রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের ২৪৩ কর্মকর্তার করোনা শনাক্ত

রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের ২৪৩ কর্মকর্তার করোনা শনাক্ত
করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) গণসংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে ব্যাংকগুলোতেও। এখন পর্যন্ত শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকেই ২৪৩ জন কর্মকর্তার শরীরে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে ছুটিতে গেছেন পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা। এরই মধ্যে মারাও গেছেন সাতজন। সব মিলিয়ে দিন যত গড়াচ্ছে, পরিস্থিতি ততই খারাপ হচ্ছে সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংকের।

করোনা শনাক্ত হয়েছে অগ্রণী ব্যাংক এমডির গাড়িচালকের। এরপর থেকেই কোয়ারেন্টিনে আছেন ব্যাংকটির এমডি মো. শামস্-উল-ইসলাম। সবকয়টি ব্যাংকেরই নেতৃস্থানীয় পদের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তারও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এতদিন শাখা পর্যায়ের কর্মকর্তারা বেশি সংক্রমিত হলেও এখন ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। পরিস্থিতি যেভাবে দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে, তাতে ব্যাংকের কার্যক্রমই মুখ থুবড়ে পড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নগর থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। এর মধ্যে প্রধান চার ব্যাংক সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালীর শাখা রয়েছে ৩ হাজার ৬৬৬টি। এ চারটি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। তবে করোনার তাণ্ডব রাজধানীতে বেশি হওয়ায় ব্যাংকগুলোর প্রধান কার্যালয় ও শাখাগুলোর কার্যক্রম ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত সবচেয়ে বড় সোনালী ব্যাংকের শাখার সংখ্যা ১ হাজার ২২৪। ব্যাংকটির জনবলের সংখ্যা ১৯ হাজার ৬০৯ জন। করোনার সবচেয়ে বড় আঘাত লেগেছে এ ব্যাংকটিতে। সর্বোচ্চসংখ্যক আক্রান্ত, মৃত্যু ও উপসর্গ নিয়ে করোনায় কাঁপছে সোনালী ব্যাংক। ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের অনেক কর্মকর্তাই করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। করোনা শনাক্ত হয়েছে সোনালী ব্যাংক চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারীরও।

করোনায় এরই মধ্যে দুজন কর্মকর্তাকে হারিয়েছে জনতা ব্যাংক। করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যাও অর্ধশতাধিক ছাড়িয়েছে ব্যাংকটিতে। উপসর্গ দেখা দিয়েছে এমন কর্মকর্তার সংখ্যাও শতাধিক। পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত এ ব্যাংকটিরও। সারা দেশে জনতা ব্যাংকের শাখার সংখ্যা ৯১৩। ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ১১ হাজার ৯৬৬ জন।

৯৫৬টি শাখা ও সাড়ে ১২ হাজার কর্মী নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে মারা গেছেন একজন কর্মকর্তা। করোনা উপসর্গ ও অন্যান্য রোগে গত দুই মাসে ব্যাংকটির আরো দুজন কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে অন্তত ৪০ জন কর্মকর্তার। করোনা উপসর্গে ভুগছেন আক্রান্তেরও দ্বিগুণ। অগ্রণী ব্যাংকের নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তাদের মাঝেও করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ব্যাংকটির দুজন মহাব্যবস্থাপক (জিএম) করোনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। করোনা আক্রান্তের ঝুঁকিতে আছেন অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মো. শামস্-উল-ইসলামও।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে মারা গেছেন রূপালী ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. শহিদুল ইসলাম খান রিপন। ব্যাংকটির আরো ২৫ জন কর্মকর্তার শরীরে নভেল করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এর মধ্যে রূপালী ব্যাংকের পুরানা পল্টন শাখার ডিজিএমও রয়েছেন। তবে করোনা উপসর্গ দেখা দিয়েছে ব্যাংকটির এমন কর্মীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের অনেক কর্মকর্তাই করোনা উপসর্গে ভুগছেন।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

বিদেশি ডেবিট কার্ডে অর্থ তোলা বন্ধ করল ইবিএল
এসবিএসি ব্যাংকের নতুন এএমডি নূরুল আজীম
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
বিকাশের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা মাহফুজ মারা গেছেন
ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন পর্ষদের ৩ কমিটি গঠন
ব্যাংকে চাকরির আবেদনের বয়সসীমা শিথিল
মাসিক সঞ্চয় হিসাব খোলা যাচ্ছে বিকাশ অ্যাপে
ফের এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন
অফিসার পদে ৭৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে সরকারি ৫ ব্যাংক
ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন পরিচালক হলেন যারা