লাইফস্টাইল
টমেটো ফ্লুতে বেশী আক্রান্ত হচ্ছেন শিশুরা

বিশ্বজুড়ে এখনো করোনার সংক্রমণ চলমান। অন্যদিকে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ তো আছেই। এরই মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে টমেটো ফ্লু। ভারতের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে এই ফ্লু। এতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরাই আক্রান্ত হচ্ছে টমেটো ফ্লুতে।
এর লক্ষণ হিসেবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জ্বর, গায়ে হাত-পা ব্যথা, ত্বকের সংক্রমণের মতো একাধিক উপসর্গের কথা। টমেটো ফ্লুর জন্য দায়ী ভাইরাস শিশুর শরীরে প্রবেশ করলে তা গুরুতর সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ সময় শিশুর জ্বর-সর্দি-কাশির সমস্যা মোটেও স্বাভাবিকভাবে নেবে না। কয়েকটি উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন-
টমেটো ফিভার বা টমেটো ফ্লু শরীরে বাসা বাঁধলে সবার আগে শিশুদের জ্বরের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। এর সঙ্গে নাক দিয়ে পানি পড়া কিংবা কাশির সমস্যা দেখলে সতর্ক হন ও চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।
টমেটো ফ্লুর আরও উপসর্গের মধ্যে আছে- শিশুর খেতে অনীয়হা, বমি বমি ভাব কিংবা বমি। এছাড়া পেট ব্যথাও হয় এই ফ্লু শরীর বাসা বাঁধলে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করলে প্রথম ৩দিন থেকে উপসর্গ দেখা যায়।

জ্বরের সঙ্গে ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দেয় টমেটো ফিভারের কারণে। শিশুর যদি পেটের সমস্যা হয় কিংবা তার সঙ্গে জ্বর থাকে তাহলে বিষয়টি উপেক্ষা করবেন না। করোনা কিংবা মাঙ্কি পক্সের মতো সমস্যার ক্ষেত্রেও ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দেয়। তাই জ্বরের সঙ্গে পেটের সমস্যা হতে তৎক্ষণাত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
টমেটো ফ্লুর ক্ষেত্রেও ত্বকে ফুসকুড়ি বা ফোসকা হয়। যদি শিশুর ত্বকে লাল লাল ফুসকুড়ি, ছাল ওঠা কিংবা চুলকানিভাব দেখেন তাহলে ফেলে রাখবেন না। কারণ এসব হতে পারে টমেটো ফ্লুর লক্ষণ।
টমেটো ফ্লু মাঙ্কিপক্স কিংবা করোনার মতো ভয়ংকর কি না তা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন উঠেছে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা ততটা ভয়ংকর নয়। তবে সঠিক চিকিৎসার আওতায় নিতে হবে রোগীকে। না হলে বিপদ হতে পারে। কারণ শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। আর ভাইরাস এ সুযোগেই শিশু শরীরে তাণ্ব চালায়।
এমন রোগে আক্রান্ত হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খাওয়ান। সঙ্গে শিশুকে প্রচুর পানি পান বরান। শিশুকে আলাদা রাখুন। পাশাপাশি পরিবারের সবাইকেই সতর্ক থাকতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

