সোমবার (১ আগস্ট) এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি সার্কুলার জারি করে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, অনাবাসী বৈদেশিক মুদ্রার বেঞ্চমার্ক রেফারেন্স রেটের সঙ্গে নতুন করে দেওয়া সুদের হার যোগ হবে। তাতে এক থেকে তিন বছর মেয়াদি ডলার আমানতের ওপর বেঞ্চমার্ক রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ২ দশমিক ২৫ শতাংশ সুদহার প্রযোজ্য হবে। অন্যদিকে ৩ থেকে ৫ বছর পর্যন্ত সময়ের জন্য বেঞ্চমার্ক রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ সুদ যোগ হবে।
আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এসওএফআর একাডেমির তথ্যানুযায়ী, ডলারের জন্য বেঞ্চমার্ক রেফারেন্স রেট হিসেবে বিবেচ্য এসওএফআর হার এখন ২ দশমিক ২৭ শতাংশ, যার গত ৩০ দিনের গড় হলো ১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। বর্তমান হার হিসেবে এক বছর থেকে তিন বছর পর্যন্ত ডলারে আমানতের ক্ষেত্রে মোট সুদ দাঁড়াবে ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। তবে ৩০ দিনের গড় হিসেবে সুদ কমে দাঁড়াবে ৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
এদিকে তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত সময়ের জন্য বর্তমান বেঞ্চমার্ক রেফারেন্স রেটের সঙ্গে ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ যোগ হলে মোট সুদ দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৫২ শতাংশ। তবে ৩০ দিনের গড় করলে সেটা কমে দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ। অর্থাৎ ডলারে আমানত রাখলে মেয়াদভেদে সুদের হার গড়ে ৪ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে থাকবে। সময়-সময় পরিবর্তন হলেও এই হার ওঠানামার গতি তুলনামূলকভাবে কম। তবে ডলারে আমানত না রেখে অন্য মুদ্রায় রাখলে ভিন্ন হিসাব কার্যকর হবে।
এ হিসাবে সুদের হার আগে দেওয়া হতো ইউরোপীয় একক মুদ্রা ইউরোর সুদের হারের সঙ্গে দুই থেকে আড়াই শতাংশ সুদ যোগ করে। সম্প্রতি রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ইউরোর দাম ব্যাপকভাবে কমে যায়। একই সঙ্গে এর সুদের হার হারও শূণ্যে নেমে আসে। এ কারণে প্রবাসীরা এ হিসাবে অর্থ জমা করে লোকসানে পড়ার আশংকা দেখা দেয়।
এ পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত ১৭ জুলাই এক সার্কুলার জারি ওই হিসাবে ইউরোতে সুদ দেওয়ার পরিবর্তে তা ব্যাংকগুলোর উপর ছেড়ে দেয়। কিন্তু ব্যাংকগুলো এ হিসাবে সুদের হার বাড়াচ্ছিল না। তারা ২ থেকে ৩ শতাংশ সুদ দিচ্ছিল। কোন কোন ব্যাংক ৪ শতাংশ দিচ্ছিল। এতে প্রবাসীদের সঞ্চয় প্রবাহ কমে যেতে পারে বলে আমংকা তৈরি হয়। এ কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এতে সর্বনিম্ন সুদ বেধে দিয়েছে।