বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নামবে ১ দশমিক ৬ শতাংশে : বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি নামবে ১ দশমিক ৬ শতাংশে : বিশ্বব্যাংক
করোনার এই মহামারির সময়ে সারাবিশ্বের অর্থনীতির ওপর নতুন একটি পূর্বাভাস প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। তাতে চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ধস নামার পূর্বাভাস রয়েছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ১ দশমিক ৬ শতাংশ। তারপরের অর্থবছরে আরও কম, মাত্র ১ শতাংশ।

যেখানে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে জিডিপির আকার ছিল ৭ দশমিক ৩ শতাংশ, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিল বাংলাদেশ। করোনায় কলকারখানার উৎপাদন কমে যাওয়া, রফতানি বন্ধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার কারণে অর্থনীতির এ হাল হবে।

সোমবার (৮ জুন) বিশ্বব্যাংকের ওয়াশিংটন অফিস ‘কোভিড-১৯ টু প্লাঞ্জ গ্লোবাল ইকোনমি ইনটু ওরস্ট রিসেশন সিন্স ওয়ার্ল্ড ওয়ার-২’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় মঙ্গলবার সেই প্রতিবেদন বাংলাদেশের সংবাদকর্মীদের কাছে তুলে ধরেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর সারাবিশ্বে ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কমবে। এত বড় সংকট বিশ্ব দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর আর কখনো পড়েনি।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তান জুন/জুলাইকে অর্থবছর হিসাবে গণনা করে। আফগানিস্তান, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা ক্যালেন্ডার বছরকে অর্থবছর হিসাবে গণনা করে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চলতি অর্থবছরে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকবে ভারত। সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে থাকবে মালদ্বীপ। তার পরের অর্থবছরে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকবে মালদ্বীপ এবং সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে থাকবে ভারত।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতে চলতি অর্থবছরে জিডিপি হতে পারে ৪ দশমিক ২ শতাংশ। যদিও তার পরের অর্থবছর ভারতের কোনো প্রবৃদ্ধি থাকবে না। ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩ দশমিক ২ শতাংশ ঋণাত্মক থাকবে ভারতের প্রবৃদ্ধি।

পাকিস্তানের চলতি অর্থবছর কোনো প্রবৃদ্ধি থাকবে না। ২ দশমিক ৬ শতাংশ ঋণাত্মক থাকবে তাদের প্রবৃদ্ধি। তারপরের বছর কিছুটা উন্নতি করবে। তবে প্রবৃদ্ধি হবে, ঋণাত্মক থাকবে দশমিক ২ শতাংশ।

নেপালের চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ৮ শতাংশ, তারপরের অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির আকার দাঁড়াবে ২ দশমিক ১ শতাংশে।

ভুটানের চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ১ দশমিক ৫ শতাংশ, তারপরের অর্থবছরে বেড়ে হবে ১ দশমিক ৮ শতাংশ।

অন্যদিকে ক্যালেন্ডার ভিত্তিতে হিসাব করা দেশগুলোর মধ্যে আফগানিস্তানে ২০২০ সালে প্রবৃদ্ধি হবে না। বরং ৫ দশমিক ৫ শতাংশ ঋণাত্মক থাকবে তাদের প্রবৃদ্ধি। তারপরের বছর ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি করতে পারবে তারা।

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে থাকছে মালদ্বীপ। তাদের ২০২০ সালে কোনো প্রবৃদ্ধি হবে না। বরং ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক থাকবে মালদ্বীপের। তার পরের বছর দারুণভাবে ঘুড়ে দাঁড়াবে মালদ্বীপ। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে তাদেরই সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি হবে। ২০২১ সালে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে তাদের।

২০২০ সালে শ্রীলঙ্কারও প্রবৃদ্ধি হবে না। ৩ দশমিক ২ শতাংশ ঋণাত্মক থাকবে শ্রীলঙ্কার প্রবৃদ্ধি। ২০২১ সালে তাদের কোনো প্রবৃদ্ধি হবে শূন্য। অর্থাৎ, ওই বছর তাদের প্রবৃদ্ধিও উদ্বৃত্তও থাকবে না, ঋণাত্মকও হবে না।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
গ্রাহক সংখ্যায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠান নগদ
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
প্রথম দিনেই ২ লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেলো ইভ্যালি
তিন মাসের মধ্যে সব দেনা পরিশোধ শুরু করবো
পোশাকশিল্পকে রাজনৈতিক হাতিয়ার না বানানোর অনুরোধ
এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশ