সুত্র জানায়, ব্যাংকিং রেগুলেশন বিভাগে থাকাকালে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত শেয়ারবাজার বিষয়ক বিভিন্ন বৈঠকে উপস্থিত থাকতেন আমিনুর রহমান। এর প্রেক্ষিতে তিনি শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমাসহ অনেক ইস্যুতে বিতর্কিত ভূমিকা পালন করেছেন। ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা শেয়ারবাজারের উন্নয়নের বাধা মনে করতেন এই কর্মকর্তাকে।
আমিনুর রহমানের বিতর্কিত কার্যকলাপের জন্য বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনোয়োগকারী ঐক্য পরিষদ বিভিন্ন সময় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছিলেন। বিনিয়োগকারীদের মতে- বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর বিনিয়োগকারীবান্ধব অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তবে আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে বরাবরের মতোই কমিশনের ইতিবাচক সিদ্ধান্তের বিপরীতে ব্যাংকের বিনিয়োগ ইস্যুতে নেতিবাচক ভুমিকা রাখার অভিযোগ উঠে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এবং দেশের পুঁজিবাজার।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আব্দুর রউফ তালুকদার। তিনি যখন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ছিলেন তখন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম তার সঙ্গে শেয়ারবাজারসহ দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করতেন। তাদের মধ্যে দেশের অর্থনীতির স্বার্থে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সম্পর্ক খুবই ভালো। যে কারনে বিএসইসি চেয়ারম্যানের ডাকে অর্থসচিব থাকাকালে সহযোগিতার সর্বোচ্চ চেষ্টাও করেছেন আব্দুর রউফ। তবে তার গভর্নরের নিয়োগের মাধ্যমে আগের চেয়ে অনেক বেশি উপকৃত হবে শেয়ারবাজার। যার নিয়োগে বিনিয়োগ সীমার জটিলতাসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের শেয়ারবাজার নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব লাঘব হয়েছে বলে মনে করেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা।