ডেলয়েট পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ৫৯ শতাংশ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী ঘুমোতে যাওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যে এবং ঘুম থেকে ওঠার ৩০ মিনিটের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম চেক করেন৷ প্রযুক্তির অত্যধিক ব্যবহার ঘুমের গুণমান হ্রাস, চোখ টনটন করা, মাইগ্রেন, দৃষ্টিশক্তির সমস্যাসহ নানারকম জটিলতা সৃষ্টি করে।
কম্পিউটারের সামনে বসে বসে কাজ করার ফলে যেহেতু শারীরিক পরিশ্রম হয় না। বরং ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে চিপস, ফ্রোজেন আইটেম, কোল্ডডিংক্স ঠিকই খাওয়া হয়। ফলে শরীরে জমছে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট। বাড়ছে ডায়াবেটিস, স্থূলতার ঝুঁকি।
আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়, সোশ্যাল মিডিয়াতে তো সামাজিক মিথস্ক্রিয়া হচ্ছে। পরিবার, বন্ধুরা কে কোথায় কী করছে তা দেখছি, কমেন্ট করছি। কিন্তু বাসায় সবচেয়ে কাছের মানুষগুলো ঠিক কেমন আছে সে খোঁজ কজন নিচ্ছে বা নিজের খোঁজ কেউ নিচ্ছে কিনা সেটাও ভাবা জরুরি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটাতে গিয়ে সামনের মানুষটার সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে ভুলে যাওয়ার ফলে বাড়ছে অভিমান, ভুল বুঝাবুঝি।
অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে যা পোস্ট করেন, সম্পর্কের অন্তরঙ্গতা কিংবা জীবন নিয়ে যে রকম উদ্দীপনা দেখান তা নিজের সঙ্গে না মিললে মনে হয় নিজের জীবনের উদ্দীপনা কম, আনন্দ নেই, তৈরি হয় হতাশা, হীনমন্যতা।
নিয়মিতভাবে এই ডিজিটাল ডিটক্স আইআরএল (ইন রিয়েল লাইফ) অর্থাৎ বাস্তব জীবন এবং নেট দুনিয়ার সঙ্গে একটি সুস্থ ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
মোটকথা, ডিজিটাল ডিটক্স হলো প্রযুক্তি বিচ্ছিন্ন হওয়ার মাধ্যমে জীবন সংযুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া।