জাতীয়
যেসব স্থানে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা করছে ডিএনসিসি

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) গত ১১ মে থেকে নিয়মিত বিনামূল্যে নাগরিকদের ডেঙ্গু পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ডিএনসিসির ২৭টি নগর মাতৃসদন ও নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এর মধ্যে রয়েছে ৫টি নগর মাতৃসদন ও ২২টি নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা যাচ্ছে।
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ওই ২৭টি কেন্দ্রে ডেঙ্গু পরীক্ষা করানো হয়েছে ১১৩টি। এর মধ্যে মাত্র পাঁচজন রোগীর ক্ষেত্রে ডেঙ্গু শনাক্ত করা হয়।
ডিএনসিসি জানিয়েছে, ব্যাপক হারে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্তে আগামী সপ্তাহ থেকে আরও ১৩টি সেন্টারে ডেঙ্গু শনাক্তের কিট দেয়া হবে। সেসব জায়গা থেকে বিনামূল্যে ডেঙ্গুর পরীক্ষা করা হবে।
ডিএনসিসির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন জানান, ওই কেন্দ্রগুলোতে যেসব পরীক্ষা করা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে, এনএসএই, আইজিজি ও আইজএম। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নগর মাতৃসদন ও নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা যাবে। ডেঙ্গু পরীক্ষার ফল সাথে সাথে জানা যাবে।

নগর মাতৃসদন ও নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর ঠিকানা হলো-
অঞ্চল ১ (উত্তরা)
নগর মাতৃসদন, বাড়ি-১১, রোড-১১, সেক্টর-৬, উত্তরা, ঢাকা।
নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-১, বাড়ি-৯২, রোড-১২, সেক্টর-১০, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা।
নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-২, কবরস্থানের উত্তর পূর্ব পাশে, রোড-১০/এফ, সেক্টর-৪, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা।
নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-৩, ২৩৫/২৩৬, দারোগা বাড়ি, মধুপুর চৌরাস্তা ফায়দাবাদ, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা।
নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-৪, ১৫০ আশকোনা মেডিকেল রোড, এয়ারপোর্ট, ঢাকা।
নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-৫, ১৩৪/৪ কাজী বাড়ি রোড, কুড়িল চৌরাস্তা, কুড়িল, ঢাকা।
নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-৬, বাড়ি ৩২৫ আনিচবাগ, কলেজ রোড, চেয়ারম্যান বাড়ি, ঢাকা।
অঞ্চল-২ (মিরপুর-২)
নগর মাতৃসদন, জে-২/এ বর্ধিত পল্লবী, মিরপুর, ঢাকা।
নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-১, বাড়ি-ডি/৩, সেকশন-৭, আরামবাগ (আ/এ), মিরপুর (মিল্কভিটার পাশে) ঢাকা।
নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-২, জে-২/এ বর্ধিত পল্লবী, মিরপুর, ঢাকা।
নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-৩, বাড়ি-৬, ব্লক-এফ, রোড-৩, সেকশন-২, মিরপুর, ঢাকা।
নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-৪, ব্লক-এফ, রোড-৩, সেকশন-১, মিরপুর, ঢাকা।
অঞ্চল-৩ (গুলশান)
নগর মাতৃসদন, নয়াটোলা পার্কের সামনে, গ্রিনওয়ে রোড, নয়াটোলা, মগবাজার।
নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-২, ৫৯৯ বড় মগবাজার, ঢাকা।
নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-৩, ৫৯৪ মধুবাগ, মগবাজার, ঢাকা।
নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-৪, মহাখালী গ/১৬/এ, আমতলা, ঢাকা।
নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-৫, ১৭১ উত্তর বাড্ডা, ঢাকা।
অঞ্চল-৪ (মিরপুর-১০)
নগর মাতৃসদন, ৪/বি/বি, দ্বিতীয় কলোনি, মাজার রোড, মিরপুর-১, ঢাকা।
নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-১, নেকি বাড়ির টেক, ২য় কলোনি, হরিরামপুর, মিরপুর-১, ঢাকা।
নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-২, বাড়ি-২৭, রোড-১১, কল্যাণপুর, ঢাকা।
নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-৩, ১৯২/১ মধ্য পাইকপাড়া, মিরপুর-১, ঢাকা।
নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-৪, ৫৯১ উত্তর কাফরুল, চেয়ারম্যান বাড়ি, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা।
নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-৫, ৩৮৬ মুন্সি বাড়ি রোড, উত্তর ইব্রাহিমপুর, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা।
অঞ্চল-৫ (কারওয়ান বাজার)
নগর মাতৃসদন, ৩/৫ খ, বাঁশবাড়ি, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-৩, ৬৫/ভি, নুরজাহান রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-৬, পাল সমিতি, রায়েরবাজার, ঢাকা।
নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-৭, ৬৪ পশ্চিম আগারগাঁও, ঢাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
জাপান ব্যাংকের সঙ্গে জ্বালানি বিভাগের সমঝোতা

