শেয়ারবাজারের মন্দা পরিস্থিতি কাটাতে সাধ্যমত কাজ করা উচিৎ: ডিবিএ

শেয়ারবাজারের মন্দা পরিস্থিতি কাটাতে সাধ্যমত কাজ করা উচিৎ: ডিবিএ
শেয়ারবাজারের মন্দা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে যার যার অবস্থান থেকে সাধ্যমত কাজ করে যাওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সদস্যরা।

সোমবার (২৫ জুলাই) পুঁজিবাজারের সকল স্টক ব্রোকারদের নিয়ে মতিঝিলে অবস্থিত ডিএসই ব্রোকার্স ক্লাব মিলনায়তনে ঈদ পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বক্তারা এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে এসোসিয়েশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও পরিচালকসহ উর্ধতন সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ডিবিএর প্রেসিডেন্ট রিচার্ড ডি’ রোজারিওর সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাজিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত সদস্যগণ বর্তমান পুঁজিবাজার পরিস্থিতি ও ব্রোকারদের বিদ্যমান নানান সমস্যা নিয়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।

এসময় বাজার পরিস্থিতি নিয়ে তারা বলেন, বাজারের বর্তমান সংকট দীর্ঘস্থায়ী নয়, এটি সাময়িক। খুব শীর্ঘই বাজার আবার ইতিবাচক ধারায় ফিরবে। তাই বাজারের বিরাজমান মন্দা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে আমাদের যার যার অবস্থান থেকে সাধ্যমত কাজ করে যাওয়া উচিৎ। আমরা ব্রোকারগণ বাজারের দূর্দিনে অতীতে বাজার ছেড়ে যাইনি, বরং বাজারকে বিভিন্নভাবে সহায়তা দিয়ে একে কার্যকর রেখেছি।

তারা আরও বলেন, এই খাত থেকে আমরা ব্রোকারগণ সরকারকে নিয়মিত রাজস্ব প্রদান করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করছি। কিন্তু আজ ব্রোকারগণ চরমভাবে নিগৃহীত ও অবহেলিত। এমনিতে আমরা বিগত বহু বছর যাবৎ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। সাম্প্রতিক মন্দাবাজার পরিস্থিতি ও শেয়ারের টানা দরপতনের ফলে দৈনন্দিন ট্রেড কমে গিয়ে আমরা অফিস পরিচালনা ব্যয় মেটাতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছি। তার উপর বিভিন্ন সনদ নবায়নে বিএসইসি ও ডিএসই কর্তৃক ব্রোকারদের উপর আরোপিত অস্বাভাবিক ফি আমাদের মরার উপর খাড়ার ঘা হয়েছে।

ব্রোকারগণ পুঁজিবাজারে তাদের কার্যক্রম ও সেবার মান ধরে রাখতে ডিপি সনদ নবায়ন ফি ২ লক্ষ টাকা থেকে কমিয়ে পূর্বের ৪ হাজার টাকার সাথে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করা, স্টক-ডিলার ও স্টক-ব্রোকার সনদ নবায়ন ফি ৫০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে পূর্বের ১০ হাজার টাকার সাথে অতিরিক্ত ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করা এবং ট্রেক সনদ ফি ১ লক্ষ টাকা থেকে কমিয়ে পূর্বের ৫০ হাজার টাকায় বহাল রাখার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে তা সমাধানে ডিবিএর প্রতি জোর দাবি জানায়।

এ সময় ব্রোকারগণ বিনিয়োগকারীদের যৌক্তিক ও জরুরী প্রয়োজনে হাউজে নগদ অর্থ লেনদেনের অবাধ সুযোগ অব্যাহত রাখার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি প্রত্যাশা করে বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনার জন্য তারা ডিবিএর প্রতি আহবান জানায়। এছাড়া বর্তমান বুক বিল্ডিং সিস্টেমে ত্রুটিপূর্ণ বিডিং পদ্ধতির সংশোধনী এনে উক্ত সিস্টেমের যথাযথ স্বরুপ ও বাস্তবায়নের বিষয়ে ডিবিএর কার্যকরী পদক্ষেপ আশা করে।

ব্রোকারগণ তাদের বক্তব্যে আরও বলেন, সংগঠন হিসেবে ডিবিএর প্রধান দায়িত্ব ব্রোকারদের ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা করা এবং তদ্বসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিএসইসি, ডিএসইসহ অন্যান্য বাজার সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে তাদের সমস্যা সমাধান করে ব্যবসায়িক পথ সুগম করা। অথচ ডিবিএ এখন পর্যন্ত ব্রোকারদের স্বার্থ আদায়ে দৃশ্যমান ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়নি। তারা বিশ^াস করে ডিবিএ ব্রোকারদের একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পাশাপাশি পুঁজিবাজারকে সুসংহত ও সুসংগঠিত রাখতে আগামীদিনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এর জন্য তারা ডিবিএকে এখন থেকে আরও বেশী সক্রিয় ও শক্তিশালী ভূমিকায় দেখতে চাই।

ডিবিএ প্রেসিডেন্ট সকলের বক্তব্য লিপিবদ্ধ করেন এবং তাদের দাবির বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে তা সমাধানের সর্বাত্নক চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত