রাংশের ক্ষেত্রে।

২০১৯ সালে চীন থেকে ৪২০ কোটি ডলারের গাড়ির যন্ত্রাংশ আমদানি করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যম নিউজ ১৮-এর সঙ্গে কথা বলেছেন মারুতি সুজুকি ইন্ডিয়া লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আর সি ভার্গব। তিনি বলেন, ‘এমন নয় যে, আমরা চীন থেকে যন্ত্রাংশ আমদানি করাটা পছন্দ করি। আমাদের কাছে আসলে কোনও বিকল্প নেই। দেশের কোম্পানি যদি প্রতিযোগিতায় টিকে থেকে অন্য দেশের তুলনায় কম দামে জিনিস দিতে পারে তো খুবই ভালো। এখন যদি উত্তেজনা বাড়ে, তাহলে কিন্তু চীনের চেয়ে ভারতের বেশি ক্ষতি হবে।’

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পেট্রোল-ডিজেলের নতুন দাম ঘোষণা
ভিসা ছাড়াই যুক্তরাজ্যে যেতে পারবে মুসলিম ৬ দেশ
মারা গেছেন পণ্ডিত ভবানী শঙ্কর
২০২৩ এ আলোচিত বিশ্বের সেরা ১০ ঘটনা
ব্রিকসে যোগ দেবে না আর্জেন্টিনা
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিশ্ববাসী
১০ টাকাতেই মিলবে বই
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী ফ্রাঁসোয়া বেটেনকোর্ট
সৌদি আরবে আরো একটি স্বর্ণের খনির সন্ধান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ইন্দোনেশিয়া