লাইফস্টাইল
স্কচটেপ লাগানোর দিন আজ

ছেঁড়া টাকা জোড়া লাগানো, দরকারি কাগজ জুড়ে দেওয়া, উপহারের প্যাকেট মোড়ানো ইত্যাদি টুকিটাকি কাজে বস্তুটি বেশ দরকারি। তাই পড়ার টেবিল, ঘর, কর্মস্থল কিংবা বিপণিবিতান সবখানেই প্রায় অবধারিতভাবেই জিনিসটা থাকে। হ্যাঁ, সেলোটেপের কথাই বলছি, আমাদের কাছে যা স্কচটেপ নামেই অধিক পরিচিত। একটা ছোট্ট পার্থক্য অবশ্য আছে। স্কচটেপ পণ্যের ব্র্যান্ড নাম, সাধারণ নাম নয়। যুক্তরাষ্ট্রের থ্রি-এম কোম্পানির একটি ব্র্যান্ড এটি। ওই কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার রিচার্ড গুরলে ড্রিউ ১৯৩০-এর দশকে পণ্যটি উদ্ভাবন করেন। নানামুখী ব্যবহারের কারণে উদ্ভাবনের পরপরই এটি তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়ে যায়। বিশেষত সে সময় যুক্তরাষ্ট্রে চলমান মহামন্দায় স্কচটেপ দিয়ে জোড়া দেওয়া ছেঁড়া নোট গ্রহণ করা শুরু হয়।
সেলোফেন দিয়ে তৈরি হয় এই টেপ। সেলোফেন একধরনের প্রক্রিয়াজাত সেলুলোজ, যার ফলে এই স্কচটেপ স্বচ্ছ ও আঠালো হয়ে থাকে।
আজ ২৭ মে, সেলোফেন টেপ বা স্কচটেপ দিবস। ১৯৩০ সালের এই দিনে পণ্যটি পেটেন্ট করা হয়েছিল। এ জন্য দিনটিকে স্মরণ করে প্রতিবছর স্কচটেপ দিবস পালন করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ডায়াবেটিস রোগীদের জীবনযাত্রা সহজ করছে প্রযুক্তি

