জানা যায়, সম্প্রতি হিমাদ্রি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিষয়টি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবহিত করা হয়েছে।
সূত্র মতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে আছে ৭ লাখ ৩৮ হাজার ২০০টি শেয়ার এবং সরকারের হাতে আছে (শেয়ারগুলো পরিত্যক্ত) ১১ হাজার ১০০টি।
ফলে কোম্পানিটির শুধু ৭০০টি শেয়ার ফ্রি ফ্লোট হিসাবে লেনদেন করছে, যা মোট শেয়ারের দশমিক ০৯ শতাংশ। এ কারণেই কোম্পানিটির শেয়ারের অস্বাভাবিকভাবে দর বাড়ছে বলে মনে করছে বিএসইসি। তাই দুই এক্সচেঞ্জ ও ওই কোম্পানিকে ১০ শতাংশ শেয়ার অফলোড করার বিষয়ে দুটি নির্দেশনা দিয়েছে বিএসইসি।
জানা গেছে, নির্দেশনা দুটি হলো: এসএমই প্ল্যাটফর্মে লেনদেনযোগ্য শেয়ার হিসেবে যোগ্যতা পেতে হলে তালিকাভুক্ত কোম্পানির কমপক্ষে ১০ শতাংশ ফ্রি ফ্লোট শেয়ার থাকতে হবে, যা স্টক এক্সচেঞ্জগুলো নিশ্চিত করবে। এ কারণে হিমাদ্রির উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা কমপক্ষে ১০ শতাংশ বা তার অধিক লেনদেনকৃত শেয়ার অফলোড করবে।
এদিকে, আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে কোম্পানিটিকে এ নির্দেশনা পরিপালন করতে হবে। এছাড়া, কোম্পানিটি বিএসইসির নির্দেশনাটি পরিপালন করছে কি না, তা দেখভালের দায়িত্ব উভয় স্টক এক্সচেঞ্জেকে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেট (ওটিসি) থেকে এসএমই প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তর করা হয় হিমাদ্রিকে। কোম্পানিটি ওটিসি মার্কেটে ২০১৪ সালের ৮ মার্চ সর্বশেষ ৮ টাকা দরে লেনদেন করে। পরবর্তীতে এসএমই প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তরের কিছুদিন পর থেকে কোম্পানিটির শেয়ার দর অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) হিমাদ্রির শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৩৫ টাকা ৩০ পয়সায়।