কৌশলগত সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক সই করেছে জ্বালানি বিভাগ ও জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন (জেবিক)। সোমবার সচিবালয়ে তিন বছরের এই নন-বাইন্ডিং চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাসের সুষ্ঠু ব্যবহারে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতেই হবে। ৩০ লাখ স্মার্ট গ্যাস মিটার লাগবে। জাপান ব্যাংক, বিশ্ব ব্যাংক ও এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক এর সহযোগিতায় মিটার লাগাতে পারলে গ্যাসের অপচয় রোধ করা যাবে। তিতাসের জন্য ৭ লক্ষ এবং কর্ণফুলীর জন্য ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করা হবে, যা গ্যাসে মিতব্যয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করবে।
বাংলাদেশে বিনিয়োগে জাপানি কোম্পানিগুলোর আগ্রহ বাড়ছে। বিনিয়োগে পরিবিশ উন্নত করতেই জাপানি ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা স্বাক্ষর করা হলো বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাপানি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এলএনজি ও গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং জ্বালানি রূপান্তরের অবকাঠামো উন্নয়নে এই সমঝোতা স্মারক কার্যকর অবদান রাখবে।
সমঝোতা স্মারকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের যুগ্নসচিব লায়লাতুন ফেরদৌস ও জেবিকের দিল্লী প্রধান প্রতিনিধি কোরিহারা তুশিহিকো সই করেন।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম ও জেবিকের মহাপরিচালক সুজুকি রাইউতা বক্তব্য দেন।

অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক আরও সমৃদ্ধ হবে

বাংলাদেশের সঙ্গে সংস্কৃতিগত বিনিময়ের জন্য চীন সব সময় আগ্রহী। ভবিষ্যতে এই সুযোগ আরও বেশি তৈরি হবে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আগামী দিনে আরও সমৃদ্ধ হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
তিনি বলেন, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) দশম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। আজ সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইয়াও ওয়েন বলেন, ১০ বছর আগে চীনের প্রেসিডেন্টের এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে সফরের সময় বিআরআই উন্মোচন আন্তর্জাতিক সহযোগিতার একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। এর পর থেকে এক দশক ধরে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক ধারাবাহিকভাবে উন্নত হচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সহযোগিতা অনেক বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সহযোগিতা দিন দিন আরও বাড়বে। দুই দেশের তরুণদের দক্ষ করতে কাজ করছে চীন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন বলেন, বাংলাদেশ-চীনের সম্পর্ক একাত্তরের আগে ও পরে যেমন ছিল, তা আজকের মতো নয়। সেটা ছিল বৈশ্বিক রাজনীতিতে মেরুকরণের ফল। স্নায়ুযুদ্ধ অবসানের পর দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, সম্প্রতি চীনের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ কাজ করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ইয়াং হুয়ে বলেন, প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া সব ছবি প্রতিষ্ঠিত আলোকচিত্রীদের তোলা, এমন নয়। তবে পুরো প্রদর্শনীর সব ছবিতে স্পষ্ট হয়েছে দুই দেশের মধ্যকার আন্তরিকতার চিত্রটি।

শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, বাংলাদেশ-চীনের মধ্যকার সুসম্পর্কের ইতিহাস খুঁজতে গেলে শত শত বছর আগের পর্যটক দার্শনিক হিউয়েন সাংয়ের প্রসঙ্গ উঠে আসে।
আলোচনা শেষে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। প্রদর্শনীর মূল আয়োজক বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাস এবং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-চায়না অ্যালামনাই। সহযোগী আয়োজক বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার এবং বাংলা বিভাগ চীন মিডিয়া গ্রুপ।
শিল্পকলার জাতীয় চিত্রশালায় প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী উন্মুক্ত থাকবে। শেষ হবে আগামী ২ ডিসেম্বর।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
যুক্তরাজ্যে রপ্তানি বাড়াতে কাজ করবে বাংলাদেশ

যুক্তরাজ্যের ক্রমবর্ধমান বাজার ধরতে একসঙ্গে কাজ করার নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই এবং যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন। চায়না প্লাস ওয়ানের সুযোগ কাজে লাগিয়ে যুক্তরাজ্যের ভোক্তা মার্কেট ধরতে রপ্তানি পণ্য বৈচিত্র্যকরণের ওপর জোর দিয়েছে উভয় পক্ষ।
রোববার (২৬ নভেম্বর) রাতে যুক্তরাজ্যে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন ও দেশটিতে সফররত এফবিসিসিআই প্রতিনিধি দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক ডায়ালগে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। এসময় যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম উপস্থিত ছিলেন।
রপ্তানি পণ্য বৈচিত্র্যকরণের ওপর জোর দিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, আমরা শুধু তৈরি পোশাক খাতে নির্ভরশীল হয়ে আছি। কিন্তু বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণের বিকল্প নেই। পোশাক শিল্পের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যে আরও কী ধরনের পণ্য রপ্তানি করা যায় সেগুলো নিয়ে কাজ করছি আমরা। এসময় তৈরি পোশাকের বাইরে কৃষিজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, ফুল ও ফল রপ্তানিতে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিয়ে আসার বিষয়েও বাংলাদেশি হাইকমিশনের সহযোগিতা চান তিনি। পাশাপাশি বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, গত বছর যুক্তরাজ্যে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। যা যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির দিক থেকে সর্বোচ্চ। এই রপ্তানির ৯১ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। টেক্সটাইল, মৎস্য ও বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য যুক্তরাজ্যে রপ্তানি করা হলেও সেই সংখ্যা খুব কম। এসময় কৃষিজাত পণ্য ও আনারসসহ বিভিন্ন ধরনের ফল রপ্তানির ওপর জোর দেন তিনি।

বাংলাদেশের তৈরি পণ্য মূলধারার বাজারে আনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা যদি মূলধারার বাজারে কী ধরনের পণ্য আসছে এবং সেসব পণ্যের উৎস কোথায়, কী ধরনের চাহিদা রয়েছে সেগুলো বিশ্লেষণ করতে পারি, তাহলে সেটি দেশের রপ্তানি বাড়াতে সাহায্য করবে।’
বৈঠকে প্রশিক্ষিত নার্সসহ দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি নিয়েও আলোচনা হয়। অনুষ্ঠানে ব্যবাসায়ী নেতা ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ব্যক্তিগত তথ্য-উপাত্ত অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না

অনুমতি ছাড়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহারের পথ বন্ধ করতে ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন-২০২৩’ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। এই আইনের মাধ্যমে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা পাবে।
জানা যায়, এই আইনের জন্য উপাত্ত সুরক্ষা বোর্ড নামে একটি বোর্ড করা হবে, যেখানে সবার তথ্য সুরক্ষিত থাকবে। তাদের অনুমতি ছাড়া কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তথ্য কেউ নিতে পারবে না।
আজ সোমবার (২৭ নভেম্বর) মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এই খসড়ায় অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রিসভা কক্ষে সকাল ১০টার দিকে এই বৈঠক শুরু হয়। বেলা সাড়ে ৪টার দিকে এ বিষয়ে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন।
সচিব বলেন, তথ্য এখন সবথেকে বড় রিসোর্স। ডিজিটাল যুগে তথ্য ব্যবহার কৌশলগত রিসোর্স হিসেবে পরিগণিত হয়। তথ্য এখন সবথেকে বেশি প্রয়োজনীয় একটি উপকরণ। তথ্য ব্যবহারের ব্যবস্থাপনা কিংবা একজন ব্যক্তির তথ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে তার সম্মতির প্রয়োজন হয়, সেটি নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ উপাত্ত সুরক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেই বোর্ড এসব বিষয় দেখাশোনা করবে।
উপাত্ত যারা সংগ্রহ করবেন, তাদের জন্য অনুসরণীয় কিছু নীতিমালা, বিধিবিধান থাকবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বোর্ড এসব তৈরি করবে। সেসব মেনেই সকলকে তথ্য সংগ্রহ ও বিতরণ করতে হবে। যারা তথ্য সংগ্রহ ও প্রক্রিয়া করবে তাদেরও বোর্ডে নিবন্ধিত হতে হবে।

আজ কেবিনেটে সব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এরপর নির্বাচনের আগে আর কেবিনেট হবে কিনা সে ব্যাপারে কিছু সিদ্ধান্ত হয়নি।
অর্থসংবাদ/এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভূমি ব্যবহারে সব উপজেলায় মাস্টারপ্ল্যানের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ভূমি ব্যবহারে প্রত্যেক উপজেলায় মাস্টারপ্ল্যান (মহাপরিকল্পনা) করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৭ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।
সভা শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে নির্দেশনা এসেছে, ভূমি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেক উপজেলায় যেন মাস্টারপ্ল্যান থাকে। স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে যে তারা একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, এ লক্ষ্যে কাজ তারা শুরুর করেছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, স্বল্পতম সময়ের মধ্যে যেন এটি সম্পন্ন হয়। এটি থাকলে যেটি হবে উন্নয়ন এখন হচ্ছে ভূমির ব্যবহারটা খুবই যৌক্তিক হয়। যত্রতত্র যেন ঘরবাড়ি কিংবা শিল্প স্থাপন কিংবা অন্য কোনোভাবে যেন ব্যবহার না হয়, সেটির দিকে উনি নজর রাখতে বলেছেন। এটি হলে গেলে এখানে একটি শৃঙ্খলা আসবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, উপজেলাভিত্তিক ভূমি ব্যবহারে মাস্টারপ্ল্যান করতে হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ এখন এটা নিয়ে কাজ করবে।