এক বছর আগে ফেলিনার ডায়াবিটিস টাইপ ওয়ান ধরা পড়েছে। একটি অ্যাপের মাধ্যমে তার ইনসুলিনের ডোজ নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
ফেলিনার মা আনে ফারেনহলৎস বলেন, ‘এবার আমরা দেখছি, দুপুরের খাবারের পর মাত্রা উপরে চলে গেছে। কার্বোহাইড্রেটের ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে, যে সে সোয়া এগারোটার মধ্যেই খেয়েছে। প্রত্যাশা অনুযায়ী শর্করার মাত্রা আবার কমে গেছে।’
ফেলিনার গ্লুকোজের মাত্রা সারা দিন ভালোই ছিল। সবকিছু ঠিকমতো চলছে। এবার বাসায় ফেরার পালা। ইনজেকশন দিলে ব্যথা হয়, ঝামেলাও বটে। তবে দিনে আট, দশ, বারো বার ব্লাড সুগার মাপা আনে ও ফেলিনার মতো ডায়াবেটিসের রোগীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু এখন এক বা দুই দিন পর পর মাপলেই চলে। তাদের পরিমাপের যন্ত্র নিখুঁতভাবে কাজ করছে কিনা, শুধু সেটা নিশ্চিত করার জন্যই এই কাজ করতে হয়।
ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ উলরিকে টুয়র্মের কল্যাণেই আনে ফারেনহলৎস এই প্রযুক্তির কথা জানতে পারেন। অন্তঃসত্ত্বা হবার আগে থেকেই উলরিকে টুয়র্ম তার চিকিৎসা করে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘ডায়াবেটিস প্রযুক্তি অবিশ্বাস্য গতিতে ধারাবাহিকভাবে গ্লুকোজ মনিটরিং-এর উন্নতি ঘটাচ্ছে। মানুষের জীবনের মানের জন্য সেটা বড় এক আশীর্বাদ।’
গত কয়েক বছরের সবচেয়ে বড় অগ্রগতি হলো, ধারাবাহিক গ্লুকোজ মনিটারিং-এর তথ্যের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে সরাসরি এক ইনসুলিন পাম্প নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে।
আনে বলেন, ‘আমি সহজেই এই পাম্প ব্যবহার করতে পারি, সামনেই সেটা রয়েছে। ছোট হওয়ায় আর কোনো সমস্যা নেই।’
অটোম্যাটিক ইনসুলিন ডোজিং বা এআইডি প্রণালী একটি লাইভ পরিমাপ যন্ত্রের সাথে এক ইনসুলিন পাম্পের সংযোগ ঘটায়। স্মার্টফোনের মতো ডিভাইসে এক অ্যালগোরিদম সেটা নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রতি পাঁচ মিনিট অন্তর গ্লুকোজের মাত্রা মেপে সেই তথ্যের ভিত্তিতে অ্যালগোরিদম পাম্পের মাধ্যমে ঠিক ততটা ইনসুলিন শরীরে প্রবেশ করায়, যাতে তার মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে ৭০ থেকে ১৮০ মিলিগ্রামের মধ্যে থাকে। তা সত্ত্বেও হাইপারগ্লাইসেমিয়া বা হাইপোগ্লাইসেমিয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে রিসিভিং ডিভাইস অ্যালার্ম বাজায়, যাতে ঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া যায়। ফেলিনার এবার মিষ্টি কিছু খেতে হবে।
ফেলিনার মা আনে ফারেনহলৎস বলেন, ‘সিস্টেম এত আগে সতর্ক করে দেয়, যে সে কখনোই পুরোপুরি কাহিল হয়ে পড়ে না এবং সে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার কবলে পড়ে না। শুধু তার অদ্ভুত অনুভূতি হয়। তবে কাঁপুনির মতো অন্য উপসর্গ বা অজ্ঞান হয়ে পড়ার মতো মারাত্মক অবস্থা এখনো ঘটেনি।
ফেলিনা ছোট হলেও লাফঝাঁপ করতে, বিশেষ করে অ্যাক্রোব্যাটিক্স খুব ভালোবাসে। এআইডি সিস্টেম সে সব সামলে নেয়।
ফেলিনা বলে, শুধু রাতে নতুন করে লাগানো হলে সকালে ব্যথা হয়।
তার ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ব্লাড সুগার পরিমাপ যন্ত্রের বাজারের গতি প্রকৃতির উপর কড়া নজর রাখেন। আনে ও তার মেয়ের কাছে অত্যন্ত আধুনিক সরঞ্জাম রয়েছে।
উলরিকে টুয়র্ম বলেন, ‘এই প্রণালী বর্তমানে সবচেয়ে উন্নত বলে আমি মনে করি। কারণ এটাই একমাত্র সিস্টেম, যেটি অন্তঃসত্ত্বা নারী ও ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে প্রয়োগের অনুমোদন পেয়েছে। ফলে ফেলিনা শুরু থেকেই সেটি ব্যবহার করতে পারছে।’
এই ধরনের ডায়াবেটিস এখনো নিরাময় করা সম্ভব নয়। মায়ের মতো ফেলিনাকেও হয়তো সারা জীবন এই রোগ সামলাতে হবে। কিন্তু স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে শরীরে প্রয়োজনীয় মাত্রায় ইনসুলিন ঢোকানোর প্রণালী তাদের জীবন অনেক সহজ করে তুলছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ফরমালিন দেওয়া আম চিনবেন যেভাবে

ফরমালিন দেওয়া আমে বাজার সয়লাব হওয়ায় ক্রেতারা দশবার ভাবেন আম কিনবেন কি-না। তবে বাজারে সব আমই ফরমালিন দেওয়া তা নয়। একটু দেখে নিলে ফরমালিন দেওয়া আম চিনে নেওয়া সম্ভব। সেটা কিভাবে? চলুন জেনে নেই:
গন্ধ পাচ্ছেন কি-না
ফরমালিন দেওয়া আমে ঝাঁঝালো ঘ্রাণ থাকে। কিন্তু গাছে পাকা আমে বোটার কাছে মিষ্টি ঘ্রাণই বলে দেবে ফরমালিন দেওয়া কি-না।
মাছি উড়ছে না
কে ভেবেছিল মাছি কাজে আসতে পারে। ফরমালিন দেওয়া আমে সচরাচর মাছি বসে না। রাসায়নিক থাকলে মাছি সচরাচর ঘুরঘুর করে না।
মসৃণ ও নিঁখুত সবসময় ভালো নয়
গাছেপাঁকা আমে কিছুটা দাগ থাকবেই। ফরমালিন দেওয়া আমের খোসা হয় চকচকে এবং সচরাচর তা মসৃণ হয়।
আমে সাদাটে ভাব থাকা খারাপ নয়
গাছেপাঁকা আমের গায়ে সাদাটে ভাব থাকে। অনেকে এটাকে খুঁত ভাবেন৷ বরং এটাই ভালো। ফরমালিন দেওয়া আমে আপনি এমন সাদাটে দাগ পাবেন না।

