রোববার (৩১ জুলাই) ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) আয়োজিত ‘ সিএমজেএফ টক উইথ বিএসইসি চেয়ারম্যান’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় সিএমজেএফের সভাপতি জিয়াউর রহমান ও সাধারন সম্পাদক আবু আলীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিবের উপস্থিতিতে আমরা এ বিষয়ে আলাপ আলোচনা করেছি। বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন আছে। বর্তমান গভর্নর যখন অর্থসচিব ছিলেন তখন আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত প্রেরণ করেছিলাম। উনার সুপারিশ নিয়ে তখনই এ কাগজপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের উপরের মহল ঠিক থাকলেও নিচের মহল থেকে কিছু কর্মকর্তা বিষয়টিকে নেতিবাচক ভাবে উপস্থাপন করার কারণে সাবেক গভর্নর এই বিষয়ে আর সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, মিউচুয়াল ফান্ড অনুমোদন দেওয়ার সময় সবকিছু দেখে দেই। এগুলো যারা ম্যানেজড করে ওরা প্রফেশনাল। মিউচুয়াল ফান্ড গত দুই-তিন বছর ধরে ১০ থেকে ১৮ শতাংশ পর্যন্ত লভ্যাংশ দিয়ে থাকে। তাই যারা ঝুঁকি নিতে চায়না তারা এসব ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, অনেকে ক্যাপিটাল মার্কেট বলতে শুধু সেকেন্ডারি মার্কেটকে বুঝে। এই মার্কেট বুঝতে পড়াশোনা করার দরকার আছে। নতুন নতুন প্রোডাক্ট পুঁজিবাজারে আসার পথে রয়েছে। এগুলো আসলে বাজার আরও ভালো হবে।
পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইজ সম্পর্কে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা নিজেরাও মনে করি ফ্লোর প্রাইজ দেওয়া উচিত না। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষায় আমরা এটি করেছি।
ক্যাপিটাল ম্যার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডে (সিএমএসএফ) অবন্টিত লভ্যাংশ না দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, যারা এখনো দেয়নি, তাদেরকে জরিমানাসহ আগামিতে দিতে হবে। এটা অনেকটা দৈনিক ভিত্তিতে সুদগণনার ন্যায় হবে। এলক্ষ্যে গেজেট প্রকাশের জন্য কাজ করা হচ্ছে।
আয়ের থেকে শাস্তি কম প্রদানের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদেরকে অনেক পুরাতন অভিযোগ দেখতে হচ্ছে। যা ১০-১৫ বছর আগেরও আছে। তারপরেও আমরা বিগত ২ বছরে যে পরিমাণ শাস্তি প্রদান করেছি, তা এর আগের ১০ বছরেও করা হয়নি। এরমধ্যে আবার করোনায় সবার ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার দিকটিও বিবেচনা করতে হচ্ছে।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ভালো কোম্পানি আনার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। তবে সবাই চায় ভালো অ্যাকাউন্টস জমা দিয়ে আসতে। এ কারনে অনেকে আসার জন্য অপেক্ষা করছে। হয়তো জুন ক্লোজিংয়ের হিসাবে কয়েকটি ভালো কোম্পানির আবেদন জমা পড়তে পারে। তবে আমরা যখন ভূয়া অ্যাকাউন্টস বুঝতে পারি, তখন সেসব আইপিও ফাইল বাতিল করে দেই।
এছাড়াও তিনি বলেন, কিছু কোম্পানি অনেকদিন ধরে বন্ধ। এতে অনেক বিনিয়োগকারীর টাকা আটকে গেছে। অনেক আগে থেকে কোম্পানিগুলো ওটিসি মার্কেটে পড়ে ছিলো। এগুলোর বিষয়ে এতদিন কেউ খোঁজ রাখেনি। তবে এসব বন্ধ কোম্পানিগুলো এখন অনেক ভালো প্রতিষ্ঠান কিনে নিচ্ছে। ফলে তারা ভালো অবস্থানে যাচ্ছে।