রোববার (২৮ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
২৫ দিনে ১৭২ কোটি ৯৩ লাখ ডলারের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে দুই কোটি ১০ লাখ ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩৮ কোটি ৬৯ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।
আলোচিত সময়ের মধ্যে বরাবরের মতো সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। বেসরকারিখাতের এ ব্যাংকটির মাধ্যমে এসেছে ৩৫ কোটি ৬২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। এরপরই রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক। এ ব্যাংটির মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ডলার।
এছাড়া সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ডলার, ডাচ–বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ৫৪ লাখ ডলার, রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ৩৫ লাখ ডলার এসেছে।
তবে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বিদেশি ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে।
এছাড়া আগের মাস জুলাইয়ে ২০৯ কোটি ৬৯ লাখ ডলার বা প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। চলতি বছরের জুনে এসেছিল ১৮৩ কোটি ৭২ লাখ ডলার, মে মাসে এসেছিল ১৮৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।
এদিকে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছিলেন ২ হাজার ১০৩ কোটি ডলার। যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে বছরের চেয়ে ৩.৭৫ বিলিয়ন ডলার কম। তার আগের অর্থবছরে (২০২০-২০২১) এসেছিল ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার।
বৈদেশিক মুদ্রার সংকট নিরসনে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে ডলারের বিপরীতে টাকার মান ধারাবাহিক কমাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলারে কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ৯৫ টাকা। অর্থাৎ বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারি আমদানি বিল মেটাতে এই দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করছে। নিয়ম অনুযায়ী এটাই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর।
তবে বিভিন্ন ব্যাংক ও কার্ব মার্কেটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ ব্যাংকগুলো আমদানি বিলের জন্য নিচ্ছে ৯৭ থেকে ৯৮ টাকা পর্যন্ত, নগদ ডলার বিক্রি করছে ১০৬ থেকে ১০৮ টাকা, আর ব্যাংকের বাইরে খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে ডলার বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১১ টাকা।
সবশেষ তথ্যানুযায়ী, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তিন হাজার ৯৩৬ কোটি (৩৯ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন) ডলার। প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় হিসেবে মজুত এ বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে প্রায় ৫ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।