স্বাদ নেই
ফরমালিন দেওয়া আমে টক বা মিষ্টি কোনো স্বাদ পাবেন না। বরং কেমন পানসে মনে হবে। আমের সৌরভ আর ঘ্রাণও পাওয়া যাবে না।
পানিতে ডোবা পদ্ধতি
বাজার থেকে আম কিনে ফেললেন। এবার পরীক্ষা করবেন কিভাবে। আম বালতির পানিতে রাখুন। যদি তা ডোবে তাহলে বুঝবেন স্বাভাবিক নিয়মে পেকেছে। না ডুবলে ফলাফলটা তো বুঝতেই পারছেন।
আমের গায়ে চাপ দিন
অনেক সময় পাকা আম শক্ত লাগে। হাত দিয়ে চাপ দিলে নরম মনে হওয়া খারাপ হয়। বরং শক্ত থাকা মানে ফরমালিন দেওয়া হয়েছে৷
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
বিশ্ব মা দিবস আজ

মে মাসের দ্বিতীয় রোববার ‘বিশ্ব মা দিবস’ পালিত হয়। সেই হিসাবে আজ ১৪ মে বিশ্ব মা দিবস। বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশেই পালিত হয় দিনটি।
কবি কাজী কাদের নেওয়াজ তার ‘মা’ কবিতার মধ্য দিয়ে মমতাময়ী ও জন্মদাত্রী মায়ের বিশালত্বকে তুলে ধরতে চেয়েছেন। কবির ভাষায়- “মা কথাটি ছোট্ট অতি কিন্তু জেনো ভাই,/ইহার চেয়ে নাম যে মধুর ত্রিভুবনে নাই/ সত্য ন্যায়ের ধর্ম থাকুক মাথার’ পরে আজি/ অন্তরে মা থাকুক মম, ঝরুক স্নেহরাজি।”
‘মা’ ছোট্ট একটি শব্দ কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে মধুরতম ডাক। ছোট্ট এ শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা আর অকৃত্রিম ভালোবাসা। তাইতো মমতাময়ী মায়ের সম্মানে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার ‘বিশ্ব মা দিবস’ পালন করা হয়। তবে অনেকের মতে, মাকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাতে কোনো দিনক্ষণ প্রয়োজন হয়। মায়ের প্রতি প্রতিদিনই সন্তানের ভালোবাসা থাকে।
জানেন কি? আজ থেকে বহু বছর আগে এভাবেই এক মেয়ে তার মায়ের জন্য প্রবর্তন করেছিলেন মা দিবস। ১৯০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আনা জারভিস নামের নারী মারা গেলে তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জারভিস মায়ের কাজকে স্মরণীয় করে রাখতে সচেষ্ট হন।
ওই বছর তিনি তার সান ডে স্কুলে প্রথম এ দিনটি মাতৃদিবস হিসেবে পালন করেন। ১৯০৭ সালের এক রোববার আনা মারিয়া স্কুলের বক্তব্যে মায়ের জন্য একটি দিবসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। আনা জার্ভিস ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর ও ওহাইওর মাঝামাঝি ওয়েবস্টার জংশন এলাকার বাসিন্দা।

