মঙ্গলবার (২ আগস্ট) আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কেন্দ্রীয় ব্যাংক শাখা থেকে এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের ওই নির্দেশনায় বলা হয়, ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ২৬ ক ধারায় ব্যাংক কর্তৃক অন্য কোম্পানির শেয়ার ধারণের হিসাবায়নে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের উর্ধ্বসীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক ক্রয়কৃত মূল্যকে বাজার মূল্য হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা বাজার দরের পরিবর্তে ক্রয় মূলে গণনা করার দাবি ছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)। সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও এই দাবিতে সরব ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের তৎকালীন সচিব ও বর্তমান গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। তবে তৎকালীন গভর্নরের অনীহার কারণে এতদিন বিষয়টি অমীমাংসিত ছিল।
আব্দুর রউফ তালুকদার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হওয়ার পর ব্যাংকের বিনিয়োগসীমার বিষয়টি আবারও আলোচনায় আসে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের দাবি এবং বর্তমান গভর্নর ও বিএসইসি চেয়ারম্যান আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে গত ২৬ জুলাই বিষয়টি নিয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর প্রেক্ষিতে আজ ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা ক্রয় মূল্যে নির্ধারণ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।