অর্থসংবাদের পাঠকদের জন্য স্ট্যটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
বাংলাদেশি প্রবাসীদের একটি অংশ, বিদেশেও সামর্থবান। দেশে তাদের বিনিয়োগের সক্ষমতা ও ইচ্ছা দুটিই রয়েছে। কিন্তু নানা কারণে তারা বাংলাদেশের উপর বিরক্ত। এরমধ্যে অধিকাংশ প্রবাসীর কমন একটি সমস্যা দেশে থাকা তাদের জমি-জমা সহায় সম্পত্তি দখল হয়ে যাচ্ছে। আত্মীয় স্বজন এবং পাড়া প্রতিবেশিরাই এ কাজ করছে। এমনিতেই বিদেশ যাওয়ার সময় সহায় সম্পত্তির একটি অংশ বিক্রি করে দিতে হয়। এরপর যা বাকী থাকে, তাও দখল হয়ে যায়।
নিউইয়র্কের কাওরানবাজার শপের মালিক বুলবুল। সেখানে ৪টি বিশাল ডিপার্টমেন্টাল স্টোর রয়েছে তার। অনেক মানুষের কর্মসংস্থান। কিন্তু বাংলাদেশের সব সম্পত্তি দখল হয়ে গেছে। তিনি জানান-আইনের আশ্রয় নিতে চাইলেও তেমন কোনো লাভ হয় না। কারণ তারা স্বল্প সময়ের জন্য দেশে আসেন। ফলে আইনি প্রক্রিয়ায় যে সময় লাগে, ওই পরিমাণ সময় তাদের কাছে থাকে না।
দ্বিতীয়ত কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ বলে, আপনিতো দেশে থাকেন না। পাড়া প্রতিবেশিকে সম্পত্তিটুকু দান করে যান। কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রতিকার চাইতে গেলেও বিদেশ থেকে এসেছে, এটি শুনলে পুলিশের রেটও কয়েকগুন বেড়ে যায়। শুধু বুলবুল নয়, এ রকম হাজারও অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশ দূতাবাসে। প্রবাসীদের বক্তব্য হলো দেশের নীতি নির্ধারকরা তাদের নিয়ে অনেক কথা বলেন। দেশের গর্ব, রেমিট্যান্স যোদ্ধাসহ নানা উপাধী দেওয়া হয়। কিন্তু বিদেশ যাওয়া থেকে শুরু করে কোনো ক্ষেত্রে সরকারের তেমন সহযোগিতা মেলে না।
তাদের মতে, বাংলাদেশের মানুষ কাজ করতে চায় না। প্রবাসী ও বিদেশিরা এয়ার পোর্টে নামার পর টয়লেটে গেলেও পেছনে দুইজন বকশিশের জন্য দাঁড়িয়ে থাকে। এতে দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। বাংলাদেশে অর্থনৈতিকভাবে যে উন্নয়ন হচ্ছে, তার সঙ্গে এসব যায় না। বিদেশিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য না আসার, এটাও একটা কারণ।