বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রাম-বাংলার মানুষদেরকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলতে ১৫ আগস্ট ২ হাজার ২০০ জন নতুন উদ্যোক্তাদের মাঝে সহজ শর্তে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করা হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলার ১৭৪টি শাখা-উপশাখার মাধ্যমে এই বিনিয়োগ সহায়তা পেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্য, বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা নারী, নতুন নারী উদ্যোক্তা, অসহায় হতদরিদ্র মানুষ, প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্যোক্তাদের মাঝে ঋণ বিতরণ করেন এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল।
অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম আউলিয়া, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও হারুনুর রশিদ, মাইক্রোফাইন্যান্স ইউনিটের প্রধান রজমান আলী ভূঁইয়াসহ ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এসকেএস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী রাসেল আহম্মেদ লিটন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘শোক হোক শক্তি/ উন্নয়নে হবে অর্থনৈতিক মুক্তি’ স্লোগানে ২০২২ সালের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোকদিবস পালন উপলক্ষে প্রতিটি শাখা-উপশাখার মাধ্যমে অন্তত ১৫ জন করে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করে তাদেরকে ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে। এই বিশেষ ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির আওতায় অন্তত ১০ হাজার নতুন উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ সহায়তা করবে এনআরবিসি ব্যাংক। এই ঋণের সুদহার হবে মাত্র ৭ থেকে ৯ শতাংশ পর্যন্ত। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে এই কর্মসূচির উদ্বোধনী দিনে এনআরবিসি ব্যাংক-এসকেএস ফাউন্ডেশনের পার্টনারশিপ ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ২ হাজার ২০০ জন উদ্যোক্তা ৮০ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা পেয়েছেন।
এছাড়া গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে তাদের সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে সারাদেশের প্রতিটি শাখা-উপশাখায় অন্তত ১৫টি নতুন হিসাব খোলা হবে।
অনুষ্ঠানে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির মাধ্যমেই স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বর্তমানে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন পুরনে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আর স্বপ্ন বাস্তবায়নের যোগান হিসেবে এনআরবিসি ব্যাং তৃণমুল পর্যায়ের কৃষক এবং নারী পুরুষ উদ্যোক্তাদের সহায়তা দিতে কাজ করছে। শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে উদ্যোক্তা তৈরির এই বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। এবছর এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কাজ করছে এনআরবিসি ব্যাংক; যার মধ্যে নারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা মনে করেছিল, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশকে ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশে পরিণত করবে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের অর্থনীতির রোল মডেল।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম আউলিয়া বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা দিয়ে গিয়েছেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত স্বাধীন সোনার বাংলা গড়ে তোলা। সেই লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক। তাই শোক দিবসে আমরা মানুষের উন্নয়নের জন্য ব্যতিক্রমী উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছি।
এছাড়া জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে প্রধান কার্যালয়সহ সারাদেশের শাখা উপশাখার উদ্যোগে জাতির পিতা প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, বৃক্ষরোপন কর্মসূচি, খাদ্যবিতরণ, আলোচনা সভা, আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন এবং শহিদদের আত্মার মাফফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।