তার মা অ্যান মেরি সারাজীবন অনাথদের সেবা করে জীবন কাটিয়েছেন। ১৯০৫ সালে মারা যান মেরি। অনাথদের জন্য মেরির উৎসর্গিত জীবনের কথা অজানাই থেকে যায়। লোকচক্ষুর আড়ালে কাজ করা মেরিকে সম্মান দিতে চাইলেন তার মেয়ে আনা জার্ভিস।
জার্ভিস নতুন এক উদ্যোগ নেন। মা অ্যান মেরির মতো ছড়িয়ে থাকা সব মাকে স্বীকৃতি দিতে আনা জার্ভিস প্রচার শুরু করেন। সাত বছরের চেষ্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায় ‘মা দিবস’। ১৯১১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যে মা দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।
ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যে ‘মাদারিং সানডে’ নামের এক অনুষ্ঠান পালন করা হত। যা মূলত ছিল মায়েদের সম্মান প্রদর্শনের জন্য। এছাড়াও বিভিন্ন সময় মাকে সম্মান জানাতে বিভিন্ন জাতি এমন অনেক আচার অনুষ্ঠান পালন করত। তবে আধুনিককালে ১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে ‘মা’ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
এভাবেই শুরু হয় মা দিবসের যাত্রা। এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার পাশাপাশি মা দিবস এখন বাংলাদেশসহ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়া ও জার্মানসহ শতাধিক দেশে মর্যাদার সঙ্গে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
চাইলে আজ দিনটি বরাদ্দ করতে পারেন আপনার মায়ের জন্য। বছরের অন্যান্য দিনগুলো মাকে ভালোবাসি বলতে না পারলেও আজ বলুন। মায়ের সঙ্গে সময় কাটান। উপহার দিতে পারেন মায়ের কোনো পছন্দের কিছু। একদিনের একটু ছোট্ট ট্যুর দিয়ে আসতে পারেন মাকে নিয়ে কিংবা একসঙ্গে ডিনার করলেন মায়ের পছন্দের কোনো রেস্তোরাঁয় তার প্রিয় খাবারগুলো দিয়ে।
অর্থসংবাদ/এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কে, কেন ও কীভাবে করেন?

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি যখন তখন ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। যার নাম দেওয়া হয়েছে মোখা। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরও শক্তিশালী হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে।
এটি ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে বুধবারের (১০ মে) মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’য় রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা।
ঘূর্ণিঝড়ের নাম মোখা হয়েছে কেন?
এটি একটি অঞ্চলের নাম। ইয়েমেনের একটি অঞ্চলের নাম ছিল মোচা বা মোখা। এই অঞ্চলের নামেই নামকরণ করা হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের নাম। জানা যায়, ৫০০ বছর আগে মোখা অঞ্চলই ছিল আধুনিক বিশ্বের কফির প্রচলনকারী প্রথম স্থান।
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয় কেন?

ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়, যাতে মানুষ ঝড়ের কথা মনে রাখতে ও শনাক্ত করতে পারেন। একটি নাম দিয়ে সচেতনতা তৈরি ও সতর্কতা প্রেরণ করা যেন সহজ হয় সে কারণেই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়।
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয় কীভাবে?
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা যেমন- বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডাব্লিউএমও), এশিয়ার জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়।
এছাড়া আঞ্চলিক বিশেষায়িত আবহাওয়া কেন্দ্র (আরএসএমসি), পাশাপাশি ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রগুলোও ঘূর্ণিঝড়ের নাম প্রস্তুত করে।
ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) বিশ্বের ছয়টি আরএসএমসি’র মধ্যে আছে, যেগুলোকে উত্তর ভারত মহাসাগর অঞ্চলে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
ডাব্লিউএমও ও ইউএন এসকেপ (ইএসসিএপি) ভারত, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান ও ওমান নিয়ে গঠিত।
২০১৮ সালে ডাব্লিউএমও ও এসকেপ আরও পাঁচটি দেশকে অন্তর্ভুক্ত করেছে- ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন।
কে ঘূর্ণিঝড়ের নাম প্রস্তাব করেন?
ডাব্লিউএমও এর তথ্য অনুসারে, আটলান্টিক ও দক্ষিণ গোলার্ধে (ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর), গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম বর্ণানুক্রমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়।
এক্ষেত্রে দেশ ও লিঙ্গ নিরপেক্ষ হিসেবে নারী ও পুরুষদের নামে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হতে পারে।