বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ঈদের পর থেকেই পতন চলছে দেশের পুঁজিবাজারে। টানা ৯ দিন পতনের পর মাত্র ২ দিন সূচকের উত্থান হলেও তা ধরে রাখতে পারেনি বাজার। যার ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে হতাশা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার বিভিন্ন রকম আশা দিলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দেশের পুঁজিবাজারে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্দেশে বলা হয়, আজকেরসহ বিগত ৫ দিনের ক্লোজিং প্রাইসের গড় দর হবে প্রতিটি সিকিউরিটিজের ফ্লোর প্রাইস। আগামীকাল থেকে এর উপরে সিকিউরিটিজের দর স্বাভাবিক হারে উঠানামা করতে পারবে। তবে ফ্লোর প্রাইসের নিচে নামতে পারবে না। তবে কোম্পানির বোনাস শেয়ার বা রাইট শেয়ারের কারনে ফ্লোর প্রাইসে থাকা সিকিউরিটিজের দর সমন্বয় হবে। নতুন শেয়ারের ক্ষেত্রে প্রথম দিনের লেনদেনের ক্লোজিং প্রাইসকে ফ্লোর প্রাইস হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
কোনো কোম্পানি বোনাস লভ্যাংশ দিলে, রেকর্ড তারিখের আগের দিনের শেয়ারের মূল্যের সাথে সেটি সমন্বয় করে নতুন ফ্লোর প্রাইস হবে। নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের ক্ষেত্রে প্রথম দিনের লেনদেনের ক্লোজিং মূল্য হবে ওই শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আজ (২৮ জুলাই) কমে ৬ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমে আছে। একই সঙ্গে এদিন লেনদেন কমেছে ৩০০ কোটি টাকার বেশি।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) এক্সচেঞ্জটির প্রধান সূচক ‘ডিএসই এক্স’ আগের দিনের তুলনায় ৫৭ পয়েন্ট কমেছে। ফলে সূচকটি ছয় হাজারের ঘর থেকে নেমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৯৮০ পয়েন্টে।
২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট প্রথমবারের মতো ছয় হাজার পয়েন্ট স্পর্শ করেছিল ‘ডিএসই এক্স’। এরপর ২০২১ সালের ২৭ জুন সূচকটি ছয় হাজারের নিচে নামে। তিন মাসে মাথায় গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর সূচকটি সাত হাজারের মাইফলক স্পর্শ করে। আর ১০ অক্টোবর সূচকটি সর্বোচ্চ অবস্থানে যায়। সেদিন লেনদেন শেষে ‘ডিএসই এক্স’ ছিল ৭ হাজার ৩৬৭ পয়েন্টে। আজ বড় পতনের কারণে সূচকটি আবারও ছয় হাজারের নিচে নেমে এসেছে।