হাঁটু পানিতে ঈদের নামাজ আদায়

হাঁটু পানিতে ঈদের নামাজ আদায়
সুপার সাইক্লোন আম্ফানের আঘাতে লন্ডভন্ড খুলনার উপকূলীয় উপজেলা কয়রা। বাঁধ ভেঙেছে। ঘর ভেঙেছে। থাকার কোনো জায়গা নেই মানুষের। ঘরে পানি ঢুকে গেছে। এবার ঈদের আনন্দ নেই কয়রাবাসীর মাঝে। হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে পড়তে হয়েছে ঈদের নামাজ।

তবে এসবে অনেকটা অভ্যস্ত এই উপজেলার মানুষ। আইলায় বছরের পর বছর যখন ডুবে ছিল প্রায় গোটা এলাকা, তখনও ঈদের নামাজ পড়তে হয়েছে নৌকায় অথবা বাঁশের ঝাপির ওপরে।

কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী এলাকার বাসিন্দারা জানান, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে আর্থিক অসচ্ছলতার মধ্যে পড়া উপকূলবাসীর এবারের ঈদ উৎসব কেড়ে নিয়েছে আম্ফান। গত ২০ মে রাতে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ভয়াল থাবায় খুলনার উপকূলীয় কয়রা উপজেলা ছিন্নভিন্ন। ২৩টি বাঁধ ভেঙে সমুদ্রময় চারটি ইউনিয়ন।

লোনা পানি থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছে হাজার হাজার মানুষ। প্রতিদিনের মতো সোমবার ঈদের দিনও সদর ইউনিয়ের ২ নং কয়রা গ্রামের ক্লোজারে কোদাল হাতে বাঁধ মেরামতে হাজারও মানুষ অংশ নেন। কাজের মধ্যেই তাদের হাঁটু পানিতে ঈদের নামাজ পড়তে দেখা গেছে।

সদর ইউনিয়নে ২নং কয়রা গ্রামের ১৩/১৪-২ নম্বর পোল্ডারের কাজ শেষে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করতে আসা প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ ক্লোজারে হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে ঈদের জামাত আদায় করেন। ঈদের জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা আ খ ম তমেজ উদ্দীন।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকা‌বিলায় র‌্যাব প্রস্তুত
নববর্ষের আনন্দ যেন বিষাদের কারণ না হয়
জানুয়ারি থেকে ১০ ডলার করে রেশন পবে রোহিঙ্গারা
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা মনিটরিং সেল গঠন ইসির
ইনানী–সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু
খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দেশের ২১ শতাংশ মানুষ
ভোটের দিন ঘিরে নাশকতার তথ্য নেই
নির্বাচন ঘিরে সেন্টমার্টিনের পর্যটন বন্ধ ৩ দিন
মেট্রোরেলে মাছ-মাংস-সবজি পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা
জলবায়ু পরিবর্তনে দেশে বেড়েছে বজ্রপাত-মৃত্যু