‘ভালো’ ঋণগ্রহীতার সুদে ছাড় তুলে নিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

‘ভালো’ ঋণগ্রহীতার সুদে ছাড় তুলে নিলো বাংলাদেশ ব্যাংক
খেলাপি গ্রাহকদের জন্য একের পর এক সুবিধা দিলেও ‘ভালো’ ঋণগ্রহীতাদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতো দিন ‘ভালো’ ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে ঋণের বিপরীতে যে সুদ আদায় করতো ব্যাংকগুলো, তার ১০ শতাংশ ছাড় পেত। কিন্তু এ সুবিধা তুলে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের পর এ সুবিধা পাবে না ‘ভালো’ ঋণগ্রহীতারা।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।

আগে কোনো গ্রাহকের কাছ থেকে ১০০ টাকা সুদ পাওনা হলে তা আদায় করে ১০ টাকা ফেরত দিতে হতো। গ্রাহক ‘ভালো’ ঋণগ্রহীতা হলে প্রতি বছর এ সুবিধা পেত। ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ সুবিধা পাবেন ‘ভালো’ ঋণগ্রহীতা। পরবর্তীতে এ সুবিধা আর পাবে না। তবে ভালো ঋণগ্রহীতা চিহ্নিতকরণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। প্রতি বছর ডিসেম্বর অন্তে ভালো ঋণগ্রহীতাকে চিহ্নিত করতে হবে।

এ ক্ষেত্রে চলমান ঋণের গ্রহীতার ঋণ হিসাব সংশ্লিষ্ট বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এবং অব্যবহিত পূর্ববর্তী চারটি ত্রৈমাসিকে অশ্রেণিকৃত-স্ট্যান্ডার্ড অবস্থায় থাকলে এবং নবায়ন পত্রের শর্তানুসারে উক্ত ঋণ হিসাবে লেনদেন সন্তোষজনক হলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহক ভালো ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহীতা হিসেবে বিবেচিত হবেন।

তলবি ঋণের গ্রহীতার সংশ্লিষ্ট বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং পূর্ববর্তী চারটি ত্রৈমাসিকে সব তলবি ঋণের অশ্রেণিকৃত-স্ট্যান্ডার্ড অবস্থায় সমন্বিত হলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহক ভালো ঋণগ্রহীতা হিসেবে বিবেচিত হবেন।

মেয়াদি ঋণগ্রহীতার ঋণ হিসাবে বিগত ১২ মাসের সব কিস্তি নির্ধারিত তারিখের মধ্যে নিয়মিতভাবে পরিশোধিত হলে এবং অব্যবহিত পূর্ববর্তী চারটি ত্রৈমাসিকে অশ্রেণিকৃত-স্ট্যান্ডার্ড অবস্থায় থাকলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহক ভালো ঋণগ্রহীতা হিসেবে বিবেচিত হবেন।

কোন ঋণগ্রহীতার একাধিক ঋণ থাকলে প্রতিটি ঋণের জন্য উল্লিখিত শর্তসমূহ পরিপালন করলেই কেবল সংশ্লিষ্ট ঋণগ্রহীতা ভালো ঋণগ্রহীতা হিসেবে বিবেচিত হবেন।

সব ক্ষেত্রেই কোনো ব্যাংকে বিগত ১২ মাসে কোনো গ্রাহক বা তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে বিরূপমানে শ্রেণিকৃত ঋণ থাকলে ওই গ্রাহক ভালো ঋণগ্রহীতা হিসেবে বিবেচিত হবেন না।

যৌক্তিক কারণে ঋণ/বিনিয়োগ হিসাব প্রথমবার পুনঃতফসিল/পুনর্গঠনের মাধ্যমে নিয়মিত করা হলে উপরে বর্ণিত শর্তাবলি পরিপালন সাপেক্ষে ওই ঋণগ্রহীতাকে ভালো ঋণগ্রহীতা হিসেবে বিবেচনা করা যাবে।

তিন বছর বা তদূর্ধ্ব সময়কাল ধরে ভালো ঋণগ্রহীতা হিসেবে চিহ্নিত গ্রাহকদের ছবি, প্রোফাইল ইত্যাদির সমন্বয়ে ব্যাংক বিশেষ বুকলেট/ম্যাগাজিন প্রকাশ করতে পারবে। এক্ষেত্রে প্রথম প্রকাশের ক্ষেত্রে ভালো ঋণগ্রহীতাদের সংখ্যা অধিক হলে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘসময় ধরে যে সব ঋণগ্রহীতা ভালো ঋণগ্রহীতা হিসেবে চিহ্নিত হবেন তাদের নাম বিশেষ বুকলেট/ম্যাগাজিনে অন্তর্ভুক্তকরণে অগ্রাধিকার পাবে।

ব্যাংক বার্ষিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভালো ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহীতাদের স্বীকৃতি/পুরস্কার প্রদানকরতঃ তাদের সম্মাননার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

বিদেশি ডেবিট কার্ডে অর্থ তোলা বন্ধ করল ইবিএল
এসবিএসি ব্যাংকের নতুন এএমডি নূরুল আজীম
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
বিকাশের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা মাহফুজ মারা গেছেন
ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন পর্ষদের ৩ কমিটি গঠন
ব্যাংকে চাকরির আবেদনের বয়সসীমা শিথিল
মাসিক সঞ্চয় হিসাব খোলা যাচ্ছে বিকাশ অ্যাপে
ফের এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন
অফিসার পদে ৭৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে সরকারি ৫ ব্যাংক
ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন পরিচালক হলেন যারা